যেতে যেতে একলা পথে নিবেছে মোর বাতি।
ঝড় এসেছে, ওরে, এবার ঝড়কে পেলেম সাথি॥
আকাশকোণে সর্বনেশে ক্ষণে ক্ষণে উঠছে হেসে,
প্রলয় আমার কেশে বেশে করছে মাতামাতি॥
যে পথ দিয়ে যেতেছিলেম ভুলিয়ে দিল তারে,
আবার কোথা চলতে হবে গভীর অন্ধকারে।
বুঝি বা এই বজ্ররবে নূতন পথের বার্তা কবে-
কোন্ পুরীতে গিয়ে তবে প্রভাত হবে রাতি॥
স্বরবিতান
দ্বিচত্বারিংশ [৪২,
অরূপরতন খণ্ডের ৩২ সংখ্যক গান।
পৃষ্ঠা ৯৬-৯৭]
[নমুনা]
স্বরলিপিকার: দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর
সুর ও তাল:
স্বরবিতান-১১ ও স্বরবিতান-৪২-এ গৃহীত স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিতে ছন্দোবিভাজন দেখানো হয়েছে, ৩।২; অর্থাৎ 'ঝম্পক' হিসাবে গণ্য করা যেতে পারে। কেতকী-র 'শ্রাবণ ১৩৩৫' সংস্করণে দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপিতে ৩।২।৩।২ ছন্দের একটি তাল ব্যবহৃত হয়েছিল। রবীন্দ্র-গবেষকদের মতে এটি একটি রবীন্দ্র-প্রবর্তিত তাল। বর্তমানে গানটি 'ঝম্পক' তালে প্রচলিত হলেও- উল্লিখিত ৩।২।৩।২ ছন্দের তালটির সাথে খুব একটা দ্বন্দ্ব পরিলক্ষিত হয় না।
রাগ : মল্লার। তাল: ঝম্পক/দাদরা। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা, সুধীর চন্দ, প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬], পৃষ্ঠা ৭৬।
রাগ : গৌড়মল্লার(জ্ঞ), মেঘ। তাল: ঝম্পক ছন্দান্তর একতাল। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১], পৃষ্ঠা ১৩২।
বিষয়াঙ্গ:
সুরাঙ্গ:
গ্রহস্বর: রা।
লয়: মধ্য।