ঝম্পক
এটি একটি ৫ মাত্রা বিশিষ্ট বিষমপদী তাল। হিন্দুস্থানী সঙ্গীতে এই তালের প্রচলন
ছে। রবীন্দ্রনাথ এই ছন্দটি প্রথম বাঙলা গানে প্রয়োগ করেন। এই ছন্দটি ঝম্পক নামেই রিচিত। খুব যত্নের সাথে এই তালটি প্রয়োগ করতে হয়। নইলে সহজেই ছন্দ উল্টে গিয়ে 'অর্ধ-ঝাঁপতাল'- রূপান্তরিত হয়ে যতে পারে। নিচে তালটির ঠকা উল্লেখ করা হলো
 

                                                                শ্রবণ নমুনা: স্বরূপ হোসেন

 

+ 

     

 

+ 

ধিন্

ধিন্

না

ধিন্

না

ধিন্

 

 ৪

 

 

 

এই তালে নিবদ্ধ গানের সংখ্যা মোট ২৫টি।
 

১. আজি ঝড়ের রাতে তোমার অভিসার [প্রকৃতি-৯৫] [তথ্য]

২. আজি শ্রাবণঘনগহন মোহে [প্রকৃতি-৯৪] [তথ্য]

৩. বার এরা ঘিরেছে মার মন[পূজা-১৬৬] [তথ্য]

৪. আবার মোরে পাগল করে [প্রেম ও প্রকৃতি ৪৯] [তথ্য]

৫. আমারে তুমি অশেষ করেছ, এমনি লীলা তব [পূজা-৫৪] [তথ্য]

৬. আমারে যদি জাগালে আজি নাথ [প্রকৃতি-৯৭] [তথ্য]

৭. এই তো তোমার আলোকধেনু [পূজা-৫২০] [তথ্য]

৮. এই লভিনু সঙ্গ তব [পূজা-৫১৬] [তথ্য]

৯. এমনি করে ঘুরিব দূরে বাহির [পূজা-৩৬০] [তথ্য]

১০. কোথা বাইরে দূরে যায় রে উড়ে [প্রেম-৩২৭] [তথ্য]

১১. কোথায় আলো, কোথায় ওরে আলো [পূজা-১২৯] [তথ্য]

১২. চপল তব নবীন আঁখি দুটি [প্রেম-৭৭] [তথ্য]

১৩. তোমার কটি-তটের ধটি [নাট্যগীতি-৮৩] [তথ্য]
১৪.
তোমার বীণা আমার মনোমাঝে। [পূজা-৭] [তথ্য]

১৫.দুখের বেশে এসেছ বলে [পূজা-২৩০] [তথ্য]
১৬. ধায় যেন মোর সকল ভালোবাসা [পূজা-৯৪] [তথ্য]
১৭. না বাঁচাবে আমায় যদি মারবে কেন তবে [পূজা-২০৬] তথ্য
]

১৮. নিবিড় অমা-তিমির হতে [প্রকৃতি-২৪২] [তথ্য]

১৯. পেয়েছি ছুটি, বিদায় দেহো ভাই [পূজা-৫৯৮] [তথ্য]

২০. বাহির পথে বিবাগি হিয়া [প্রেম-৩২১] [তথ্য]

২১. বিপদে মোরে রক্ষা করো  নহে মোর প্রার্থনা [পূজা-২২৭] [তথ্য]

২২. বিরস দিন বিরল কাজ [প্রেম-২৮] [তথ্য]

২৩. যে ধ্রুবপদ দিয়েছে বাঁধি বিশ্বতানে [পূজা-৩৩৫] [তথ্য]

২৪. যেতে যেতে একলা পথে নিবেছে মোর বাতি [পূজা-২০৫] [তথ্য]

২৫. শুভ্র নব শঙ্খ তব গগন ভরি বাজে [পূজা-২৬৪] [তথ্য]


সূত্র :
তবলা শিক্ষা
। বি. বটব্যাল।