কোথায় আলো, কোথায় ওরে আলো !
বিরহানলে জ্বালো রে তারে জ্বালো ॥
রয়েছে দীপ, না আছে শিখা, এই কি ভালে ছিল রে লিখা—
ইহার চেয়ে মরণ সে যে ভালো
বিরহানলে প্রদীপখানি জ্বালো ॥
বেদনাদূতী গাহিছে, ওরে প্রাণ,
তোমার লাগি জাগেন ভগবান।
নিশীথে ঘন অন্ধকারে ডাকেন তোরে প্রেমাভিসারে,
দুঃখ দিয়ে রাখেন তোর মান।
তোমার লাগি জাগেন ভগবান।'
গগনতল গিয়েছে মেঘে ভরি,
বাদলজল পড়িছে ঝরি ঝরি।
এ ঘোর রাতে কিসের লাগি পরান মম সহসা জাগি
এমন কেন করিছে মরি মরি।
বাদল-জল পড়িছে ঝরি ঝরি ॥
বিজুলি শুধু ক্ষণিক আভা হানে,
নিবিড়তর তিমির চোখে আনে।
জানি না কোথা অনেক দূরে বাজিল গান গভীর সুরে,
সকল প্রাণ টানিছে পথ পানে
নিবিড়তর তিমির চোখে আনে।
কোথায় আলো, কোথায় ওরে আলো !
বিরহানলে জ্বালো রে তারে জ্বালো।
ডাকিছে মেঘ, হাঁকিছে হাওয়া, সময় হবে না যাওয়া—
নিবিড় নিশা নিকষঘনকালো।
পরান দিয়ে প্রেমের দীপ জ্বালো ॥
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ
(বিশ্বভারতী, মাঘ ১৩৪৮),
পর্যায়:
পূজা,
উপবিভাগ:
বিরহ
২,
পৃষ্ঠা: ৫৫-৫৬।
[নমুনা:
১,
২]
অখণ্ড, তৃতীয় সংস্করণ
(বিশ্বভারতী ১৩৮০)।
পূজা
১২৯। উপবিভাগ: বিরহ
২।
পৃষ্ঠা ৫৯-৬০।
রবীন্দ্ররচনাবলী একাদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী, আশ্বিন ১৩৯৩)। ১৭ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ১৭-১৮।
ছোট কবিতাটি তোমার ভাল লাগিয়াছে শুনিয়া খুসি হইলাম। ইহার নাম দিতে পার- দুঃখভিসার। এই কবিতা সুরে বসাইয়াছি- যদি ইচ্ছা কর দিনেন্দ্রকে দিয়া স্বরলিপি করাইয়া তাহা তোমাদিগকে পাঠাইয়া দিতে পার।'