বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
বল তো
এইবারের মতো
পাঠ ও পাঠভেদ:
বল তো এইবারের মতো
প্রভু, তোমার আঙিনাতে তুলি আমার ফসল যত ॥
কিছু-বা ফল গেছে ঝরে, কিছু-বা ফল আছে ধরে,
বছর হয়ে এল গত—
রোদের দিনে ছায়ায় বসে বাজায় বাঁশি রাখাল যত ॥
হুকুম তুমি কর যদি
চৈত্র-হাওয়ায় পাল তুলে দিই— ওই-যে মেতে ওঠে নদী।
পার ক’রে নিই ভরা তরী, মাঠের যা কাজ সারা করি,
ঘরের কাজে হই গো রত—
এবার আমার
মাথার বোঝা পায়ে তোমার করি নত
॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: [RBVBMS 229] [নমুনা]
পাঠভেদ:
বল তো
এইবারের মতো [গীতবিতান (বিশ্বভারতী,
কার্তিক ১৪১২)]
বল ত
এইবারের মতো [
রবীন্দ্রনাথের পাণ্ডুলিপি
RBVBMS 229]
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান:
RBVBMS 229
পাণ্ডুলিপিতে
গানটির সাথে রচনাকাল এবং স্থানের
উল্লেখ আছে- '২২ চৈত্র'।
উল্লেখ্য, ১৩২০ বঙ্গাব্দের ৫ ফাল্গুন [মঙ্গলবার ১৭
ফেব্রুয়ারি] তারিখে রবীন্দ্রনাথ শিলাইদহে আসেন। ১০-১১ ফাল্গুন
তারিখে উত্তরবঙ্গ সাহিত্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়- তৎকালীন পাবনা ইনস্টটিউশনে। ১০
ফাল্গুন সকালে শিলাইদহ থেকে নৌকায় পদ্মা পার হয়ে পাবনা যান। সঙ্গে ছিলেন প্রমথ
চৌধুরী ও মণিলাল গঙ্গোপাধ্যায়। পাবনাতে এঁরা আতিথ্য গ্রহণ করেন শীতলাহির জমিদার
যোগেন্দ্রনাথ মৈত্রের বাড়িতে। ১২ ফাল্গুন তারিখে রবীন্দ্রনাথ পাবনা থেকে শিলাইদহে আসেন এবং ১৫ ফাল্গুনে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। ১৭ ফাল্গুন তারিখে, তিনি কলকাতা থেকে শান্তিনিকতনে আসেন। পাবনা-ভ্রমণ এবং নানাবিধ বিতর্কের ফলে ইনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরই ভিতরে তাঁর গান লিখা অব্যাহত ছিল। ১ চৈত্র থেকে ২৪ চৈত্র পর্যন্ত তিনি মোট ১৯টি গান রচনা করেন। এর ভিতরে ২২শে চৈত্র [রবিবার ৫ এপ্রিল] তিনি এই গানটি রচনা করেন। এই সময়ে তাঁর বয়স ছিল ৫২ বৎসর ১১ মাস।
[রবীন্দ্রনাথের ৫২ বৎসর
অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
কাব্যগ্রন্থ ৯ম খণ্ড। গীতিমাল্য গান ৮৫ (ইন্ডিয়ান প্রেস, ১৩২৩ বঙ্গাব্দ)। পৃষ্ঠা: ৩৮৩। [নমুনা: ৩৮৩]
দ্বিতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণ (বিশ্বভারতী, আশ্বিন ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ)। ১৩২১ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত গীতি-মাল্য থেকে গৃহীত। পৃষ্ঠা: ৪৫৪। [নমুনা]
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, মাঘ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ)। গান সংখ্যা ১১। পৃষ্ঠা: ২০। [নমুনা]
অখণ্ড সংস্করণ, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দ)। পর্যায়: পূজা ৪৪। উপবিভাগ: বন্ধু ১২। পৃষ্ঠা: ২৪ [নমুনা]
প্রকাশের
কালানুক্রম:
১৩২১ বঙ্গাব্দে 'গীতি-মাল্য' গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হয়ে
প্রকাশিত হয়। ১৩২৩ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত 'কাব্যগ্রন্থ নবম খণ্ড'-এর
'গীতি-মাল্য' অংশে অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়।
১৩৩৮
বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত গীতবিতানের দ্বিতীয় খণ্ডের প্রথম
সংস্করণে অন্তর্ভুক্ত হয়।
১৩৪৮
খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত গীতবিতানের প্রথম খণ্ডের দ্বিতীয় সংস্করণে এই গানটি
গৃহীত হয় পূজা পর্যায়ে। ১৩৮০ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত গীতবিতানের অখণ্ড সংস্করণে
পূজা পর্যায়ের ৪৪ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়।
গ্রহস্বর: গা।
লয়: মধ্য।