বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
নিত্য তোমার যে ফুল ফোটে ফুলবনে
পাঠ ও পাঠভেদ:
নিত্য তোমার যে ফুল ফোটে ফুলবনে
তারি মধু কেন মনমধুপে খাওয়াও না ?
নিত্যসভা বসে তোমার প্রাঙ্গণে,
তোমার ভৃত্যেরে সেই সভায় কেন গাওয়াও না ?।
বিশ্বকমল ফুটে চরণচুম্বনে,
সে যে তোমার মুখে মুখ তুলে চায় উন্মনে,
আমার চিত্ত-কমলটিরে সেই রসে
কেন তোমার পানে নিত্য-চাওয়া চাওয়াও না ?।
আকাশে ধায় রবি-তারা-ইন্দুতে,
তোমার বিরামহারা নদীরা ধায় সিন্ধুতে,
তেমনি করে সুধাসাগর-সন্ধানে
আমার জীবনধারা নিত্য কেন ধাওয়াও না ?।
পাখির কণ্ঠে আপনি জাগাও আনন্দ,
তুমি ফুলের বক্ষে ভরিয়া দাও সুগন্ধ,
তেমনি করে আমার হৃদয়ভিক্ষুরে
কেন দ্বারে তোমার নিত্যপ্রসাদ পাওয়াও না ?।
পাণ্ডুলিপির পাঠ: RBVBMS 229 [নমুনা]
তথ্যানুসন্ধান
ক.
রচনাকাল ও স্থান:
RBVBMS 229
পাণ্ডুলিপিতে লিখিত গানটির সাথে রচনার তারিখ ও স্থানের
উল্লেখ
আছে- '২৯
আশ্বিন/বোলপুর'।
গ্রন্থ:
উল্লেখ্য, ১৩২০ বঙ্গাব্দে রবীন্দ্রনাথ ইউরোপ ভ্রমণ
শেষে বোম্বাই হয়ে,
১৩ আশ্বিন [সোমবার ২৯ সেপ্টেম্বর, ১৯১৩] তিনি রেলপথে কলকাতা পৌঁছান।
তিনি ১৪ই আশ্বিন শান্তিনিকেতনে যান এবং ১৬ই আশ্বিনে আবার কলকাতায়
ফিরে আসেন। এরপর ২৫শে
আশ্বিন [১১ অক্টোবর, ১৯১৩] শান্তিনিকেতনে ফিরে যান এবং ২৯ আশ্বিন
[বুধবার
১৫ অক্টোবর, ১৯১৩]। শান্তিনিকেতনে এই গানটি রচনা করেছিলেন। এই সময়
রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল
৫২ বৎসর ৬ মাস ।
[৫২ বৎসর
অতিক্রান্ত বয়সে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
গীতলেখা ৩য় ভাগ [১৩২৭ বঙ্গাব্দ। দিনেন্দ্রনাথ-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
গীতিচর্চ্চা [বিশ্বভারতী, পৌষ ১৩৩২ বঙ্গাব্দ। ৬৩ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ৪৭-৪৮] [নমুনা: প্রথমাংশ , শেষাংশ]
আনন্দ-সঙ্গীত (ফাল্গুন ১৩২০ বঙ্গাব্দ)। ইন্দিরাদেবী-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
রেকর্ডসূত্র: নাই।
প্রকাশের কালানুক্রম: গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার 'মাঘ ১৩২০ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায়। এই বছরেই আনন্দসঙ্গীত পত্রিকা এবং প্রবাসী' পত্রিকার 'ফাল্গুন ১৩২০ বঙ্গাব্দ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল। এরপর যে সকল গ্রন্থাদিতে অন্তর্ভুক্ত হয়ে গানটি প্রকাশিত হয়েছিল, সেগুলো হলো- গীতিমাল্য প্রথম সংস্করণে (১৩২১ বঙ্গাব্দ), কাব্যগ্রন্থ নবম খণ্ড (১৩২৩ বঙ্গাব্দ), গীতলেখা (১৩২৭ বঙ্গাব্দ
এরপর গানটি ১৩৩৮ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত গীতবিতানের দ্বিতীয় খণ্ড প্রথম সংস্করণে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এরপর ১৩৪৮ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণে পূজা পর্যায়ের বিশ্ব উপবিভাগের ২
৬ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এরপর ১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের পূজা পর্যায়ের ৩৫৯ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
স্বরবিতান-৪১-এ গৃহীত স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি ৩।৩।৩।৩ মাত্রা ছন্দে 'একতাল’-এ নিবদ্ধ।
গ্রহস্বর-সা। লয়-মধ্য।