বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
শিরোনাম:
যেতে যেতে একলা পথে নিবেছে মোর বাতি
পাঠ
ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান
( বিশ্বভারতী,
কার্তিক ১৪১২)-এর
পাঠ: পূজা : ২০৫।
দুঃখ-১৪
যেতে যেতে একলা পথে নিবেছে মোর বাতি।
ঝড় এসেছে, ওরে, এবার ঝড়কে পেলেম সাথি॥
আকাশকোণে সর্বনেশে ক্ষণে ক্ষণে উঠছে হেসে,
প্রলয় আমার কেশে বেশে করছে মাতামাতি॥
যে পথ দিয়ে যেতেছিলেম ভুলিয়ে দিল তারে,
আবার কোথা চলতে হবে গভীর অন্ধকারে।
বুঝি বা এই বজ্ররবে নূতন পথের বার্তা কবে-
কোন্ পুরীতে গিয়ে তবে প্রভাত হবে রাতি॥
- পাণ্ডুলিপির
পাঠ: [
RBVBMS 229]
[
নমুনা
তথ্যানুসন্ধান
-
ক. রচনাকাল ও স্থান:
রবীন্দ্রনাথের
পাণ্ডুলিপি
RBVBMS 229
তে
লিখিত এই গানের শেষে সময় ও স্থান লেখা আছে- '২৬ ভাদ্র/অপরাহ্ণ
।
উল্লেখ্য,
১৩২১ বঙ্গাব্দের ভাদ্র মাসে
রবীন্দ্রনাথের বড় ছেলে রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর সুরুলের কুঠি বাড়িতে কৃষি-গবেষণার
জন্য বসবাস শুরু করেছিলেন। এই সময় রবীন্দ্রনাথ প্রতিদিনই গরুর গাড়িতে সকাল
বেলায় শান্তিনিকেতন থেকে সুরুল যেতেন এবং বিকেলে ফিরে আসতেন। রবীন্দ্রনাথের
এই যাতায়াত শুরু হয়েছিল ৮ই ভাদ্র থেকে এবং শেষ হয়েছিল ২২শে
আশ্বিন তারিখে রবীন্দ্রনাথ বুদ্ধগয়া যাওয়ার আগের দিন পর্যন্ত। রবীন্দ্রনাথের এই যাতায়াত
শুরু হয়েছিল ৮ই ভাদ্র থেকে এবং শেষ হয়েছিল ২২শে
আশ্বিন তারিখে রবীন্দ্রনাথ বুদ্ধগয়া যাওয়ার আগের দিন পর্যন্ত। তাঁর এই আসা-যাওয়ার ভিতরে ২০শে আশ্বিন
পর্যন্ত ৫৭টি গান রচনা করেছিলেন। এর ভিতরে এই গানটি তিনি
২৬ ভাদ্র অপরাহ্ণ [শনিবার, ১২
সেপ্টেম্বর] সুরুল-এ রচনা করেছিলেন। এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৫৩
বৎসর ৫ মাস।
[৫৩ বৎসর
অতিক্রান্ত বয়সে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
প্রকাশের
কালানুক্রম: গানটি প্রথম ১৩২১ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত হয়েছিল গীতালির
অন্তর্ভুক্ত হয়ে। এরপর ১৩২৩ বঙ্গাব্দে কাব্যগ্রন্থ নবম খণ্ডে এবং ১৩৩৫
বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে কেতকীর প্রথম সংস্করণে গৃহীত হয়েছিল।
এরপর ১৩৩৮ বঙ্গাব্দে গানটি গীতবিতান -এর দ্বিতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণ অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল। এরপর ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে প্রকাশিত গীতবিতান -এর প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল পূজা পর্যায়ের উপবিভাগ দুঃখ-এর ১৪ সংখ্যক গান হিসেবে। ১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের পূজা পর্যায়ের ২০৫ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। গানটি একইভাবে অখণ্ড গীতাবিতানের তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে।
গ. সঙ্গীতবিষয়ক তথ্যাবলী:
- স্বরলিপি:
- স্বরবিতান-১১
ও স্বরবিতান-৪২-এ গৃহীত দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপিটি সুরভেদ
হিসাবে দেখানো
হয়েছে। স্বরবিতান-১১ ও স্বরবিতান-৪২-এ
গৃহীত মূল স্বরলিপিটি কে করেছেন তা স্পষ্ট জানা
যায় না।
- একটি সুরান্তর দেখা যায় স্বরবিতান দ্বিচত্বারিংশ
(৪২, অরূপরতন) -এ। এই স্বরবিতানে মুদ্রিত স্বরলিপিটির সপ্তম
স্তবকটির শেষ শব্দ "কবে"এর স্বরলিপি দেয়া আছে-
পণা ণপা
ক০ বে
অপরদিকে
স্বরবিতান
একাদশ (১১ , কেতকী)
-এর একই অংশে কোন স্পর্শস্বর দেখা যায়না।
-
স্বরলিপিকার:
দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর
- সুর ও তাল:
-
স্বরবিতান-১১ ও স্বরবিতান-৪২-এ গৃহীত স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই উক্ত স্বরলিপিতে ছন্দোবিভাজন দে খানো হয়েছে, ৩ । ২ অর্থাৎ ' ঝম্পক ' হিসাবে গণ্য করা যে তে পারে। কেতকী-র 'শ্রাবণ ১৩৩৫' সংস্করণে দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপিতে ৩।২।৩।২ ছন্দের একটি তাল ব্যবহৃত হয়েছিল। রবীন্দ্র-গবেষকদের মতে এটি একটি রবীন্দ্র-প্রবর্তিত তাল। বর্তমানে গানটি 'ঝম্পক' তালে প্রচলিত হলেও- উল্লিখিত ৩।২।৩।২ ছন্দের তালটির সাথে খুব একটা দ্বন্দ্ব পরিলক্ষিত হয় না।
-
রাগ:
মল্লার। তাল:
ঝম্পক /দাদরা।
[রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা, সুধীর চন্দ,
প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬], পৃষ্ঠা ৭৬।
-
রাগ:
গৌড়মল্লার(জ্ঞ), মেঘ। তাল:
ঝম্পক
ছন্দান্তর
একতাল।
[রাগরাগিণীর এলাকায়
রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি,
জুলাই ২০০১], পৃষ্ঠা ১৩২।
- বিষয়াঙ্গ: পূজা
- সুরাঙ্গ: রাগাশ্রয়ী
- রাগ:
গৌড় মল্লার
-
গ্রহস্বর:
রা।
- লয়:
মধ্য।