৪৪ বৎসর অতিক্রান্ত বয়স

২৫ বৈশাখ ১৩১২ বঙ্গাব্দ থেকে ২৪ বৈশাখ ১৩১৩ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত (৭ মে ১৯০৫- ৬ মে ১৯০৬ খ্রিষ্টাব্দ)


১৩১২ বঙ্গাব্দের ১৫ শ্রাবণ [সোমবার ৩১ জুলাই ১৯০৫ খ্রিষ্টাব্দ], রবীন্দ্রনাথ খেয়া শিরোনামে একটি কবিতা রচনা করেন। পরে তিনি সুরারোপ করে, এই  কবিতাটিকে গানে পরিণত করেন। গানটি হলো-
            তুমি এ-পার ও-পার কর কে গো [পূজা-১৪৭] [তথ্য]

বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে ৭ই আগষ্ট ১৯০৫ খ্রিষ্টাব্দে, কলিকাতার টাউন হলে যে সভা হয়, সেই সভা উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথের যে নতুন গানটি গীত হয়েছিল, তা হলো-
           
আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি [স্বদেশ-১] [[তথ্য]

১৩১২ বঙ্গাব্দের ১৬ ভাদ্র
(শুক্র ১ সেপ্টেম্বর ১৯০৫ খ্রিষ্টাব্দ) তারিখে ব্রিটিশ ভারতের শীতকালীন রাজধানী সিমলা থেকে বঙ্গভঙ্গ কার্যকরী ওয়া হয়।

১৩১২ বঙ্গাব্দের ৩০ আশ্বিন [
১৬ অক্টোবর ১৯০৫ খ্রিষ্টাব্দ] থেকে  কলকাতায় বঙ্গভঙ্গ আইন বাতিলের জন্য আন্দোলন তীব্রতর হয়ে ওঠে ভাদ্র মাসের ২৬ তারিখে রবীন্দ্রনাথ গিরিডিতে পৌঁছে স্বদেশী গানসহ বাউলাঙ্গের গান রচনা করেন এই গানগুলো ২৬ ভাদ্র থেকে ২৬শে আশ্বিনের ভিতরে রচিত হয়েছিল। িে ১৩টি ান ভাণ্ডার পত্রিকার ভাদ্র-আশ্বিন সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল। এই গানগুলো হলো

. এবার তোর মরা গাঙে বান এসেছ
. যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে
৩. আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে কখন আপনি
৪.
 মা কি তুই পরের দ্বারে পাঠাবি তোর ছেলে
৫. তোর আপন জনে ছাড়বে তোরে
৬. ছি ছি চোখের জলে ভেজাস নে আর মাটি
৭. যে তোমায় ছাড়ে ছাড়ুক
৮.
যে তোরে পাগল বলে
. ওরে, তোরা নেই বা কথা বললি
১০.
 যদি তোর ভাবনা থাকে ফিরে যা-না
. আপনি অবশ হলি, তবে বল্ দিবি তুই কারে
১২.
ও জোনাকি কী সুখে ঐ ডানা দুটি মেলেছ
১৩.
বাংলার মাটি, বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল

১৩১২ বঙ্গাব্দের ২৭ ভাদ্র [মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ১৯০৫ খ্রিষ্টাব্দ], গিরিডিতে থাকাকালীন সময়ে, রবীন্দ্রনাথ ঘাটে শিরোনামে একটি কবিতা রচনা করেন।  পরে তিনি সুরারোপ করে, এই  কবিতাটিকে গানে পরিণত করেন। গানটি হলো-
           
আমার নাইবা হলো পারে যাওয়া [বিচিত্র-১২] [তথ্য]

১৩১২ বঙ্গাব্দের ১১ আশ্বিনের কিছু পূর্বে রবীন্দ্রনাথ একটি গান রচনা করেন। গানটি হলো
           
ঘরে মুখ মলিন দেখে গলিস নে- ওরে ভাই [স্বদেশ-৩১] [তথ্য]

আশ্বিন মাসের ২১ থেকে ২৫ আশ্বিনের ভিতরে ৫টি গান রচনা করেন। এই গানগুলোর সুনির্‌দিষ্ট তারিখ পাওয়া যায়। এই পাঁচটি গান হলো

            [২১ আশ্বিন] বিধির বাঁধন কাটবে তুমি এমন শক্তিমান [স্বদেশ-] [তথ্য]
            [২১ আশ্বিন]
আমাদের যাত্রা হল শুরু এখনওগো কর্ণধার [স্বদেশ-১৩] [তথ্য]
           
[২২ আশ্বিন] ওদের বাঁধন যতই শক্ত হবে
           
[২৪ আশ্বিন] আজ সবাই জুটে আসুক ছুটে
            [২৫ আশ্বিন] ওরে ভাই মিথ্যে ভেব না

বাউল নামক গ্রন্থে (আশ্বিন মাসে প্রকাশিত) আরও কিছু গান পাওয়া যায়, যেগুলোর সাথে রচনার তারিখের উল্লেখ নেই। এই পাঁচটি গান হলো
       
সার্থক জনম আমার জন্মেছি এই দেশে
        আমরা পথে পথে যাব সারে সারে
        ঘরে মুখ মলিন দেখে।
        আমি ভয় করব না ভয় করব না
       
 নিশিদিন ভরসা রাখিস, ওরে মন, হবেই হবে
        বুক বেঁধে তুই দাঁড়া দেখি

বঙ্গদর্শন পত্রিকার আশ্বিন ১৩১২ বঙ্গাব্দ প্রকাশিত হয় একটি গান। গানটি হলো
       
ও আমার দেশের মাটি, তোমার পরে ঠেকাই মাথা

'খেয়া'র পাণ্ডুলিপিতে প্রথম লিখিত হয়েছিল যে গানটি, তা হলো-
           
   ভুবনেশ্বর হে মোচন কর’ বন্ধন সব মোচন কর’ হে [পূজা-১২২] [তথ্য]
ই গানটি লেখা হয়েছিল ৩১-৩২ পৃষ্ঠায়। পাণ্ডুলিপিতে গানটির সাথে রচনার তারিখ উল্লেখ নেই। এই পাণ্ডুলিপির আগে পরে  লেখা হয়েছিল স্বদেশ পর্যায়ের কিছু গান। এসকল গানের সাথে মাসের নাম পাওয়া যায় 'ভাদ্র'। এই বিচারে ধারণা করা যায়, গানটি ভাদ্র-আশ্বিন মাসের দিকে রচিত। উল্লেখ্য, ১৩১২ বঙ্গাব্দের ১১ মাঘ  [বুধবার, ২৪ জানুয়ারি ১৯০৬ খ্রিষ্টাব্দ]-এ ৭৬তম মাঘোৎসবে গানটি প্রথম গীত  সাংবৎসরিক মাঘোৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এই উৎসবে কতগুলি গান পরিবেশিত হয়েছিল, তা জানা যায় নাই। পরিবেশিত গানগুলোর ভিতর শুধু এই একটি গানের সন্ধান পাওয়া যায়। যদি মাঘোৎসবকে সামনে রেখে এই গানটি রচিত হয়ে থাকে, তাহলে গানটি রবীন্দ্রনাথের ৪৪ বৎসর ৮-৯ মাস বয়সের রচনা হিসেবে হিসেবে উল্লেখ করা যায়।
 


মাসিক বসুধা পত্রিকার কার্তিক ১৩১২ সংখ্যায় প্রকাশিত হয় একটি গান। গানটি হলো
        গভীর রাতে ভক্তিভরে কে জাগে আজ

মাসিক ভাণ্ডার পত্রিকার কার্তিক ১৩১২ সংখ্যায় প্রকাশিত হয় একটি গান। গানটি হলো

        এখন আর দেরি নয়, ধরগো তোরা

RBVBMS 110 (i)  পাণ্ডুলিপিতে (নমুনা: প্রথমাংশ, দ্বিতীয়াংশ, শেষাংশ) ২৯ পৌষ সংক্রান্তিতে একটি গান রচনা করেছিলেন। গানটি হলো-

আমার গোধূলিলগন এল বুঝি কাছে [পূজা-১৪১] [তথ্য]

১৩১২ বঙ্গাব্দের ৬ মাঘ, মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাম্বৎসরিক শ্রাদ্ধোৎসব উপলক্ষে, রবীন্দ্রনাথ একটি গান রচনা করেন। গানটি হলো
       
দুখের বেশে এসেছ বলে [পূজা-২৩০] [তথ্য]

১৩১২ বঙ্গাব্দের ১১ মাঘ  [বুধবার, ২৪ জানুয়ারি ১৯০৬ খ্রিষ্টাব্দ]-এ ষট্‌সপ্ততিতম (৭৬) সাংবৎসরিক মাঘোৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এই উৎসবে কতগুলি গান পরিবেশিত হয়েছিল, তা জানা যায় নাই। পরিবেশিত গানগুলোর ভিতর শুধু রবীন্দ্রনাথের রচিত একটি গানের সন্ধান পাওয়া যায়। গানটি হলো
        

১৩১২ বঙ্গাব্দের ২৩শে মাঘ থেকে ২৫শে মাঘ পর্যন্ত শিলাইদহে থাকাকালে তিনি মোট ৪টি গান রচনা করেন। গানগুলো হলো

২৩ মাঘ: আমি কেমন করিয়া জানাব। [পূজা-৬৭] [তথ্য]
২৪ মাঘ:
আজ বুকের বসন ছিঁড়ে ফেলে [প্রকৃতি ও প্রেম-৬২] [তথ্য]
২৫ মাঘ:
একমনে তোর একতারাতে একটি যে তার [পূজা-২৫৫] [তথ্য] RBVBMS 110 (i) পাণ্ডুলিপিতে লেখা গানটির আদি রূপ পাওয়া যায়।  এই রূপটি 'সীমা' শিরোনামে খেয়া কাব্যে- কবিতা হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এর নিচে গানটি রচনার স্থান ও তারিখ উল্লেখ আছে- ''২৫শে মাঘ/শিলাইদহ/পদ্মা'।
২৫ মাঘ: তুমি যত ভার দিয়েছ সে ভার [পূজা-১০০] [তথ্য]