বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
যে ধ্রুবপদ
দিয়েছে বাঁধি বিশ্বতানে
পাঠ ও পাঠভেদ:
যে ধ্রুবপদ দিয়েছে বাঁধি বিশ্বতানে
মিলাব তাই জীবনগানে ॥
গগনে তব বিমল নীল- হৃদয়ে লব তাহারি মিল,
শান্তিময়ী গভীর বাণী নীরব প্রাণে ॥
বাজায় উষা নিশীথকূলে যে গীতভাষা
সে ধ্বনি নিয়ে জাগিবে মোর নবীন আশা।
ফুলের মতো সহজ সুরে প্রভাত মম উঠিবে পূরে,
সন্ধ্যা মম সে সুরে যেন মরিতে জানে ॥
এরূপ ৮টি গানের সাথে ১৩৩৪ উল্লেখ আছে। এই বিচারে ধারণা করা যায়, গানটি ১৩৩৪
বঙ্গাব্দের ২রা মাঘ রচিত হয়েছিল।
এছাড়া বর্তমানে প্রচলিত গীতমালিকা প্রথম খণ্ডে (স্বরবিতান ৩০ খণ্ড)
'রচনাকাল/প্রকাশকাল' পত্রে গানটির এ রচনাকাল উল্লেখ করা হয় '২ মাঘ [১৩৩৪]'।
উল্লেখ্য, ১৩৩৩ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত এই গ্রন্থের প্রথম সংস্করণ'-এ গানটি ছিল না।
১৩৪৫ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত গ্রন্থটির দ্বিতীয় সংস্করণে এই গানটি ৪৭ সংখ্যক গান
হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
মূলত ১৩৩৪
বঙ্গাব্দের
মাঘ মাসের ১ তারিখ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনে থাকাকালে
এই গানটিসহ মোট ১২টি গান রচনা করেছিলেন। এই সময়
রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৬৫ বৎসর ৯ মাস।
[রবীন্দ্রনাথের
৬৬ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
স্বরবিতান ত্রিংশ (৩০, গীতমালিকা-১ম খণ্ড) খণ্ডের ৪৭ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ১৪৮-৫০] [নমুনা]
পত্রিকা: নাই
রেকর্ডসূত্র: নাই।
প্রকাশের
কালানুক্রম:
গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল
১৩৩৯ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত
গীতবিতানের
তৃতীয় খণ্ডের প্রথম সংস্করণে
'আধুনিক সংগ্রহ' বিভাগে। এরপর ১৩৪৫ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত গীতমালিকা
১ম খণ্ডে এই গানটি-সহ মোট দশটি গান সংযোজিত হয়েছিল।
১৩৪৮ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত
গীতবিতানের
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণে
পূজা
পর্যায়ের বিশ্ব
উপবিভাগের দ্বিতীয় গান হিসেবে।
১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের
পূজা
পর্যায়ের ৩৩৫।
স্বরলিপিকার: দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপিটি গীতমালিকা ১ম-খণ্ডের ১৩৪৫ সংস্করণে ৩।২।৩।২ ছন্দ-বিভাজনে মুদ্রিত হয়েছিল। পরবর্তী কালে স্বরবিতান-৩০-এ ৩।২ মাত্রা ছন্দে গৃহীত হয়।
সুর ও তাল:
স্বরবিতান ত্রিংশ (৩০, গীতমালিকা-১ম খণ্ড) খণ্ডের ( বঙ্গাব্দ) গৃহীত গানটির স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিতে ছন্দ-বিভাজন দেখানো হয়েছে- ৩।২। অর্থাৎ গানটি তালটিকে 'ঝম্পক' তালে নিবদ্ধ। গীতমালিকা ১ম-খণ্ডের ১৩৪৫ সংস্করণে ৩।২।৩।২ ছন্দ-বিভাজনে মুদ্রিত হয়েছিল। ধারণা করা হয়- এই ছন্দটি রবীন্দ্রনাথের উদ্ভাবিত ছিল। তবে এই ছন্দটির নামকরণ করা হয় নি।
রাগ : সাহানা। তাল: ঝম্পক। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা, সুধীর চন্দ, প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬], পৃষ্ঠা ৭৬।
রাগ : সাহানা। তাল: ঝম্পক। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১], পৃষ্ঠা ১৩২।
গ্রহস্বর: ধা।
লয়: মধ্য।