হৃদয়ে হৃদয় আসি মিলে যায় যেথা,
হে বন্ধু আমার,
সে পুণ্যতীর্থের যিনি জাগ্রত দেবতা
তাঁরে নমস্কার ॥
বিশ্বলোক নিত্য যাঁর শাশ্বত শাসনে
মরণ উত্তীর্ণ হয় প্রতি ক্ষণে ক্ষণে,
আবর্জনা দূরে যায় জরাজীর্ণতার,
তাঁরে নমস্কার ॥
যুগান্তের বহ্নিস্নানে যুগান্তরদিন
নির্মল করেন যিনি, করেন নবীন,
ক্ষয়শেষে পরিপূর্ণ করেন সংসার,
তাঁরে নমস্কার ॥
পথযাত্রী জীবনের দুঃখে সুখে ভরি
অজানা উদ্দেশ-পানে চলে কালতরী,
ক্লান্তি তার দূর করি করিছেন পার,
তাঁরে নমস্কার ॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: পাওয়া যায়নি।
পাঠভেদ:
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান: ১১ মাঘ ১৩৪৩ বঙ্গাব্দ। শান্তিনিকেতন। গানটি রবীন্দ্রনাথের ৭৫ বৎসর ১০ মাস বয়সে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল।
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
স্বরবিতান ষষ্ঠিতম (৬০) খণ্ড (বিশ্বভারতী, চৈত্র ১৪১৩), গান সংখ্যা: ৬, পৃষ্ঠা ১৮-২১।
পত্রিকা:
প্রবাসী (ফাল্গুন ১৩৪৩ বঙ্গাব্দ)।
সুরঙ্গমা পত্রিকা ২। শৈলজারঞ্জন মজুমদার-কৃত স্বরলিপি- সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
রেকর্ডসূত্র:
প্রকাশের
কালানুক্রম: গানটি
রবীন্দ্রনাথের ৭৫ বৎসর ১০ মাস বয়সে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল।
গ. সঙ্গীতবিষয়ক তথ্যাবলি:
স্বরলিপি: [স্বরলিপি]
স্বরলিপিকার: শৈলজারঞ্জন মজুমদার। প্রবাসী থেকে স্বরবিতান-৬০'তে গানটি গৃহীত হয়েছে।
সুর ও তাল:
স্বরবিতান ষষ্ঠিতম (৬০) খণ্ডে (বিশ্বভারতী, ) গৃহীত গানটির স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি ২।৩।২।৩ মাত্রা ছন্দে 'ঝাঁপতাল' তালে নিবদ্ধ।
রাগ : পরজ। তাল : ঝাঁপতাল। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা, সুধীর চন্দ, প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬], পৃষ্ঠা: ৮৪।
রাগ: বসন্ত, সোহিনী। তাল: ঝাঁপতাল। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১], পৃষ্ঠা: ১৪৬।
বিষয়াঙ্গ:
সুরাঙ্গ:
গ্রহস্বর: ণা।
লয়: মধ্য।