বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা :
শিরোনাম: বিপদে মোরে রক্ষা করো এ নহে মোর প্রার্থনা
পাঠ ও পাঠভেদ:
বিপদে মোরে রক্ষা করো এ নহে মোর প্রার্থনা—
বিপদে আমি না যেন করি ভয়।
দুঃখতাপে ব্যথিত চিতে নাই বা দিলে সান্ত্বনা,
দুঃখে যেন করিতে পারি জয়॥
সহায় মোর না যদি জুটে নিজের বল না যেন টুটে—
সংসারেতে ঘটিলে ক্ষতি, লভিলে শুধু বঞ্চনা,
নিজের মনে না যেন মানি ক্ষয়॥
আমারে তুমি করিবে ত্রাণ এ নহে মোর প্রার্থনা—
তরিতে পারি শকতি যেন রয়।
আমার ভার লাঘব করি নাই বা দিলে সান্ত্বনা,
বহিতে পারি এমনি যেন হয়॥
নম্রশিরে সুখের দিনে তোমারি মুখ লইব চিনে—
দুখের রাতে নিখিল ধরা যে দিন করে বঞ্চনা
তোমারে যেন না করি সংশয়॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: পাণ্ডুলিপিতে গানটি পাওয়া যায় নি।
পাঠভেদ:
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান:
গানটির রচনাকাল সম্পর্কে
সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না।
গীতাঞ্জলি
প্রথম সংস্করণ (১৩১৭
বঙ্গাব্দ)-এ
গানটির নিচে লেখা আছে ১৩১৩। এই বিচারে বলা যায়, গানটি রচনার সময় রবীন্দ্রনাথের
বয়স ছিক ৪৫ বৎসর।
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
গীতবিতান
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ [বিশ্বভারতী, আশ্বিন ১৩৩৮,
গান (১৩১৫
বঙ্গাব্দ) থেকে গৃহীত হয়েছিল। পৃষ্ঠা: ৩০৭-৩০৮]
[নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
অখণ্ড সংস্করণ,তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৮০)।
পূজা
২২৭, উপ-বিভাগ:
দুঃখ-৩৬।
গীতাঞ্জলি
রবীন্দ্ররচনাবলী একাদশ (বিশ্বভারতী)। পৃষ্ঠা: ৭। ৪র্থ গান]
ধর্ম্মসঙ্গীত [ইন্ডিয়ান প্রেস্ লিমিটেড, ১৩২১ বঙ্গাব্দ)। পৃষ্ঠা: ৫৭-৫৮] [নমুনা: প্রথমাংশ, শেষাংশ]
ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি পঞ্চম ভাগ (৯ বৈশাখ ১৩১৬ বঙ্গাব্দ)। ইমনকল্যাণ-ঝম্পক। কাঙ্গালীচরণ সেন-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
সঙ্গীত-গীতাঞ্জলি [১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দ, ১৩৩৪ বঙ্গাব্দ]। ভীমরাও শাস্ত্রী-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
সঞ্চয়িতা [বিশ্বভারতী, পৌষ ১৩৩৮, গীতাঞ্জলি, শিরোনাম: আত্মত্রাণ। ৪৬৪] [নমুনা]
স্বরবিতান পঞ্চবিংশ (২৫) খণ্ডের ১৯ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ৪৬-৪৯।
পত্রিকা:
রেকর্ডসূত্র: রেকর্ড সূত্র পাওয়া যায় নি।
প্রকাশের
কালানুক্রম:
গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল
'বঙ্গদর্শন' পত্রিকার 'ভাদ্র
১৩১৪
বঙ্গাব্দ' সংখ্যায়। একই
বৎসরে 'সঙ্গীত
প্রকাশিকা' পত্রিকার ভাদ্র ১৩১৪ বঙ্গাব্দ
সংখ্যায় গানটি প্রকাশিত হয়েছিল।
এরপর গানটি
১১ মাঘ ১৩১৪ বঙ্গাব্দ [শনিবার,
২৫ জানুয়ারি ১৯০৮ খ্রিষ্টাব্দ]-এ
অনুষ্ঠিত
অষ্টসপ্ততিতম
(৭৮) সাংবৎসরিক মাঘোৎসব-এ
গীত হয়েছিল। এই উৎসবের বিবরণ-সহ গানটি প্রকাশিত হয়েছিল তত্ত্ববোধিনী
পত্রিকার 'ফাল্গুন ১৩১৪ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায়।
এরপর গানটি অন্যান্য আর যে সকল গ্রন্থাদিতে প্রকাশিত হয়েছিল
সেগুলো হলো-
গান (প্রথম সংস্করণ,
১৩১৫ বঙ্গাব্দ)ও
দ্বিতীয় সংস্করণ ১৩১৬ বঙ্গাব্দ),
ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি পঞ্চম
ভাগ (১৩১৬ বঙ্গাব্দ),
গীতাঞ্জলি
প্রথম সংস্করণ
(১৩১৭ বঙ্গাব্দ),
ধর্ম্মসঙ্গীত (১৩২১ বঙ্গাব্দ),
কাব্যগ্রন্থ অষ্টম খণ্ড (১৩২৩ বঙ্গাব্দ),
গীতিচর্চ্চা (১৩৩২ বঙ্গাব্দ),
সঙ্গীত-গীতাঞ্জলি
(১৩৩৪ বঙ্গাব্দ),সঞ্চয়িতা
(পৌষ ১৩৩৮
বঙ্গাব্দ),
এরপর ১৩৩৮ বঙ্গাব্দে গানটি গীতবিতান -এর এরপর ১৩৩৮ বঙ্গাব্দে গানটি গীতবিতান -এর প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল। এরপর ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে প্রকাশিত গীতবিতান -এর প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল পূজা পর্যায়ের উপবিভাগ দুঃখ -এর ৩৬ সংখ্যক গান হিসেবে। ১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের পূজা পর্যায়ের ২২৭ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। গানটি একইভাবে অখণ্ড গীতাবিতানের তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে।
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
স্বরলিপিকার:
সুর ও তাল:
বিষয়াঙ্গ: ব্রহ্মসঙ্গীত।
সুরাঙ্গ: ধ্রুপদাঙ্গ
গ্রহস্বর: সা।
লয়: ঈষৎ দ্রুত।