বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
আমি যখন ছিলেম অন্ধ।
পাঠ ও পাঠভেদ:
আমি যখন ছিলেম অন্ধ
সুখের খেলায় বেলা গেছে, পাই নি তো আনন্দ ॥
খেলাঘরের দেয়াল গেঁথে খেয়াল নিয়ে ছিলেম মেতে,
ভিত ভেঙে যেই এলে ঘরে ঘুচল আমার বন্ধ।
সুখের খেলা আর রোচে না, পেয়েছি আনন্দ ॥
ভীষণ আমার, রুদ্র আমার, নিদ্রা গেল ক্ষুদ্র আমার-
উগ্র ব্যথায় নূতন ক’রে বাঁধলে আমার ছন্দ।
যে দিন তুমি অগ্নিবেশে সব-কিছু মোর নিলে এসে
সে দিন আমি পূর্ণ হলেম ঘুচল আমার দ্বন্দ্ব।
দুঃখসুখের পারে তোমায় পেয়েছি আনন্দ ॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ:
MS. NO 003
MS. NO 160
MS. NO 434
পাঠভেদ: সামান্য পাঠভেদ আছে। স্বরবিতান-৪২’এর ১৩৩ পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য।
ভাবসন্ধান: যুক্ত হবে।
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান: শ্রাবণ ১৩৩৯ বঙ্গাব্দ। শান্তিনিকেতন। রবীন্দ্রনাথের৭১ বৎসর ৩ মাস বয়সের রচনা।
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ
অরূপরতন (১৩৪২ বঙ্গাব্দ সংস্করণ)। সুরঙ্গমা'র গান। রবীন্দ্ররচনাবলী ত্রয়োদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী)। পৃষ্ঠা ১৬৮।
তৃতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৩৮)।
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৪৮)।
অখণ্ড সংস্করণ,তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৮০)। পূজা (উপ-বিভাগ : বাউল-৯) পর্যায়ের ৫৫৪ সংখ্যক গান।
স্বরবিতান দ্বিচত্বারিংশ (৪২, অরূপরতন) খণ্ডের দ্বিতীয় গান। পৃষ্ঠা ৯-১১।
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
স্বরলিপিকার: শৈলজারঞ্জন মজুমদার। স্বরলিপিটি পাণ্ডুলিপি থেকে স্বরবিতান-৪২’এ গৃহীত হয়েছে।
সুর ও তাল:
স্বরবিতান-৪২তে গৃহীত গানটি স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি ছন্দোবিভাজন দখানো হয়েছে, ৩।২।২ ছন্দ ; অর্থাৎ তালটি তেওরা হিসাবে গণ্য করা যেতে পারে।
অঙ্গ: কীর্তন। তাল: তেওরা। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬। পৃষ্ঠা: ৩৩]
অঙ্গ: কীর্তন। তাল: তেওরা। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ৬২]
সুরাঙ্গ: বাউলাঙ্গ
গ্রহস্বর-না।
লয়-মধ্য।