বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা :
শিরোনাম:
তোমার পায়ের তলায় যেন গো রঙ
লাগে
পাঠ ও পাঠভেদ:
গীতবিতান (বিশ্বভারতী, কার্তিক ১৪১২)-এর পাঠ: পূজা : ১৩
তোমার পূজার ছলে তোমায় ভুলেই থাকি।
বুঝতে নারি কখন্ তুমি দাও-যে ফাঁকি ॥
ফুলের মালা দীপের আলো ধূপের ধোঁওয়ার
পিছন হতে পাই নে সুযোগ চরণ-ছোঁয়ার,
স্তবের বাণীর আড়াল টানি তোমায় ঢাকি ॥
দেখব ব’লে এই আয়োজন মিথ্যা রাখি,
আছে তো মোর তৃষা-কাতর আপন-আঁখি।
কাজ কী আমার মন্দিরেতে আনাগোনায়—
পাতব আসন আপন মনের একটি কোণায়,
সরল প্রাণে নীরব হয়ে তোমায় ডাকি ॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: [RBVBMS 229] [নমুনা]
তথ্যানুসন্ধান
ক.
রচনাকাল ও স্থান:
RBVBMS
229-র '১৫
চৈত্র'। ১৩২১ বঙ্গাব্দের আষাঢ়
মাসে প্রকাশিত
গীতিমাল্য
এর
প্রথম সংস্করণ (ইন্ডিয়ান পাবলিশিং হাউস)-এ গানটির নিচে স্থান ও
তারিখ উল্লেখ আছে- 'শান্তিনিকেতন/১৪ই চৈত্র, ১৩২০'।
উল্লেখ্য,
১৩২০ বঙ্গাব্দের
১০-১১ ফাল্গুন-এ
রবীন্দ্রনাথ
পাবনাতে অনুষ্ঠিত উত্তরবঙ্গ সাহিত্য সম্মেলনে যোগদান করেন। অনুষ্ঠান শেষে ১৭ই
ফাল্গুন তিনি শান্তিনিকেতনে আসেন। পাবনা-ভ্রমণ এবং নানাবিধ বিতর্কের ফলে তিনি
অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরই ভিতরে তাঁর গান রচনা অব্যাহত ছিল। ১ চৈত্র থেকে ২৪ চৈত্র
পর্যন্ত তিনি শান্তিনিকেতনে কাটান। এই সময় তিনি মোট ১৯টি গান রচনা করেন।
এর ভিতরে
তিনি ১৪ চৈত্র ১৩২০ বঙ্গাব্দ
তিনি এই গানটি রচনা করেন। তখন
ররবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৫২ বৎসর ১১ মাস।
[রবীন্দ্রনাথের
৫২ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
গ্রন্থ:
কাব্যগ্রন্থ নবম খণ্ড, [ইন্ডিয়ান প্রেস, ১৩২৩ বঙ্গাব্দ, গীতিমাল্য ৮১, পৃষ্ঠা ৩৭৯] [নমুনা]
দ্বিতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণ (বিশ্বভারতী, আশ্বিন ১৩৩৮), পৃষ্ঠা ৪৫১-৫২। [নমুনা: ১, ২]
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, মাঘ ১৩৪৮), পর্যায়: পূজা, উপবিভাগ: বিরহ ৫, পৃষ্ঠা: ৫৭-৫৮। [নমুনা: ১, ২]
অখণ্ড, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৮০)। পূজা ১৩২। উপবিভাগ: বিরহ ৫। পৃষ্ঠা ৬১।
প্রথম সংস্করণ (ইন্ডিয়ান পাবলিশিং হাউস, আষাঢ় ১৩২১), গান সংখ্যা ৮১, পৃষ্ঠা ১০৩। [নমুনা]।
রবীন্দ্ররচনাবলী একাদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী, আষাঢ় ১৩৪৯), গান সংখ্যা ৮১, পৃষ্ঠা ১৯২-৯৩।
স্বরবিতান একচত্বারিংশ (৪১) (বিশ্বভারতী, বৈশাখ ১৪১৩) খণ্ডের ১৭ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ৫১-৫২।
রেকর্ডসূত্র: পাওয়া যায় নি।
প্রকাশের কালানুক্রম:
গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল
গীতিমাল্য
প্রথম সংস্করণে
(১৩২১)। এরপর গানটি প্রকাশিত হয়েছিল
কাব্যগ্রন্থের নবম খণ্ড
(১৩২৩)-এ।
এ সকল গ্রন্থাদির পরে,
১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত
গীতবিতান
-এর
দ্বিতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণ
- গানটি প্রথম অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এরপর
এই গ্রন্থের
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে। এই
সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল
পূজা, পর্যায়ের
'বিরহ' উপবিভাগে।
১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে
প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের ১৩২ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। অখণ্ড
গীতাবিতানের তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে।
স্বরলিপি: [নমুনা]
স্বরলিপিকার:
অনাদিকুমার দস্তিদার।
পাণ্ডুলিপি থেকে স্বরবিতান-৪১-এ
গৃহীত হয়েছে।
[অনাদিকুমার
দস্তিদার-কৃত স্বরলিপির
তালিকা]
সুর ও তাল:
স্বরবিতান একচত্বারিংশ (৪১) -এ গৃহীত স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিতে ছন্দোবিভাজন দেখানো হয়েছে, ৩।৩ ছন্দ; অর্থাৎ 'দাদরা' হিসাবে গণ্য করা যেতে পারে।
রাগ : পিলু। তাল : দাদরা। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬। পৃষ্ঠা: ৫৬]
রাগ :
সিন্ধু-বারোয়াঁ।
তাল : দাদরা।
[রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, জুলাই ২০০১],
পৃষ্ঠা: ৯৯।
[দাদরা
তালে নিবদ্ধ রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
[পিলু
সুরে নিবদ্ধ
রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
গ্রহস্বর: পধা।
লয়: দ্রুত।