এমনি করে ঘুরিব দূরে বাহিরে,
আর তো গতি নাহি রে মোর নাহি রে ॥
যে পথে তব রথের রেখা ধরিয়া
আপনা হতে কুসুম উঠে ভরিয়া,
চন্দ্র ছুটে, সূর্য ছুটে, সে পথতলে পড়িব লুটে-
সবার পানে রহিব শুধু চাহি রে ॥
তোমার ছায়া পড়ে যে সরোবরে গো।
জলের ঢেউ তরল তানে সে ছায়া লয়ে মাতিল গানে,
ঘিরিয়া তারে ফিরিব তরী বাহি রে।
যে বাঁশিখানি বাজিছে তব ভবনে
সহসা তাহা শুনিব মধু পবনে।
তাকায়ে রব দ্বারের পানে, সে তানখানি লইয়া কানে
বাজায়ে বীণা বেড়াব গান গাহি রে ॥
রবীন্দ্ররচনাবলী একাদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী)। ২৫ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ১৫৪।
স্বরবিতান একচত্বারিংশ (৪১) খণ্ডের নবম গান। পৃষ্ঠা ২৬-২৮] [নমুনা]
রাগ-মিশ্র বেহাগ। তাল-ঝম্পক। (তত্ত্ববোধিনী)।
স্বরবিতান-৪১-এ গৃহীত গানটির স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিতে ছন্দোবিভাজন দেখানো হয়েছে, ৩।২ ছন্দ ; অর্থাৎ গানটি 'ঝম্পক' নিবদ্ধ।
গ্রহস্বর-সা।
লয়-মধ্য।