বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
শিরোনাম: আমার গোধূলিলগন এল বুঝি কাছে গোধূলিলগন রে
পাঠ
ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান (বিশ্বভারতী, কার্তিক ১৪১২)-এর পাঠ:
পূজা
(উপবিভাগ:
বিরহ
১৪) পর্যায়ের ১৪১ সংখ্যক গান।
আমার গোধূলিলগন এল বুঝি কাছে গোধূলিলগন রে।
বিবাহের রঙে
রাঙা হয়ে আসে সোনার গগন রে।
শেষ ক’রে
দিল পাখি গান গাওয়া ,
নদীর উপরে পড়ে এল হাওয়া;
ও পারের তীর,
ভাঙা মন্দির আঁধারে মগন রে।
আসিছে মধুর
ঝিল্লিনূপুরে গোধূলিলগনে রে ॥
আমার
দিন কেটে গেছে কখনো খেলায়,
কখনো কত কী কাজে।
এখন কী শুনি
পূরবীর সুরে কোন্ দূরে বাঁশি বাজে।
বুঝি দেরি নাই, আসে বুঝি আসে,
আলোকের আভা লেগেছে আকাশে—
বেলাশেষে মোরে
কে সাজাবে,
ওরে, নবমিলনের
সাজে !
সারা হল কাজ,
মিছে কেন আজ ডাক মোরে আর কাজে ॥
আমি
জানি যে আমার হয়ে গেছে গণা গোধূলিলগনে রে
।
ধূসর আলোকে
মুদিবে নয়ন অস্তগগন রে।
তখন এ ঘরে কে
খুলিবে দ্বার, কে লইবে টানি
বাহু আমার,
আমায় কে জানে কী
মন্ত্রে গানে করিবে মগন রে—
সব গান সেরে
আসিবে যখন গোধূলিলগন রে ॥
RBVBMS 110 (i)[নমুনা:
প্রথমাংশ,
দ্বিতীয়াংশ,
শেষাংশ]
পাঠভেদ:
'খেয়া' গ্রন্থে এটি একটি দীর্ঘ কবিতা হিসাবে মুদ্রিত আছে।
গান হিসাবে যখন এটা গৃহীত হয় তখন -তৃতীয়, চতুর্থ স্তবকে সুর দেওয়া হয়নি। এছাড়া আরও কিছু পাঠান্তর আছে। যেমন— স্বরবিতান-৩৩'এর ৭৩ পৃষ্ঠায় মুদ্রিত পাঠভেদ অনুসারে নিচে তুলে ধরা হলো।
সারা হ'ল কাজ, মিছে কেন আজ
:
কথার অংশ, কাব্যগীতি (১৩২৬)
গীতবিতান (আশ্বিন ১৩৩৮)
সারা হল কাজ, কেন মিছে আর :
স্বরলিপি, কাব্যগীতি (১৩২৬)
কে লইবে টানি বাহু আমার
: কাব্যগীতি (১৩২৬)
কে লইবে টানি' বাহুটি আমার
: গীতবিতান (আশ্বিন ১৩৩৮)
তথ্যানুসন্ধান
RBVBMS 110 (i)
পাণ্ডুলিপিতে গানটির শেষে স্থান ও
তারিখ উল্লেখ আছে- '২৯শে পৌষ সংক্রান্তি/শান্তিনিকেতন ১৩১২। এই সময় রবীন্দ্রনাথের ৪৪ বৎসর ৯ মাস বয়সের রচনা।
[রবীন্দ্রনাথের
৪৪ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
খ.
প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
- গ্রন্থ:
- রেকর্ডসূত্র: রেকর্ডসূত্র
পাওয়া যায় নি।
- প্রকাশের
কালানুক্রম: গানটি প্রথ্ম কবিতা হিসেবে প্রকাশিত হয়েছিল
খেয়া কাব্যগ্রন্থের
প্রথম সংস্করণে
( ১৩১৩)। তখন এর শিরোনাম ছিল '
গোধূলি
লগ্ন'। একই শিরোনামে খেয়া কাব্যের অংশ
হিসেবে
১৩২৩ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত
কাব্যগ্রন্থ
সপ্তম খণ্ডে কবিতাটি স্থান পেয়েছিল। কবিতাটি গান
হিসেবে প্রথম স্থান পেয়েছিল ১৩২৬ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত 'কাব্যগীতি' নামক
স্বরলিপি গ্রন্থে।
এ সকল গ্রন্থাদির
পরে, ১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত
গীতবিতান -এর
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ
- গানটি প্রথম অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এর
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের মাঘ
মাসে। এই সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল
পূজা,
পর্যায়ের বিরহ উপবিভাগের ১৪ সংখ্যক গান হিসেবে। ১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন
মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের ১৪০ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত
হয়েছিল। অখণ্ড গীতাবিতানের তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল পৌষ ১৩৮০
বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে। এই সংস্করণে
পূজা,
পর্যায়ের বিরহ উপবিভাগের ১৪১ সংখ্যক গান হিসেবে।
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
-
স্বরলিপিকার: স্বরবিতান-৩৩'এ
স্বরলিপিকারের নাম উল্লেখ নেই।
- সুর ও
তাল:
- স্বরবিতান-৩৩-এ গৃহীত
স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি ৩।৩ মাত্রাছন্দে
'দাদরা' তাকে নিবদ্ধ।
-
রাগ:
মিশ্র পূরবী।
তাল:
দাদরা
[রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ।
প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬। পৃষ্ঠা: ২৯]
-
রাগ: পূরবী।
তাল:
দাদরা
।
[রাগরাগিণীর
এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, জুলাই ২০০১
, পৃষ্ঠা:
৫৬।]
- গ্রহস্বর: সা।
- লয়: মধ্য।