বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
অসীম ধন
তো আছে তোমার,
তাহে সাধ না মেটে।
পাঠ ও পাঠভেদ:
অসীম ধন তো আছে তোমার, তাহে সাধ না মেটে।
নিতে চাও তা আমার হাতে কণায় কণায় বেঁটে ॥
দিয়ে রতন মণি, দিয়ে তোমার রতন মণি আমায় করলে ধনী—
এখন দ্বারে এসে ডাকো, রয়েছি দ্বার এঁটে ॥
আমায় তুমি করবে দাতা, আপনি ভিক্ষু হবে—
বিশ্বভুবন মাতল যে তাই হাসির কলরবে।
তুমি রইবে না ওই রথে, তুমি রইবে না ওই রথে নামবে ধুলাপথে
যুগ-যুগান্ত আমার সাথে চলবে হেঁটে হেঁটে ॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: [RBVBMS 229] [নমুনা]
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান:
রবীন্দ্রনাথের
[RBVBMS
229] পাণ্ডুলিপিতে-তে গানটির রচনাকাল
ও স্থান উল্লেখ আছে, 'Cheyne Walk
৮ই ভাদ্র ১৩২৮'।
উল্লেখ্য, ১৩১৯ বঙ্গাব্দের ১৪ জ্যৈষ্ঠ
[২৭ মে ১৯১২ খ্রিষ্টাব্দ], রবীন্দ্রনাথ বোম্বাই থেকে ইউরোপের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এই বৎসরে তিনি ইউরোপের নানা
জায়গায় ঘুরে বেড়ান। এই বৎসরের আগষ্ট মাসের ২৪ তারিখে [রবিবার, ৮ ভাদ্র] লণ্ডনের
16,
More's Garden Cheyne Walk
-এ তিনি এই গানটি সহ মোট তিনটি গান রচনা
করেন। উল্লেখ্য অপর দুটি গান ছিল―
'তোমারি নাম বলব
নানা ছলে' এবং 'এ মণিহার আমায় নাহি সাজে'। এই সময়
রবীন্দ্রনাথের বয়স
ছিল ৫২
বৎসর
৪ মাস।
[রবীন্দ্রনাথের
৫২ বৎসর
অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি
গ্রন্থ
কাব্যগ্রন্থ নবম খণ্ড [ইন্ডিয়ান প্রেস, ১৩২৩ বঙ্গাব্দ। গীতি-মাল্য ৩৩। পৃষ্ঠা: ৩২৫] [নমুনা]
দ্বিতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণ [বিশ্বভারতী, ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ। ১৩২১ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত 'গীতিমাল্য'-এর গান থেকে গৃহীত হয়েছিল। পৃষ্ঠা: ৪২৩] [নমুনা]
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, মাঘ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ)। গান সংখ্যা ৪৭। পৃষ্ঠা: ৩৪। [নমুনা]]
অখণ্ড সংস্করণ, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দ)। পর্যায়: পূজা ৭৯। উপবিভাগ: বন্ধু ৪৭। পৃষ্ঠা: ৩৭-৩৮।
গীতলেখা দ্বিতীয় ভাগ (১৩২৫ বঙ্গাব্দ)। দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
প্রথম সংস্করণ [ইন্ডিয়ান পাবলিশিং হাউস, ১৯ আষাঢ় ১৩২১ বঙ্গাব্দ। ৩৩ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ৪৯] [নমুনা]
রবীন্দ্ররচনাবলী একাদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী, আশ্বিন ১৩৯৩)। ৩৩ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ১৬০।
স্বরবিতান চত্বারিংশ
(৪০)
খণ্ডের
(শ্রাব্ণ ১৪১৬) প্রথম গান। পৃষ্ঠা: ৫-৬।
পত্রিকা:
আনন্দসঙ্গীত পত্রিকা। (শ্রাবণ ১৩২২ বঙ্গাব্দ)। ইন্দিরাদেবী-কৃত স্বরলিপি সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
তত্ত্ববোধিনী (ফাল্গুন ১৮৩৫ শকাব্দ ১৩২০ বঙ্গাব্দ, ১৮ কল্প, ৩ ভাগ)। ষষ্ঠ গান। পৃষ্ঠা: ২৩৮। [নমুনা]।
পরিবেশনা:
৮৪তম সাংবৎসরিক মাঘোৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এই মাঘোৎসব উপলক্ষে
রবীন্দ্রনাথের ১৬টি গান পরিবেশিত হয়েছিল। এর ভিতরে সায়ংকালীন অধিবেশনে পরিবেশিত ৮টি গানের
ভিতর এই গানটি ছিল।
রেকর্ডসূত্র: সন্তোষকুমার দে-কর্তৃক রচিত 'কবিকণ্ঠ ও কলের গান' (বিশ্বভারতী, মার্চ ১৯৯৩ খ্রিষ্টাব্দ) গ্রন্থের ১৪১ পৃষ্ঠায় এই গানের ৩টি রেকর্ডের কথা জানা যায়। তবে এর সাথে রেকর্ডের প্রকাশক এবং প্রকাশকাল সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা যায় না। এই রেকর্ড ৩টি হলো-
পূর্বা দাম। PSLP 1564 Stereo HTCS 028 2631 Sereo
সঙ্ঘামিত্রা গুপ্ত। ECSD 41518 Stereo
সুচিত্রা মিত্র।
7EPE 3048
প্রকাশের কালানুক্রম:
১৯ মাঘ ১৩২০ বঙ্গাব্দ [শনিবার ২৪
জানুয়ারি ১৯১৩
খ্রিষ্টাব্দ]-এর
৮৪তম সাংবৎসরিক মাঘোৎসবটির
ভিতরে সায়ংকালীন অধিবেশনে গানটি পরিবেশিত হয়েছিল। পরে এই গানটি
প্রবাসী পত্রিকার চৈত্র
১৩২০ বঙ্গাব্দ সংখ্যায় এবং
তত্ত্ববোধিনী
পত্রিকার
'ফাল্গুন ১৩২০ বঙ্গাব্দ'
সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল।
১৩২১ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত 'গীতিমাল্য' নামক গানের বইতে অন্তর্ভুক্ত হয়।
১৩২২ বঙ্গাব্দের শ্রাবণ মাসে
আনন্দসঙ্গীত পত্রিকা-তে
ইন্দিরাদেবী-কৃত
স্বরলিপি সহ মুদ্রিত হয়েছিল। এরপর
১৩২৩ বঙ্গাব্দে
কাব্য-গ্রন্থের নবম খণ্ডে এই গানটি 'গীতিমাল্য' অংশে অন্তর্ভুক্ত হয়।
১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত গীতবিতানের দ্বিতীয় খণ্ডের প্রথম
সংস্করণে অন্তর্ভুক্ত হয়,
১৩২১ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত 'গীতিমাল্য' থেকে। ১৩৪৮
খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত গীতবিতানের প্রথম খণ্ডের দ্বিতীয় সংস্করণে গানটি
গৃহীত হয় পূজা পর্যায়ে। ১৩৮০ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত গীতবিতানের অখণ্ড সংস্করণে
পূজা পর্যায়ের ৭৯ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলি:
স্বরলিপি: [নমুনা]
স্বরলিপিকার:
দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর
[দিনেন্দ্রনাথ
ঠাকুরকৃত স্বরলিপির তালিকা]
সুর ও তাল:
স্বরবিতান চত্বারিংশ (৪০) খণ্ডের (শ্রাব্ণ ১৪১৬) উক্ত স্বরলিপিটি ৩।৩।৩।৩ মাত্রা ছন্দে 'একতাল'-এ নিবদ্ধ।
রাগ: খাম্বাজ। তাল: একতাল। [রবীন্দ্রসংগীত :রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস, জানুয়ারি ১৯৯৩)। পৃষ্ঠা: ২৪]।
খাম্বাজ। তাল: একতাল।
[রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী,
জুলাই ২০০১, পৃষ্ঠা:
৯৭।]
[খাম্বাজ
রাগে নিবদ্ধ রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
[একতালে
নিবদ্ধ রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
গ্রহস্বর: মা।
লয়: মধ্য।