বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
শিরোনাম:
আমায়
ভুলতে দিতে নাইকো তোমার ভয়
পাঠ
ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান অখণ্ড ( বিশ্বভারতী,
কার্তিক ১৪১২ )-এর
পূজা
পর্যায়ের ২৯২ সংখ্যক গান। উপবিভাগ
নিঃসংশয়
৩,
আমায় ভুলতে দিতে নাইকো তোমার ভয়।
আমার ভোলার
আছে অন্ত,
তোমার প্রেমের তো নাই ক্ষয়
॥
দূরে গিয়ে বাড়াই যে ঘুর,
সে দূর শুধু আমারি দূর—
তোমার কাছে দূর কভু দূর নয়
॥
আমার প্রাণের কুঁড়ি পাপড়ি নাহি খোলে,
তোমার বসন্তবায় নাই কি গো তাই বলে!
এই খেলাতে আমার
সনে হার মানো ক্ষণে ক্ষণে—
হারের মাঝে মাঝে আছে তোমার জয়
॥
-
তথ্যানুসন্ধান
- পাণ্ডুলিপির পাঠ:
RBVBMS 229
[নমুনা]
ক. রচনাকাল ও স্থান:
RBVBMS 229
-পাণ্ডুলিপিতে রচনার তারিখ উল্লেখ আছে
'২৯ ফাল্গুন/১৩২০'।
উল্লেখ্য,
১৩২০
বঙ্গাব্দের ১৭ ফাল্গুন তারিখে, রবীন্দ্রনাথ কলকাতা থেকে শান্তিনিকতনে আসেন। ১৮
ফাল্গুন থেকে ২৯ ফাল্গুন পর্যন্ত সাতটি গান রচনা করেন। এর ভিতরে এই গানটি রচনা করেন
২৯ ফাল্গুন। এই সময়
রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৫২ বৎসর ১১ মাস।
[রবীন্দ্রনাথের
৫২ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সের গানের তালিকা]
খ.
প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
২,
উপবিভাগ:
নিঃসংশয়
৩।
গীতলেখা প্রথম ভাগ
[১৩২৪ বঙ্গাব্দ]
দিনেন্দ্রনাথ
ঠাকুর-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
গীতিমাল্য
-
প্রথম সংস্করণ
[ইন্ডিয়ান পাবলিশিং হাউস, ১৯ আষাঢ় ১৩২১ বঙ্গাব্দ। ৭১ সংখ্যক
গান। পৃষ্ঠা: ৯১]
[নমুনা]
রবীন্দ্ররচনাবলী একাদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী)। গীতিমাল্য ৭১। পৃষ্ঠা ১৮৭।
স্বরবিতান ঊনচত্বারিংশ (৩৯) খণ্ডের প্রথম গান। পৃষ্ঠা ৫-৭।
[নমুনা]
প্রকাশের কালানুক্রম:
গীতিমাল্য
প্রথম সংস্করণে
(১৯ আষাঢ় ১৩২১ বঙ্গাব্দ) অন্তর্ভুক্ত হয়ে গানটি প্রথম প্রকাশিত
হয়েছিল। এরপর
যে সকল গ্রন্থাদিতে অন্তর্ভুক্ত হয়ে গানটি প্রকাশিত হয়েছিল, সেগুলো হলো-
কাব্যগ্রন্থ
নবম খণ্ড
(১৩২৩
বঙ্গাব্দ) ও
গীতলেখা প্রথম ভাগ (১৩২৪ বঙ্গাব্দ)।
এ সকল গ্রন্থাদির পরে,
১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত
গীতবিতান-এর
দ্বিতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণে
১৩২১ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত 'গীতিমাল্য' থেকে গৃহীত হয়েছিল।
এরপর
গীতবিতানের
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে।
এই সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল
পূজা,
পর্যায়ের নিঃসংশয়
উপবিভাগের তৃতীয় গান হিসেবে। ১৩৭১
বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের
পূজা
পর্যায়ের ২৯২ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত
হয়েছিল।
গানটি
একইভাবে অখণ্ড গীতাবিতানের তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশিত
হয়েছিল পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে।
গ.
সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
-কৃত স্বরলিপিটি
গীতলেখা
প্রথম ভাগ থেকে-
সুরভেদ হিসাবে স্বরবিতান-৩৯-এ গৃহীত হয়েছে। স্বরবিতান-৩৯-এ গৃহীত মূল
স্বরলিপিটি কার তা স্পষ্ট জানা যায় না।
পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ:
পূজা
(নিঃসংশয়)।
-
সুরাঙ্গ:
-
বাউল
-
[রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর
২০০৬ । পৃষ্ঠা:
২৯]
-
[রাগ-রাগিণীর এলাকায়
রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য
সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা:
৫৪।]
- রাগ:
গানটির স্বরলিপিতে কোনো নির্দিষ্ট রাগের
উল্লেখ নেই।]
[রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস,
ডিসেম্বর ২০০৬ । পৃষ্ঠা:
২৯]
[রাগ-রাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা:
৫৪]
বিভাস
(বাংলা)।
-
[রাগ-রাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা:
৫৪]
- তাল:
-
দাদরা।
-
[স্বরবিতান-৩৯-এ
গানটির স্বরলিপিতে
নির্দিষ্ট কোনো তালের
উল্লেখ নেই।
উক্ত স্বরলিপিতে ছন্দোবিভাজন
দেখানো
হয়েছে,
৩।৩ ছন্দ। অর্থাৎ
তালটি 'দাদরা' তালে নিবদ্ধ।]
[রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ।
প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬ । পৃষ্ঠা:
২৯]
[রাগ-রাগিণীর এলাকায়
রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য
সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা:
৫৪।]
[দাদরা
তালে নিবদ্ধ গানের তালিকা]
গ্রহস্বর: সা।
লয়:
দ্রুত।