রাগ ইমন
উত্তর ভারতীয় সঙ্গীত পদ্ধতিতে
কল্যাণ ঠাটের
অন্তর্গত রাগ বিশেষ। এই রাগে তীব্র মধ্যম ছাড়া বাকি সকল স্বর শুদ্ধ। সন্ধ্যা বা
রাত্রি প্রথম প্রহরের রাগ হিসাবে এর খ্যাত রয়েছে। কোনো
সঙ্গীতজ্ঞের মতে- এই রাগটি ছিল পারশ্যের। আমির
হযরত আমির খসরু, এই রাগটি ভারতীয় রাগে পরিণত
করেছিলেন। আবার অনেকে মনে করেন রাগটি ভারতবর্ষেরই রাগ
ছিল। এই রাগের মুখ্য সাঙ্গীতিক স্বরগুচ্ছ্- হ্ম র গ র স।
আরোহণ: স র গ হ্ম প ধ ন র্স
অবরোহণ: র্স ন ধ প হ্ম গ র স
ঠাট:
কল্যাণ
জাতি: সম্পূর্ণ-সম্পূর্ণ।
বাদীস্বর: গ
সমবাদী
স্বর: ন
অঙ্গ: পূর্বাঙ্গবাদী।
সময়: রাত্রি প্রথম প্রহর।
প্রকৃতি: শান্ত
পকড় : ন্ র গ এ স, পহ্ম, র স
তথ্যসূত্র:
-
মারিফুন্নাগমাত। রাজা নওয়াব আলী খান। অনুবাদ: মকসুদুর রহমান হিলালী। বাংলা একাডেমী।
বর্ধমান হাউস। ঢাকা। জুলাই ১৯৬৭। পৃষ্ঠা: ৬১-৬৪।
-
সঙ্গীতশাস্ত্র (প্রথম খণ্ড)। ইন্দুভূষণ রায়। আদি নাথ ব্রাদার্স।
কলকাতা। ২৭ শ্রাবণ, ১৩৭৮।
-
হিন্দুস্থানী সঙ্গীত-পদ্ধতি (প্রথম খণ্ড)। পণ্ডিত
বিষ্ণুনারায়ণ ভাতখণ্ডে। সম্পাদনা: ধরিত্রী রায়, অসীমকুমার চট্টোপাধ্যায়
দীপায়ন, কলিকাতা। বৈশাখ ১৩৯৭। পৃষ্ঠা: ৭৩-৭৮।