বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
রূপসাগরে ডুব দিয়েছি অরূপরতন আশা করি
পাঠ ও পাঠভেদ:
রূপসাগরে ডুব দিয়েছি অরূপরতন আশা করি,
ঘাটে ঘাটে ঘুরব না আর ভাসিয়ে আমার জীর্ণ তরী॥
সময় যেন হয় রে এবার ঢেউ-খাওয়া সব চুকিয়ে দেবার,
সুধায় এবার তলিয়ে গিয়ে অমর হয়ে রব মরি॥
যে গান কানে যায় না শোনা সে গান যথায় নিত্য বাজে
প্রাণের বীণা নিয়ে যাব সেই অতলের সভা-মাঝে।।
চিরদিনের সুরটি বেঁধে শেষ গানে তার কান্না কেঁদে
নীরব যিনি তাঁহার পায়ে নীরব বীণা দিব ধরি॥
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান: ১৩১৬ বঙ্গাব্দের
১০ থেকে ১৭ই পৌষ পর্যন্ত রবীন্দ্র শান্তিনিকেতনে
কাটান। এই সময় তিনি এই গানটি-সহ মোট ৪টি গান রচনা করেছিলেন। এর ভিতরে তিনি
এই গানটি রচনা করেছিলেন ১২ পৌষ ১৩১৬ [শনিবার, ২৫ ডিসেম্বর ১৯০৯] তারিখে। এই
সময় রবীন্দ্রনাথের
বয়স ছিল ৪৮ বৎসর
৮ মাস।
[রবীন্দ্রনাথের ৪৮ বৎসর বয়সে রচিত গানের তালিকা]
ইন্ডিয়ান প্রেস (১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দ, ১৩১৬ বঙ্গাব্দ)। নূতন গান। বাউলের সুর। পৃষ্ঠা: ৪১২। [নমুনা: ৪১২]
গীতাঞ্জলি
ইন্ডিয়ান পাবলিশিং হাউস, শ্রাবণ ১৩২১ বঙ্গাব্দ।
৪৭ সংখ্যক গান। রবীন্দ্ররচনাবলী একাদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী)। পৃষ্ঠা ৩৮-৩৯।
স্বরলিপিকার: ভীমরাও শাস্ত্রী। সঙ্গীত গীতাঞ্জলি
সুরেন্দ্রনাথ
বন্দোপাধ্যায়।সঙ্গীত প্রকাশিকা,
গীতলিপি
[স্বরবিতান-৩৮'এ
গৃহীত স্বরলিপিটি কার তা জানা যায় না।]
সুর ও তাল:
রাগ-খাম্বাজ। তাল-কাওয়ালি (৮ মাত্রা)। স্বরবিতান-৩৮
রাগ: খাম্বাজ। তাল: কাহারবা। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা, সুধীর চন্দ, প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬], পৃষ্ঠা: ৭৭।
রাগ: খাম্বাজ। তাল: কাওয়ালি। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১], পৃষ্ঠা: ১৩৪।
গ্রহস্বর:
লয়: মধ্য।