বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
কোন্ আলোতে প্রাণের প্রদীপ জ্বালিয়ে তুমি ধরায় আস
পাঠ ও পাঠভেদ:
কোন্ আলোতে প্রাণের প্রদীপ জ্বালিয়ে তুমি ধরায় আস-
সাধক ওগো, প্রেমিক ওগো,
পাগল ওগো, ধরায় আস ॥
এই অকূল সংসারে
দুঃখ আঘাত তোমার প্রাণে বীণা ঝঙ্কারে।
ঘোর বিপদ-মাঝে
কোন্ জননীর মুখের হাসি দেখিয়া হাসো॥
তুমি কাহার সন্ধানে
সকল সুখে আগুন জ্বেলে বেড়াও কে জানে!
এমন ব্যাকুল ক’রে
কে তোমারে কাঁদায় যারে ভালোবাস॥
তোমার ভাবনা কিছু নাই-
কে যে তোমার সাথের সাথি ভাবি মনে তাই।
তুমি মরণ ভুলে
কোন্ অনন্ত প্রাণসাগরে আনন্দে ভাস॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: রবীন্দ্রনাথের পাণ্ডুলিপি MS. NO 478 -এ গানটি পাওয়া যায়। [পাণ্ডুলিপি]
পাঠভেদ:
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান:
১৩১৬ বঙ্গাব্দের
১০ থেকে ১৭ই পৌষ পর্যন্ত রবীন্দ্র শান্তিনিকেতনে
কাটান। এই সময় তিনি এই গানটি-সহ মোট ৪টি গান রচনা করেছিলেন। এর ভিতরে তিনি
এই গানটি রচনা করেছিলেন ১২ পৌষ ১৩১৬ [শনিবার, ২৫ ডিসেম্বর ১৯০৯] তারিখে। এই
সময় রবীন্দ্রনাথের
বয়স ছিল ৪৮ বৎসর
৮ মাস।
[রবীন্দ্রনাথের ৪৮ বৎসর বয়সে রচিত গানের তালিকা]
গীতবিতানের পূজা (উপ-বিভাগ : বাউল-১২) পর্যায়ের ৫৫৭ সংখ্যক গান।
গীতলিপি দ্বিতীয় ভাগ (৬ আষাঢ়, ১৩১৭ বঙ্গাব্দ, ২০ জুন ১৯১০ খ্রিষ্টাব্দ)। সুরেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায়-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
গীতাঞ্জলি (শ্রাবণ ১৩১৭ বঙ্গাব্দ)। ৫১ সংখ্যক গান। রবীন্দ্ররচনাবলী একাদশ খণ্ড (বিশ্বভারত)। পৃষ্ঠা ৪৩।
গীতিচর্চ্চা [বিশ্বভারতী, পৌষ ১৩৩২ বঙ্গাব্দ। গান সংখ্যা ১৯৪। পৃষ্ঠা: ১৫৪-১৫৫] [নমুনা: প্রথমাংশ, শেষাংশ]
সঙ্গীত-গীতাঞ্জলি (১৯২৭ খ্রীষ্টাব্দ)। ভীমরাও শাস্ত্রী-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
স্বরবিতান অষ্টাত্রিংশ (৩৮) খণ্ডের প্রথম গান। পৃষ্ঠা ৫-৭।
পত্রিকা:
তত্ত্ববোধিনী (ফাল্গুন ১৮৩১ শকাব্দ, ১৩১৬ বঙ্গাব্দ)। বাউলের সুর-কাহারবা। পৃষ্ঠা ১৭৮।
পরিবেশনা: ১৩১৬ বঙ্গাব্দের ৬ মাঘ [বুধ ১৯ জানুয়ারি ১৯১০ খ্রিষ্টাব্দ] তারিখে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের তিরোভাবের পঞ্চম সাংবৎ্সরিক স্মরণসভায়, রবীন্দ্রনাথ একটি সুদীর্ঘ প্রবন্ধ পাঠ করেন। উক্ত সভায় গান দু'টি পরিবেশিত হয়েছিল। গান দু'টি হলো-
১। নিভৃত প্রাণের দেবতা যেখানে জাগেন একা। পূজা-৩০০।
২। কোন আলোতে প্রাণের প্রদীপ
স্বরলিপি:
স্বরলিপিকার:
সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বরবিতান-৩৮, গীতলিপি দ্বিতীয় ভাগ
ভীমরাও শাস্ত্রী। সঙ্গীত গীতাঞ্জলি
সুর ও তাল:
অঙ্গ: বাউল। তাল: কাহারবা। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬। পৃষ্ঠা: ৪৭]
গ্রহস্বর- ন। লয়-মধ্য।