বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা :
শিরোনাম:
জানি
গো,
দিন
যাবে এ দিন যাবে।
পাঠ ও পাঠভেদ:
জানি গো, দিন যাবে এ দিন যাবে।
একদা কোন্ বেলাশেষে মলিন রবি করুণ হেসে
শেষে বিদায়ের চাওয়া আমার মুখের পানে চাবে ॥
পথের ধারে বাজবে বেণু, নদীর কূলে চরবে ধেনু,
আঙিনাতে খেলবে শিশু, পাখিরা গান গাবে-
তবুও দিন যাবে এ দিন যাবে ॥
তোমার কাছে আমার এ মিনতি
যাবার আগে জানি যেন আমায় ডেকেছিল কেন
আকাশ-পানে-নয়ন তুলে শ্যামল বসুমতী।
কেন নিশার নীরবতা শুনিয়েছিল তারার কথা,
পরানে ঢেউ তুলেছিল কেন দিনের জ্যোতি-
তোমার কাছে আমার এই মিনতি ॥
সাঙ্গ যবে হবে ধরার পালা
যেন আমার গানের শেষে থামতে পারি শমে এসে-
ছয়টি ঋতুর ফুলে ফলে ভরতে পারি ডালা।
এই জীবনের আলোকেতে পারি তোমায় দেখে যেতে,
পরিয়ে যেতে পারি তোমায় আমার গলার মালা-
সাঙ্গ যবে হবে ধরার পালা
রোহিত সাগর। গানটি রবীন্দ্রনাথের ৫২ বৎসর ৫ বয়সের রচনা। বিলেত থেকে ফেরার পথে, রবীন্দ্রনাথ এ গানটি জাহাজে বসে লিখেছিলেন।
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
গীতবিতানের পূজা (উপ-বিভাগ : শেষ-১১) পর্যায়ের ৫৯৪ সংখ্যক গান।
গীতিমাল্য (১৩২১ বঙ্গাব্দ)। ৪০ সংখ্যক গান। রবীন্দ্ররচনাবলী একাদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী)। পৃষ্ঠা ১৬৪-৬৫।
গীতলেখা ৩য় ভাগ (১৩২৭ বঙ্গাব্দ)। দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপি-সহ-মুদ্রিত হয়েছিল।
স্বরবিতান একচত্বারিংশ (৪১) খণ্ডের ১৩ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ৩৬-৪০।
পত্রিকা:
প্রকাশনা: ১১ই মাঘ ১৩২০ বঙ্গাব্দ (শনি, জানুয়ারি, ১৯১৪ খ্রিষ্টাব্দ) তারিখে আদি ব্রাহ্মসমাজের চতুরশীতিতম সাংবৎসরিক ব্রহ্মোৎসবের প্রাতঃকালীন অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়- আদি ব্রাহ্মসমাজ মন্দিরে। উক্ত অনুষ্ঠানে এই গানটি গীত হয়েছিল।
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
স্বরলিপিকার: দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর। স্বরলিপিটি গীতলেখা ২য় ভাগ থেকে স্বর-৪১'এ গৃহীত হয়েছিল।
সুর ও তাল:
স্বর-৪১'তে গৃহীত গানটির স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি ৩।৩ মাত্রা ছন্দে দাদরা তালে নিবদ্ধ।
রাগ: রামকেলী। অঙ্গ: কীর্তন। তাল: দাদরা। [রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা । সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬)। পৃষ্ঠা: ৫২]।
গ্রহস্বর-না। লয়-দ্রুত। বাউলাঙ্গ।