বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
শিরোনাম: দুখের বেশে এসেছ ব'লে তোমারে নাহি ডরিব হে
পাঠ ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান
অখণ্ড (বিশ্বভারতী, কার্তিক ১৪১২ )-এর
পূজা
পর্যায়ের ২৩০ সংখ্যক গান। উপবিভাগ
দুঃখ
৩৯,
দুখের বেশে এসেছ ব'লে
তোমারে নাহি ডরিব
হে।
যেখানে ব্যথা
তোমারে সেথা নিবিড় ক'রে
ধরিব হে ॥
আঁধারে মুখ
ঢাকিলে,
স্বামী, তোমারে তবু চিনিব আমি—
মরণরূপে আসিলে,
প্রভু,
চরণ ধরি মরিব হে।
যেমন করে দাও-না
দেখা তোমারে নাহি ডরিব হে ॥
নয়নে আজি ঝরিছে
জল, ঝরুক জল
নয়নে হে।
বাজিছে বুকে
বাজুক তব কঠিন বাহু-বাঁধনে হে।
তুমি যে আছ বক্ষে ধরে, বেদনা তাহা জানাক
মোরে—
চাব না কিছু,
কব না কথা,
চাহিয়া রব বদনে হে॥
-
তথ্যানুসন্ধান
- পাণ্ডুলিপির পাঠ:
রবীন্দ্রনাথের পাণ্ডুলিপিতে
গানটি পাওয়া যায় নি।
-
পাঠভেদ:
পাঠভেদ
নেই।
-
ক. রচনাকাল ও স্থান: প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়
তাঁর 'গীতবিতান কালানুক্রমিক সূচি' গ্রন্থে এই গানটির রচনাকাল সম্পর্কে লিখেছেন-
' অনুমান ১৩১২ সালের ৬ই মাঘ মহর্ষির সাম্বৎসরিক শ্রাদ্ধোৎসব উপলক্ষে রচিত।' এই বিচারে
বলা যেতে পারে- গানটি রবীন্দ্রনাথের ৪৪ বৎসর ৯
মাস বয়সের রচনা ।
[রবীন্দ্রনাথের
৪৪ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
- খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
- পত্রিকা:
-
বঙ্গদর্শন
(মাঘ ১৩১২ বঙ্গাব্দ)।
শিরোনাম-দুঃখমূত্তি'। পৃষ্ঠা ৪৮৮-৮৯।
-
সঙ্গীত প্রকাশিকা (পৌষ ১৩১৪ বঙ্গাব্দ)।
ইমন কল্যাণ-ঝম্পক। পৃষ্ঠা ৮৭-৮৮।
-
তত্ত্ববোধিনী (ফাল্গুন ১৩১৪ বঙ্গাব্দ)।
মিশ্র ইমন কল্যাণ--ঝম্পক।
পৃষ্ঠা ১৮৪
[নমুনা]
- রেকর্ডসূত্র: ১৯১৬ থেকে ১৯২৫ খ্রিষ্টাব্দের
ভিতরে 'গ্রামোফোন রেকর্ড' এই গানের একটি রেকর্ড প্রকাশ করেছিল।
শিল্পী ছিলেন শরদিন্দু ঘোষ। রেকর্ড নম্বর
P 5821
প্রকাশের কালানুক্রম: এই গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল
বঙ্গদর্শন পত্রিকার মাঘ সংখ্যায়। এরপর খেয়া
কাব্যগ্রন্থের
প্রথম সংস্করণে ( ১৩১৩
বঙ্গাব্দ) গানটি 'দুঃখমূর্ত্তি' শিরোনামে অন্তর্ভুক্ত
হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল। এরপর
সঙ্গীত প্রকাশিকা পত্রিকা পৌষ ১৩১৪ সংখ্যায়
গানটি প্রকাশিত হয়। এই বছরের
১১ মাঘ [২৫ জানুয়ারি ১৯০৮ খ্রিষ্টাব্দ]-এ
অষ্টসপ্ততিতম (৭৮) সাংবৎসরিক মাঘোৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এ ই
মাঘোৎসব উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথের ১৫টি গান পরিবেশিত হয়েছিল।
এর ভিতরে এই
গানটিও গীত হয়েছিল। এই উৎসবের অন্যান্য গানের সাথে এই গানটি প্রকাশিত
হয়েছিল
তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার 'ফাল্গুন ১৩১৪ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায়। এরপর যে সকল গ্রন্থাদিতে
গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল, সেগুলো হলো- গান
প্রথম সংস্করণ
(১৩১৫ বঙ্গাব্দ), গান
দ্বিতীয় সংস্করণ
(১৩১৬ বঙ্গাব্দ),গান
তৃতীয় সংস্করণ,
ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি
পঞ্চম ভাগ (১৩১৬ বঙ্গাব্দ)
ধর্ম্মসঙ্গীত (১৩২১ বঙ্গাব্দ),
কাব্যগ্রন্থ সপ্তম খণ্ড
(১৩২৩ বঙ্গাব্দ)।
এরপর ১৩৩৮ বঙ্গাব্দে গানটি
গীতবিতান -এর
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল। এরপর
১৩৪৮ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে প্রকাশিত গীতবিতান -এর
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণে গানটি
অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল
পূজা
পর্যায়ের উপবিভাগ
দুঃখ -এর ৩৯
সংখ্যক গান হিসেবে। ১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের
পূজা পর্যায়ের ২৩০ সংখ্যক গান হিসেবে
অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। গানটি একইভাবে অখণ্ড গীতাবিতানের তৃতীয় সংস্করণ
প্রকাশিত হয়েছিল পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে।
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
- স্বরলিপিকার:
কাঙ্গালীচরণ সেন।
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ:
পূজা (দুঃখ)।
ব্রহ্মসঙ্গীত।
- সুরাঙ্গ: ধ্রুপদাঙ্গ।
- রাগ:
-
ইমনকল্যাণ।
-
স্বরবিতান পঞ্চবিংশ (২৫)
- স্বরবিতান-২৫ -এর ৬৮
পৃষ্ঠায় লিখিত রয়েছে-
ব্রহ্ম সঙ্গীত-স্বরলিপি ৫ (বৈশাখ ১৩১৬ বঙ্গাব্দ)
কাঙ্গালীচরণ সেন-কৃত স্বরলিপি : ইমনকল্যাণ স্থলে মিশ্র
ইমন্ কল্যাণ রাগ উল্লিখিত।' রূপান্তরিত স্বরলিপিটি কার
তা জানা যায় না।
- [ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি-৫]
- [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ।
প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬ । পৃষ্ঠা: ৫৯]
- [রাগ-রাগিণীর এলাকায়
রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী। পশ্চিমবঙ্গ
রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ১০৩]
[ইমন
কল্যাণ রাগে নিবদ্ধ রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
- তাল:
ঝম্পক।
- [ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি-৫]
- [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ।
প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬ । পৃষ্ঠা: ৫৯]
- [রাগ-রাগিণীর এলাকায়
রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী। পশ্চিমবঙ্গ
রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ১০৩]
[ঝম্পক তালে নিবদ্ধ রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা
]
গ্রহস্বর: সা।
লয়: মধ্য।