৪৮ বৎসর অতিক্রান্ত বয়স
২৫ বৈশাখ ১৩১৬ বঙ্গাব্দ থেকে ২৪ বৈশাখ ১৩১৭ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত (৭ মে ১৯০৯- ৬ মে ১৯১০ খ্রিষ্টাব্দ)
১৩১৬ বঙ্গাব্দের ২৬ আষাঢ়, রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতন থেকে কলকাতায় আসেন। ২৬শে আষাঢ়ের
পূর্বে শান্তিনিকেতনে তিনি মোট চারটি গান রচনা করেন।
রবীন্দ্রনাথের
RBVBMS 358
পাণ্ডুলিপিতে গানটির সাথে স্থান ও
তারিখ উল্লেখ আছে 'আষাঢ়
১৩১৬/বোলপুর'।
এই গানগুলো 'গীতাঞ্জলি'-তে
অন্তর্ভুক্ত হয়। গীতাঞ্জলির সূত্রে প্রাপ্ত তারিখ অনুসারে, এই গান চারটিকে
কালানুক্রমে দেওয়া হলো।
[বোলপুর। আষাঢ় ১৩১৬] জগত জুড়ে ঊদার সুরে [পূজা-১৪৪] [তথ্য]
[বোলপুর। আষাঢ় ১৩১৬] মেঘের পরে মেঘ জমেছে [প্রকৃতি-৩২] [তথ্য]
[বোলপুর। আষাঢ় ১৩১৬] কোথায় আলো, কোথায় ওরে আলো [পূজা-১২৯] [তথ্য]
[বোলপুর। আষাঢ় ১৩১৬] আজি শ্রাবণ ঘন মোহে [তথ্য]
কলকাতা থেকে শিলাইদহের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন ২৭ আষাঢ়ে।
২৮ আষাঢ় [শনিবার, ১০
জুলাই, ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দ] রবীন্দ্রনাথ
শিলাইদহ আসেন। পুরো শ্রাবণ মাস তিনি শিলাইদহে কাটান। কিন্তু এই সময়ে তিনি গান রচনা
করেন মাত্র দুটি। এই গান দুটি হলো—
[শিলাইদহ। ২৯ আষাঢ় ১৩১৬ [মঙ্গলবার, ১৩
জুলাই, ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দ]
আষাঢ়সন্ধ্যা ঘনিয়ে এল [প্রকৃতি-৩৩] [তথ্য]
যদিও গীতঞ্জলিতে গৃহীত অপর
গানটির সাথে স্থান ও তারিখ হিসাবে উল্লেখ আছে 'পদ্মা বোট। আষাঢ় ১৩১৬'। কিন্তু
পাণ্ডুলিপিতে আছে 'বোট পদ্মা/শ্রাবণ] এই গানটি হলো।
[পদ্মা বোট। শ্রাবণ ১৩১৬]
আজি ঝড়ের
রাতে তোমার অভিসার [প্রকৃতি-৯৫] [তথ্য]
৩০শে শ্রাবণ, রবীন্দ্রনাথ শিলাইদহ থেকে কলকাতায় ফিরে আসেন। ৭ই ভাদ্র [সোমবার, ২৩
আগষ্ট ১৯০৯] তিনি
কলকাতা থেকে শান্তিনিকেতনে আসেন এবং ১৮শে ভাদ্র পর্যন্ত
শান্তিনিকেতনে কাটান। এই সময়
তিনি ১৮টি গান রচনা করেন। এই গানগুলোর স্থান ও তারিখ সম্পর্কে গীতাঞ্জলিতে যেভাবে
উল্লেখ রয়েছে, তার অনুসরণে নিচের তালিকাটি তুলে ধরা হলো।
বোলপুর ১০ ভাদ্র [বৃহস্পতিবার, ২৬ আগষ্ট, ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দ]। জানি জানি কোন অনাদিকাল হতে [তথ্য]
১৯ ভাদ্র, রবীন্দ্রনাথ কলকাতা আসেন। কলকাতায় থাকাকালীন সময়ে তিনি দুটি গান রচনা করেন। গান দুটি হলো-
কলকাতা ২৭ ভাদ্র [রবিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দ]। হেথা যে গান গাইতে আসা [পূজা-২২] [তথ্য]
কলকাতা। ১ আশ্বিন [শুক্রবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দ]। যা হারিয়ে যায়
১৯ আশ্বিন তারিখে [শুক্রবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দ] রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতন যান। এই সময় রবীন্দ্রনাথ ১টি গান রচনা করেন। গানটি হলো
[এই মলিন বস্ত্র ছাড়তে হবে [পূজা-১৭৫] [তথ্য]
রবীন্দ্রনাথ ২২শে আশ্বিন কলকাতায় ফিরে আসেন এবং ২৩ আশ্বিন-এ শিলাইদহের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। ৩০শে আশ্বিন পর্যন্ত শিলাইদহে তিনি ৩টি গান রচনা করেন।
গায়ে আমার পুলক লাগে পূজা-৩১৮]
[তথ্য]
শিলাইদহ। ২৫ আশ্বিন ১৩১৬ [সোমবার, ১১ অক্টোবর, ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দ]
প্রভু আজি তোমার দক্ষিণ হাতে রেখো না ঢাকি [পূজা ৩৬৪]
[তথ্য]
শিলাইদহ। ২৭ আশ্বিন ১৩১৬ [বুধবার, ১৩ অক্টোবর, ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দ]
উল্লেখ্য,
১৩১২ বঙ্গাব্দের ১১ আশ্বিন (বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দ] তারিখ
বিকাল ৬টায় ১৮-৪ অঙ্কুর দত্ত লেনে- রবীন্দ্রনাথের সভাপতিত্বে সাবিত্রী
লাইব্রেরির স্বধর্ম সাধন সমিতির একটি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে
রবীন্দ্রনাথ 'রাখী বন্ধন' অনুষ্ঠানের প্রস্তাব দেন। হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে
সম্প্রীতি সুদৃঢ় রাখার উদ্দেশ্যে রবীন্দ্রনাথ এ প্রস্তাব করেছিলেন। প্রস্তাবে
৩০ আশ্বিন তারিখটি 'রাখী বন্ধন'-এর জন্য নির্ধারিত করা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত
অনুষ্ঠানটি চাপা পড়ে যায়। চার বছর পর শান্তিনিকেতনের ছাত্র-শিক্ষকদের উদ্যোগে
এ অনুষ্ঠানটি প্রচলনের চেষ্টা করা হয়েছিল। রবীন্দ্রনাথকে এ ব্যাপারে জানালে,
তিনি তাতে বাধা দেন নি সত্য, কিন্তু উৎসাহও দেন নি। কারণ, ভারতের তৎকালীন
রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে 'রাখী বন্ধন' উৎসবের ব্যাপারে উৎসাহ হারিয়ে
ফেলেছিলেন। তারপরেও ওই উৎসবের জন্য এ গানটি লিখে পাঠিয়েছিলেন। এই গানটি তিনি
রচনা করেছিলেন- ২৭ আশ্বিন ১৩১৬ বঙ্গাব্দ।
জগতে আনন্দযঞ্জে আমার নিমন্ত্রণ [পূজা-৩১৭] [তথ্য]
শিলাইদহ। ৩০ আশ্বিন ১৩১৬ [শনিবার, ১৬ অক্টোবর, ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দ]
৩০শে আশ্বিন, রবীন্দ্রনাথ শিলাইদহ থেকে কলকাতায় ফিরে আসেন। ৬ কার্তিক, তিনি
শান্তিনিকেতন যান। ১৯ কার্তিকে কলকাতায় ফিরে আসেন এবং ২৬ আশ্বিন পর্যন্ত তিনি
কলকাতায় থাকেন। ২৭শে আশ্বিন রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে সাথে নিয়ে শিলাইদহে আসেন এবং
পতিসরের উদ্দেশ্যে পতিসরে রওনা দেন। উত্তরবঙ্গের জমিদারি তদারকি শেষ তিনি ১২
অগ্রহায়ণ, কলকাতায় আসেন। ১৭ই অগ্রহায়ণ তিনি শান্তিনিকেতনে আসেন। দীর্ঘ দিন পর
শান্তিনিকেতনে ফিরে একটি গান রচনা করেন। গানটি হলো-
বোলপুর। ২০ অগ্রহায়ণ ১৩১৬ [সোমবার, ৬
ডিসেম্বর ১৯০৯]
আলোয় আলোকময় করে হে [পূজা-৩১৯]
[তথ্য]
১৩১৬ বঙ্গাব্দের কার্তিক মাসের পূর্বে
প্রকাশিত হয়েছিল
১৭ পৌষ পর্যন্ত রবীন্দ্র শান্তিনিকেতনে কাটান। এই সময় তিনি ৪টি গান রচনা করেন। গানগুলো হলো
বোলপুর। ১০ পৌষ ১৩১৬ [শনিবার, ২৫ ডিসেম্বর ১৯০৯]
ওই আসনতলের মাটির পরে লুটিয়ে রব [পূজা-৪৯১] [তথ্য]বোলপুর। ১২ পৌষ ১৩১৬ [সোমবার, ২৭ ডিসেম্বর ১৯০৯]
রূপসাগরে ডুব দিয়েছি [পূজা-৬০৭] [তথ্য]বোলপুর। ১২ পৌষ ১৩১৬ [সোমবার, ২৭ ডিসেম্বর ১৯০৯]
নিভৃত প্রাণের দেবতা যেখানে জাগেন একা [পূজা-৩০০] [তথ্য]
বোলপুর। ১৭ পৌষ ১৩১৬ [শনিবার, ১ জানুয়ারি ১৯১০]
কোন্ আলোতে প্রাণের প্রদীপ জ্বালিয়ে [পূজা-৫৫৭] [তথ্য]
১৩১৬
বঙ্গাব্দের ১১ মাঘ [সোমবার,
২৪ জানুয়ারি ১৯০৩ খ্রিষ্টাব্দ], অশীতিতম (৮০) সাংবৎসরিক মাঘোৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এই
মাঘোৎসব উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথের ২১টি গান পরিবেশিত হয়েছিল। এর ভিতরে প্রাতঃকালীন
অধিবেশনে পরিবেশিত হয়েছিল ৮টি গান এবং সায়ংকালীন অধিবেশনে ১৩টি গান পরিবেশিত
হয়েছিল। এই গানগুলোর ভিতর নতুন গান ছিল ৮টি। গানগুলো হলো-
১৩১৬
বঙ্গাব্দের ১১ই মাঘ তারিখের অনুষ্ঠিত মাঘোৎসবের কাছাকাছি সময়ে রচিত কিছু গান পাওয়া যায়। এই গানগুলো
এই মাঘোৎসবে গাওয়া হয় নি। বিভিন্ন পাণ্ডুলিপি অনুসরণে এই সময়ে রচিত যে সকল গান
পাওয়া যায়, সেগুলো হলো—
রাখো রাখো রে জীবন
রাখো রাখো রে জীবনে জীবনবল্লভে [পূজা-৩৭৮]
[তথ্য]
১৩১৬ বঙ্গাব্দের ১৪ মাঘ [বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারি ১৯১০ খ্রিষ্টাব্দ], রথীন্দ্রনাথ
ঠাকুরের সাথে প্রতিমা দেবীর বিবাহ হয়। ২৬ মাঘ পুত্র ও পুত্রবধূকে নিয়ে রবীন্দ্রনাথ
শান্তিনিকেতন যান। শান্তিনিকেতন থেকে ২০ ফাল্গুনে রবীন্দ্রনাথ কোলকাতা আসেন। ২০
ফাল্গুনের ভিতরে রবীন্দ্রনাথ একটি গান রচনা করেন। গানটি হলো—
১. তুমি আমাদের পিতা [পূজা-৩৯২]
[তথ্য]
২. জয় তব বিচিত্র আনন্দ, হে কবি [পূজা-৩৭৬]
[তথ্য]
৩. কার মিলন চাও বিরহী[পূজা-৪২৮]
[তথ্য]
৪. দাঁড়াও, মন অনন্ত ব্রহ্মাণ্ড-মাঝে [পূজা-২৬১]
[তথ্য]
৫. নয়ান ভাসিল জলে [পূজা-৪০৫]
[তথ্য]
৬. জাগ’ জাগ’ রে জাগ’ সঙ্গীত [পূজা-২১]
[তথ্য]
৭.জাগে নাথ জোছনারাতে [পূজা-৫৩৬]
[তথ্য]
৮. মহারাজ, একি সাজে [পূজা-৫২২]
[তথ্য]
অমৃতের সাগরে আমি যাব যাব রে [পূজা-৪২৭]
[তথ্য]
তিমিরময় নিবিড় নিশা [বিচিত্র-১০১] [তথ্য]
বোলপুর। ফাল্গুন ১৩১৬।
আজি এই গন্ধবিধুর সমীরণে [প্রকৃতি-২৫২] [তথ্য]
২৪ ফাল্গুন, রবীন্দ্রনাথ রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে সাথে নিয়ে শিলাইদহ যান এবং ৫ চৈত্রে
কোলকাতায় ফিরে আসেন। ১১ চৈত্র তারিখে তিনি শান্তিনিকেতনে ফিরে আসেন। চৈত্রমাসের
শেষের দিকে তিনি ৫টি গান রচনা করেন। গানগুলো হলো—
বৈশাখ মাসে
তিনি দুটি গান রচনা করেন। গান দুটি হলো
বোলপুর। ৪ বৈশাখ, ১৩১৭ [রবিবার, ১৭
এপ্রিল ১৯১০ খ্রিষ্টাব্দ]। বিশ্ব যখন নিদ্রামগন
বোলপুর। ১২ বৈশাখ, ১৩১৭ [সোমবার, ২৫
এপ্রিল ১৯১০ খ্রিষ্টাব্দ]। সে যে পাশে এসে বসেছিল