বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
শিরোনাম:
তুমি এ-পার ও-পার কর কে গো ওগো খেয়ার নেয়ে ?
পাঠ
ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান (বিশ্বভারতী, কার্তিক ১৪১২)-এর পাঠ: পূজা: ১৪৭
তুমি এ-পার ও-পার কর কে গো ওগো খেয়ার নেয়ে ?
আমি
ঘরের দ্বারে বসে বসে দেখি যে সব চেয়ে ॥
ভাঙিলে হাট দলে
দলে সবাই যবে ঘরে
চলে
আমি তখন মনে
ভাবি আমিও যাই ধেয়ে ॥
দেখি
সন্ধ্যাবেলা ও পার-পানে তরণী যাও বেয়ে
।
দেখে
মন যে আমার কেমন করে,
ওঠে যে গান গেয়ে
ওগো খেয়ার নেয়ে
॥
কালো জলের
কলকলে আঁখি আমার ছলছলে
,
ও পার হতে
সোনার আভা পরান ফেলে ছেয়ে
।
দেখি
তোমার মুখে কথাটি নাই ওগো খেয়ার নেয়ে— কী যে
তোমার চোখে লেখা আছে দেখি যে সব চেয়ে
ওগো খেয়ার নেয়ে।
আমার মুখে
ক্ষণতরে যদি তোমার আঁখি পড়ে
আমি তখন মনে
ভাবি আমিও যাই ধেয়ে
ওগো খেয়ার নেয়ে
॥
RBVBMS 110 (i)
[নমুনা
প্রথমাংশ
শেষাংশ]
তথ্যানুসন্ধান
-
ক. রচনাকাল ও স্থান: ১৩১২ বঙ্গাব্দে
রবীন্দ্রনাথ 'খেয়া'-র পাণ্ডুলিপি
[
RBVBMS
110 (i)]
-তে
এই গানটির 'কাব্যরূপ' রচনা করেন। এর নিচে তারিখ উল্লেখ আছে
—
'১৫ই শ্রাবণ ১৩১২'।
১৫ই শ্রাবণ ১৩১২'। এই সময় রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনে ছিলেন।
এই রচনাটি পরে খেয়াকাব্য গ্রন্থে ' খেয়া'
শিরোনামে কবিতা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। রবীন্দ্রনাথ এই কবিতাটিতে কবে
সুরারোপ করেছিলেন, সে বিষয়ে কিছু জানা যায় না। তবে এই কবিতাটিকে গানে পরিণত
করার সময় এর বাণীর কিছু পরিবর্তন করেছিলেন। মূল কবিতা
রচনার সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল৪৪ বৎসর ২ মাস।
[
রবীন্দ্রনাথের ৪৪ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
-
গ্রন্থ:
- পত্রিকা:
- বঙ্গদর্শন (জ্যৈষ্ঠ ১৩১৩ বঙ্গাব্দ)
।
শিরোনাম-খেয়া
।
পৃষ্ঠা ৬৭-৬৮।
-
বিশ্বভারতী পত্রিকা (মাঘ-চৈত্র ১৩৭৩ বঙ্গাব্দ)
।
শৈলজারঞ্জন মজুমদার-কৃত স্বরলিপি-সহ
মুদ্রিত হয়েছিল।
পৃষ্ঠা ২৬০-৬৪।
- রেকর্ডসূত্র:
পাওয়া যায় নি।
-
প্রকাশের
কালানুক্রম: গানটি
প্রথম প্রকাশিত হয়ৈছিল
বঙ্গদর্শন পত্রিকার 'জ্যৈষ্ঠ ১৩১৩' সংখ্যায়
।
এরপর যে সকল গ্রন্থে গানটি প্রকাশিত হয়েছিল, সে গুলো হলো- খেয়া
প্রথম সংস্করণ
(১৩১৩ বঙ্গাব্দ) ও
ধর্ম্মসঙ্গীত (১৩২১)।
এ সকল গ্রন্থাদির পরে,
১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত
গীতবিতান -এর
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ
-
এ গানটি প্রথম অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
এরপর এই গ্রন্থের
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের মাঘ
মাসে। এই সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল
পূজা,
পর্যায়ের বিরহ' উপবিভাগের ২০ সংখ্যক
গান হিসেবে।
১৩৭১ বঙ্গাব্দের
আশ্বিন মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের
পূজা
পর্যায়ে ১৪৭
সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল
। গানটি একইভাবে অখণ্ড গীতাবিতানের তৃতীয়
সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে।
এরপর
বিশ্বভারতী পত্রিকা 'মাঘ-চৈত্র ১৩৭৩ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায়
শৈলজারঞ্জন মজুমদার-কৃত স্বরলিপি-সহ
মুদ্রিত হয়েছিল।
গ.
সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
-
স্বরলিপি:
[নমুনা]
- স্বরলিপিকার:
শৈলজারঞ্জন মজুমদার
[শৈলজারঞ্জন মজুমদার-কৃত
স্বরলিপির তালিকা]।
-
রাগ ও তাল:
-
স্বরবিতান-৬০-এ গৃহীত স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই
।
উক্ত স্বরলিপিতে ছন্দোবিভাজন
দেখানো
হয়েছে,
।৩
ছন্দ;
অর্থাৎ তালটি '
দাদরা
হিসাবে গণ্য করা যে তে পারে।
-
রাগ: পিলু।
তাল: দাদরা
।
[রবীন্দ্রসংগীত:
রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬। পৃষ্ঠা: ৫৪]।
- রাগ: পীলু, ভীমপলশ্রী। তাল
দাদরা।
[রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, জুলাই ২০০১],
পৃষ্ঠা:।
[দাদরা
তালে নিবদ্ধ গানের তালিকা]
-
গ্রহস্বর-সা
।
-
লয়-মধ্য।