বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
তুমি যত
ভার দিয়েছ সে ভার করিয়া দিয়েছ সোজা
।
পাঠ ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান
( বিশ্বভারতী,
কার্তিক ১৪১২)-এর
পাঠ: পূজা ১০০
তুমি যত
ভার দিয়েছ সে ভার করিয়া দিয়েছ সোজা
।
আমি যত
ভার জমিয়ে তুলেছি সকলই হয়েছে বোঝা
।
এ বোঝা আমার নামাও বন্ধু,
নামাও—
ভারের
বেগেতে চলেছি কোথায়,
এ যাত্রা তুমি থামাও ॥
আপনি যে
দুখ ডেকে আনি সে-যে জ্বালায় বজ্রানলে
—
অঙ্গার
ক’রে রেখে যায়,
সেথা কোনো ফল নাহি ফলে।
তুমি যাহা দাও সে-যে দুঃখের দান
শ্রাবণধারায় বেদনার রসে সার্থক করে প্রাণ ॥ যেখানে
যা-কিছু পেয়েছি কেবলই সকলই করেছি জমা
—
যে দেখে
সে আজ মাগে-যে হিসাব,
কেহ নাহি করে ক্ষমা
এ বোঝা
আমার নামাও বন্ধু,
নামাও—
ভারের
বেগেতে ঠেলিয়া চলেছি,
এ যাত্রা মোর থামাও
॥
RBVBMS 110 (i)
[নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
BMSF021
[নমুনা
গানটির শেষের অংশ পাওয়া যায়]
পাঠভেদ: গানটি
'ভার' শিরোনামে 'খেয়া' কাব্যগ্রন্থে প্রথম গৃহীত হয়। এটি একটি দীর্ঘ কবিতা। পাঁচ স্তবক (৮ ছত্রে গঠিত) বিশিষ্ট এ কবিতার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্তবক বাদ দিয়ে, রবীন্দ্রনাথ সুরারোপ করেন। এই গীতিরূপটি ১৩১৫ বঙ্গাব্দের
৭৯তম মাঘোৎসবে প্রথম গীত হয়েছিল। এ ছাড়াও পাঠভেদ
আছে। স্বরবিতান ষড়্বিংশ খণ্ডের (চৈত্র ১৪১৩)
৭১ পৃষ্ঠায় মুদ্রিত পাঠ অনুসারে নিচের এই পাঠভেদ দেখানো হলো।
এ যাত্রা মোর থামাও : ব্রহ্মসঙ্গীত-স্বরলিপি ৬
(জ্যৈষ্ঠ ১৩৩৮)
এ যাত্রা মোরে থামাও : গান (১৯০৯
খ্রিষ্টাব্দ)
গীতবিতান (আশ্বিন ১৩৩৮)
তথ্যানুসন্ধান
-
ক. রচনাকাল ও স্থান:
১৩১২ বঙ্গাব্দের
২৩শে মাঘ থেকে ২৫শে মাঘ পর্যন্ত শিলাইদহে তিনি মোট ৪টি গান ও কবিতা
রচনা করেন। রবীন্দ্রনাথ আলোচ্য গানটি প্রথম পাঁচ স্তবকে কবিতাকারে
লিখেছিলেন
RBVBMS
110 (i)
পাণ্ডুলিপিতে।
পাণ্ডুলিপিতে লিখিত এই গানের শেষে তারিখও
স্থানের নাম হিসেবে উল্লেখ আছে '২৫শে মাঘ/পদ্মা'। এই গানটির পরে
' ভার'
শিরোনামে 'খেয়া'
কাব্যগ্রন্থে প্রথম গৃহীত হয়।
ভার কবিতাটিতে সুরারোপ করার পর প্রথম পরিবেশিত হয়
১৩১৫
বঙ্গাব্দের ১১ই মাঘ
৭৯তম মাঘোৎসবের
সন্ধ্যার অধিবেশনে। এই সময় মূল কবিতার দ্বিতীয় ও তৃতীয়
স্তবক বাদ দিয়ে রবীন্দ্রনাথ সুরারোপ করেন। ভার কবিতা রচনার সময় রবীন্দ্রনাথের
বয়স ছিল ৪৪ বৎসর ৯ মাস। যদি ধরে নেওয়া যায় যে, ১৩১৫
বঙ্গাব্দের মাঘোৎসবের জন্য তিনি 'ভার' কবিতাটিকে গানে পরিণত করেছেন,
তাহলে গান রচনার
(সুর-সংযোগ) সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৪৭ বৎসর।
[রবীন্দ্রনাথের
৪৭ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
খ.প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
- গ্রন্থ:
-
ধর্ম্মসঙ্গীত (ইন্ডিয়ান পাবলিশিং হাউস, ১৩২১ বঙ্গাব্দ)। পৃষ্ঠা: ৯৭-৯৮
[নমুনা:
প্রথমাংশ ,
শেষাংশ]
-
ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি ষষ্ঠ ভাগ (জ্যৈষ্ঠ ১৩১৮ বঙ্গাব্দ)।
বাউলের সুর-একতালা
। কাঙ্গালীচরণ সেন-কৃত স্বরলিপি-সহ
মুদ্রিত হয়েছিল।
-
স্বরবিতান ষড়্বিংশ (২৬) খণ্ডের (চৈত্র ১৪১৩) ২১ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ৪৬-৪৯।
[নমুনা]
পত্রিকা:
পরিবেশনা:
১১ মাঘ ১৩১৫ বঙ্গাব্দ [২৪ জানুয়ারি ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দ]-এর
৭৯তম মাঘোৎসবের
সন্ধ্যার অধিবেশনে গানটি গীত হয়েছিল।
প্রকাশের কালানুক্রম:
১৩১৩ বঙ্গাব্দে খেয়া কাব্যের অন্তর্ভুক্ত হয়ে 'ভার' শিরোনামে
প্রকাশিত হয়েছিল। ১৩১৬ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত 'গান' নামক গ্রন্থে ব্রহ্মসঙ্গীত
হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল। ১৩২১ বঙ্গাব্দে গানটি
'ধর্ম্মসঙ্গীত'-এ অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল।
১৩৩৮ বঙ্গাব্দে
প্রকাশিত গীতবিতানের প্রথম খণ্ডের প্রথম সংস্করণে, গীতিমাল্য থেকে
অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এরপর ১৩৪৮ বঙ্গাব্দে গানটি গীতবিতানের প্রথম খণ্ডের
দ্বিতীয় সংস্করণে পূজা পর্যায়ের অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়। এরপর
গীতবিতানের অখণ্ড সংস্করণে গানটি গৃহীত হয় এবং ১৩৮০ বঙ্গাব্দে অখণ্ড
গীতবিতানের তৃতীয় ও সর্বশেষ সংস্করণে পূজা পর্যায়ের ১০০ সংখ্যক গান হিসেবে
অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
গ.সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
- স্বরলিপি:
[নমুনা]
- স্বরলিপিকার:
কাঙ্গালীচরণ সেন। [স্বরবিতান ষড়্বিংশ খণ্ডে
(অগ্রহায়ণ ১৩৫৯) গৃহীত হয়েছিল। বর্তমান মুদ্রণে (চৈত্র ১৪১৩) অপরিবর্তিত অবস্থায়
রয়েছে।]
[কাঙ্গালীচরণ
সেন-কৃত স্বরলিপির তালিকা
- রাগ ও তাল:
- বাউলের সুর। তাল:
একতাল।
[স্বরবিতান ষড়্বিংশ খণ্ডের (চৈত্র ১৪১৩)]
- কীর্তন।
তাল: একতাল।
[রবীন্দ্রসংগীত:
রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬।। পৃষ্ঠা: ৫৫]।
- কীর্তন তাল:
একতাল
। [রাগরাগিণীর
এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, জুলাই ২০০১, পৃষ্ঠা:
৯৭। ]
[একতালে
নিবদ্ধ রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
বিষয়াঙ্গ:
ব্রহ্মসঙ্গীত
[রবীন্দ্রনাথের রচিত ব্রহ্মসঙ্গীতের তালিকা।
সুরাঙ্গ:
বাউলাঙ্গের
;[বাউলাঙ্গের
রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
গ্রহস্বর: রা।
লয়: মধ্য।