বিষয়: 
		রবীন্দ্রসঙ্গীত।  
		 শিরোনাম: 
	 
      আমি কেমন করিয়া জানাব আমার জুড়ালো হৃদয় জুড়াল
       
		 পাঠ ও পাঠভেদ:
		  
		
			-  গীতবিতান (বিশ্বভারতী, কার্তিক ১৪১২)-এর পাঠ: পূজা ৬৭।
 
		
			
     
      আমি     
      কেমন করিয়া জানাব আমার জুড়ালো হৃদয় জুড়ালো— 
আমার 
        জুড়ালো হৃদয় প্রভাতে। 
আমি 
        কেমন করিয়া জানাব আমার পরান কী নিধি কুড়ালো— 
ডুবিয়া 
        নিবিড় গভীর শোভাতে ॥
আজ     
      গিয়েছি সবার মাঝারে ,
     সেথায় দেখেছি আলোক-আসনে—
দেখেছি 
        আমার হৃদয়রাজারে
আমি     
      দুয়েকটি কথা কয়েছি তা সনে সে নীরব সভা-মাঝারে
      — 
দেখেছি 
        চিরজনমের রাজারে ॥ 
এই      
      বাতাস আমারে হৃদয়ে লয়েছে,
      আলোক আমার তনুতে 
কেমনে 
        মিলে গেছে মোর তনুতে— 
তাই     
      এ গগন-ভরা প্রভাত পশিল আমার অণুতে অণুতে
      । 
আজ     
      ত্রিভুবন-জোড়া কাহার বক্ষে দেহ মন মোর ফুরালো
      — 
যেন  রে 
        নিঃশেষে আজি ফুরালো
      । 
আজ     
      যেখানে যা হেরি সকলেরই মাঝে জুড়ালো জীবন জুড়ালো
      — 
আমার 
        আদি ও অন্ত জুড়ালো ॥
			
		
      
     
		
		 [নমুনা:
	প্রথমাংশ
	শেষাংশ]
	 	
		
		
		
		 পাঠভেদ:  এটি   
			খেয়া(১৩১৩ বঙ্গাব্দ) কাব্যগ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত একটি দীর্ঘ কবিতা। 
শিরোনাম-'মিলন ''। 
এ কবিতার প্রথম স্তবক সম্পূর্ণটুকু ও তৃতীয় স্তবকের প্রথম চার 
লাইন বাদ দিয়ে-বাকী অংশটুকুতে রবীন্দ্রনাথ সুরারোপ করেছিলেন। গান হিসাবে খেয়া 
থেকে যে অংশটুকু গীতবিতান-এ গৃহীত হয়েছে, সেটুকুতেও সামান্য পাঠভেদ লক্ষ্য 
করা যায়।  
  
		
		 তথ্যানুসন্ধান  
      
		- 
		 ক. 
			রচনাকাল ও স্থান:  রবীন্দ্রনাথের 
			 
RBVBMS
	 110 (i) 
	 
	  পাণ্ডুলিপিতে রচনাকাল ও স্থানের উল্লেখ  
 আছে-
'২৩শে মাঘ/সোমবার/১৩১২/ শিলাইদ/ পদ্মা'।
		 >উল্লেখ্য,
 ১৩১২ বঙ্গাব্দের ২৩শে মাঘ থেকে ২৫শে মাঘ পর্যন্ত 
			রবীন্দ্রনাথ শিলাইদহে মোট  ৪টি 
গান রচনা করেন। 
এর ভিতরে এই গানটিও ছিল। >এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল
		 ৪৪ বৎসর ৯ মাস। 
 
[৪৪ 
 
			বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা 
			 ] 
 
		
		
		
		- 
	 খ. 
		প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি: 
			- 
		 গ্রন্থ:  
			
				- 
				 
					কাব্যগ্রন্থ
				- 
				
				সপ্তম খণ্ড  দ্বিতীয় সংস্করণ (ইন্ডিয়ান প্রেস, ১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দ, ১৩২৩ 
বঙ্গাব্দ)। 'খেয়া কাব্যগ্রন্থের অংশ, শিরোনাম। 'মিলন'। পৃষ্ঠা: ১৯৯ 
[নমুনা]
 
- 
 
খেয়া
- 
				 
				গান 
- 
 
				
				গীতবিতান
					-  
					
				প্রথম 
					খণ্ড, প্রথম সংস্করণ (বিশ্বভারতী, আশ্বিন ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ)।
					 ১৩১৩ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত 
				'খেয়া' কাব্যগ্রন্থ থেকে গৃহীত হয়েছিল। পৃষ্ঠা:  ২৫৪
				।  [নমুনা
				]
- 
						
						
						প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ
						 
					( বিশ্বভারতী, মাঘ ১৩৪৮ 
					বঙ্গাব্দ)।  গান 
					সংখ্যা ৩৫। 
					পৃষ্ঠা: ২৯-৩০। [নমুনা:
					প্রথমাংশ,
					শেষাংশ]
-  অখণ্ড সংস্করণ, 
					 তৃতীয়  সংস্করণ (বিশ্বভারতী,পৌষ ১৩৮০ 
					বঙ্গাব্দ)। পর্যায়: 
					পূজা ৬৭।
					 উপবিভাগ: 
					 
					বন্ধু ৩৫। 
				পৃষ্ঠা: ৩৩-৩৪।  
 
 
				- 
				 
				
				চয়নিকা (ইন্ডিয়ান 
				পাবলিশিং হাউস, ১৩১৬ বঙ্গাব্দ)। খেয়া কাব্যগ্রন্থ থেকে গৃহীত। 
				বিভাগের নাম: পরিণাম। শিরোনাম: মিলন। পৃষ্ঠা: ৪২৪-৪২৫ [নমুনা:
				
				প্রথমাংশ,
				
				শেষাংশ] 
- 
				 
				
				ধর্ম্মসঙ্গীত(ইন্ডিয়ান 
				পাবলিশিং হাউস, ১৩২১ বঙ্গাব্দ) । পৃষ্ঠা: ৬৬-৬৭। [নমুনা:
				
				প্রথমাংশ,
				
				শেষাংশ] 
- 
				 
					ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি  পঞ্চম ভাগ (৯ বৈশাখ 
১৩১৬ বঙ্গাব্দ)। আশোয়ারি-একতালা। কাঙ্গালীচরণ সেন-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল। 
- 
				 স্বরবিতান চতুর্বিংশ
		(২৪) খণ্ডের (মাঘ ১৪১১) পঞ্চম গান। 
				আসাবরী-একতাল। পৃষ্ঠা: ১৪-১৬। 
	[নমুনা]
	 
 
- 
 পত্রিকা:
 
সঙ্গীত-প্রকাশিকা (পৌষ ১৩১৪ বঙ্গাব্দ)। 
				 
			
			
			
			পরিবেশনা: শনিবার, ১১ মাঘ ১৩১৪ বঙ্গাব্দ [২৫ জানুয়ারি ১৯০৮ খ্রিষ্টাব্দ]-এ 
			অষ্টসপ্ততিতম (৭৮) 
সাংবৎসরিক মাঘোৎসব  অনুষ্ঠিত হয়।  
			 এই 
মাঘোৎসব উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথের ১৫টি গান পরিবেশিত হয়েছিল।
 
এর ভিতরে এই  গানটিও গীত হয়েছিল।
			
 
			
			 
				প্রকাশের কালানুক্রম:  
			১৩১৩ বঙ্গাব্দে গানটি 'মিলন' শিরোনামে 'খেয়া' কাব্যগ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত 
			হয়ে প্রকাশিত হয়। ১৩১৪ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে গানটি
		 
				সঙ্গীত-প্রকাশিকা  পত্রিকায় 
			প্রকাশিত হয়েছিল। এই বছরের 
			 ১১ই মাঘ
				 
			অষ্টসপ্ততিতম (৭৮) 
সাংবৎসরিক মাঘোৎসব  অনুষ্ঠিত হয়। 
			 এর পরের মাসে অর্থাৎ ফাল্গুন মাসে  
				তত্ত্ববোধিনী পত্রিকায় গানটি প্রকাশিত হয়েছিল।
				 
			১৩১৬ বঙ্গাব্দে গানটি কাব্যগ্রন্থের দ্বিতীয় সংস্করণে খেয়া 
			কাব্যগ্রন্থের অংশ হিসেবে প্রকাশিত হয়। এই বছরে প্রকাশিত গান নামক 
			গ্রন্থে ব্রহ্মসঙ্গীত বিভাগে মুদ্রিত হয়েছিল। এই বছরে 'চয়নিকা' 
			গ্রন্থের 'পরিণাম' বিভাগে প্রকাশিত হয়েছিল।
			
			১৩২১ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত 'ধর্ম্মসঙ্গীত' গ্রন্থে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয় 
			ব্রহ্মসঙ্গীত হিসেবে।
				 
				 ১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন 
				মাসে প্রকাশিত গীতবিতানের প্রথম খণ্ডের প্রথম
				 সংস্করণে 
				অন্তর্ভুক্ত হয় 'খেয়া' কাব্যগ্রন্থ থেকে। ১৩৪৮ 
				খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত গীতবিতানের প্রথম খণ্ডের দ্বিতীয় সংস্করণে 
				এই গানটি গৃহীত হয় পূজা পর্যায়ে।  
			১৩৮০ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত গীতবিতানের অখণ্ড সংস্করণে পূজা পর্যায়ের ৬৭ 
			সংখ্যক গান 
			হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়।
		
		
		গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
	
			-  
			স্বরলিপি:
			[নমুনা]
 
			 
-  স্বরলিপিকার: 
			কাঙ্গালীচরণ সেন-কৃত স্বরলিপিটি 
			ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি 
  
 			পঞ্চম ভাগ (৯ বৈশাখ ১৩১৬ বঙ্গাব্দ) থেকে    
				 স্বরবিতান চতুর্বিংশ
				  
			 
 			
  
		(২৪) খণ্ডে 
(ভাদ্র ১৩৫৯)  গৃহীত হয়েছিল। বর্তমান মুদ্রণে  
				 স্বরবিতান চতুর্বিংশ  
			 
 			( ২৪) খণ্ডের 
		( মাঘ ১৪১১) তা অবিকৃত আছে।
স্বরবিতান ২৪ খণ্ডের ৭১ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, 'ব্রহ্মসংগীত-স্বরলিপি ৫ (বৈশাখ 
১৩১৬)। কাঙ্গালীচরণ সেন-কৃত স্বরলিপি : মিশ্র আসাবরি স্থলে আশোয়ারী উল্লেখিত।'
 [কাঙালিচরণ 
সেন-কৃত রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
- সুর ও তাল: