হে অন্তরের ধন,
তুমি যে বিরহী, তোমার শূন্য এ ভবন॥
আমার ঘরে তোমায় আমি একা রেখে দিলাম স্বামী—
কোথায় যে বাহিরে আমি ঘুরি সকল ক্ষণ॥
হে অন্তরের ধন,
এই বিরহে কাঁদে আমার নিখিল ভুবন।
তোমার বাঁশি নানা সুরে আমায় খুঁজে বেড়ায় দূরে,
পাগল হল বসন্তের এই দখিন-সমীরণ॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: [RBVBMS 229] [নমুনা]
পাঠভেদ:
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান:
RBVBMS 229-র
'১৫
চৈত্র'। উল্লেখ্য,
১৩২০ বঙ্গাব্দের
১০-১১ ফাল্গুন-এ
রবীন্দ্রনাথ
পাবনাতে অনুষ্ঠিত উত্তরবঙ্গ সাহিত্য সম্মেলনে যোগদান করেন। অনুষ্ঠান শেষে ১৭ই
ফাল্গুন তিনি শান্তিনিকেতনে আসেন। পাবনা-ভ্রমণ এবং নানাবিধ বিতর্কের ফলে তিনি
অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরই ভিতরে তাঁর গান রচনা অব্যাহত ছিল। ১ চৈত্র থেকে ২৪ চৈত্র
পর্যন্ত তিনি শান্তিনিকেতনে কাটান। এই সময় তিনি মোট ১৯টি গান রচনা করেন। এর
ভিতরে
তিনি ১৫
চৈত্র ১৩২০ বঙ্গাব্দ তিনি এই গানটি রচনা করেন।
তখন
রবীন্দ্রনাথের
বয়স ছিল ৫২ বৎসর ১১ মাস।
[রবীন্দ্রনাথের
৫২ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
গ্রন্থ:
কাব্যগ্রন্থ নবম খণ্ড (১৩২৩), গীতিমাল্য ৮২, পৃষ্ঠা ৩৮০। [নমুনা]
দ্বিতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণ ((বিশ্বভারতী, আশ্বিন ১৩৩৮), পৃষ্ঠা ৪৫২। [নমুনা]
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, মাঘ ১৩৪৮), পর্যায়: পূজা, উপবিভাগ: বিরহ ৪, পৃষ্ঠা: ৫৭। [নমুনা]
অখণ্ড, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৮০)। পূজা ১৩১। উপবিভাগ: বিরহ ৪। পৃষ্ঠা ৬১।
প্রথম সংস্করণ (ইন্ডিয়ান পাবলিশিং হাউস, আষাঢ় ১৩২১), গান সংখ্যা ৮২, পৃষ্ঠা ১০৪। [নমুনা]।
রবীন্দ্ররচনাবলী একাদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী, আষাঢ় ১৩৪৯), গান সংখ্যা ৮২, পৃষ্ঠা ১৯৩।
গ.. সঙ্গীতবিষয়ক তথ্যাবলি:
স্বরলিপি: স্বরলিপি নাই।
সুর ও তাল:
রাগ : সুর অজ্ঞাত। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা, সুধীর চন্দ, প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬], পৃষ্ঠা: ৮৪।
বিষয়াঙ্গ:
সুরাঙ্গ: