বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত
শিরোনাম:
নিভৃত প্রাণের
দেবতা
যেখানে জাগেন একা
পাঠ
ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান (বিশ্বভারতী,
কার্তিক ১৪১২)-এর
পাঠ:
নিভৃত প্রাণের
দেবতা
যেখানে জাগেন একা,
ভক্ত,
সেথায় খোলো দ্বার-
আজ লব তাঁর দেখা
॥
সারাদিন শুধু
বাহিরে
ঘুরে ঘুরে কারে চাহি রে,
সন্ধ্যাবেলার আরতি
হয় নি আমার শেখা
॥
তব জীবনের আলোতে
জীবনপ্রদীপ জ্বালি,
হে পূজারি,
আজ নিভৃতে সাজাব আমার থালি।
যেথা নিখিলের
সাধনা
পূজালোক করে রচনা
সেথায় আমিও ধরিব
একটি জ্যোতির রেখা
॥
RBVBMS 478]
[নমুনা
(কাটাকুটি) ৪৬]
[ পরিমার্জিত রূপ ৪৮]
পাঠভেদ:
গীতাঞ্জলি'র গ্রন্থপরিচয়ে নিভৃত প্রাণের পরম দেবতা' শীর্ষক আরও একটি স্বতন্ত্র পাঠ পাওয়া যায়। রবীন্দ্ররচনাবলী একাদশ খণ্ডের (বিশ্বভারতী) ৪৯৬ পৃষ্ঠায় এই সম্পর্কে লিখিত হয়েছে- এই রচনাটি সংশোধিত আকারে ভারতীতে প্রকাশিত হইয়াছিল। ভারতীর সেই সংখ্যায় নন্দলাল বসুর একখানি চিত্রও প্রকাশিত হয়, চিত্রটি দেখিয়া গানটি লিখিত, ভারতীতে এরূপ সংবাদ প্রকাশিত হইয়াছিল। উল্লেখ্য ওই সংশোধিত রূপটি প্রকাশিত হয়েছিল ভারতী নামক পত্রিকার জ্যৈষ্ঠ ১৩১৭ বঙ্গাব্দ সংখ্যায়। নন্দলাল বসুর আঁকা দীক্ষা’ নামক রঙিন চিত্র ও এই স্বতন্ত্র পাঠটি ভারতীর একই সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল। ছবিটির বিষয় ছিল- বৃদ্ধ পুরোহিত পুত্র বা শিষ্যকে পূজারতিতে দীক্ষিত করছেন। চিত্র-ব্যাখ্যা হিসাবে এই গানের সংশোধিত পাঠটি মুদ্রিত হয়। গানটির সাথে পূরবী-একতাল'- সুর-তাল নির্দেশিত ছিল।
তথ্যানুসন্ধানRBVBMS
478
পাণ্ডুলিপির কেটে দেওয়া অংশে
গানটির সাথে তারিখ উল্লেখ আছে '১৭ই পৌষ'।
গীতাঞ্জলি প্রথম সংস্করণে (১৩১৭ বঙ্গাব্দ') গানটির নিচে রচনাকাল উল্লেখ আছে '১৭ পৌষ ১৩১৬'। উল্লেখ্য, রবীন্দ্রনাথ ১৩১৭ বঙ্গাব্দের ২৭শে আশ্বিন রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে সাথে নিয়ে শিলাইদহ হয়ে পতিসরের উদ্দেশ্যে পতিসরে রওনা দেন। উত্তরবঙ্গের জমিদারি তদারকি শেষ তিনি ১২ অগ্রহায়ণ, কলকাতায় আসেন। ১৭ই অগ্রহায়ণ তিনি শান্তিনিকেতনে আসেন। এরপর ১৭ পৌষ পর্যন্ত তিনি শান্তিনিকেতনে কাটান। এই সময় ১৭ই আশ্বিন তিনি এই গানটি রচনা করেন। এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৪৮ বৎসর ৮ মাস।
[রবীন্দ্রনাথের
৪৮ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
খ. প্রকাশ ও
গ্রন্থভুক্তি
-
গ্রন্থ:
-
কাব্যগ্রন্থ
-
অষ্টম খণ্ড
[ইন্ডিয়ান প্রেস ১৩২৩ বঙ্গাব্দ, গীতাঞ্জলি, গান সংখ্যা ৪৪, পৃষ্ঠা ৩৩৪]
[নমুনা]
-
গীতবিতান
-
গীতলিপি ১ম ভাগ (মাঘ ১৩১৬ বঙ্গাব্দ, ১৬
জানুয়ারি ১৯১০ খ্রিষ্টাব্দ) ।
সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
-
গীতাঞ্জলি
-
প্রথম সংস্করণ
[ইন্ডিয়ান পাবলিশিং হাউস ১৩১৭।
৫১ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ৬২]
[নমুনা]
- রবীন্দ্ররচনাবলী একাদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী)।
গীতাঞ্জলি।
৫০ সংখ্যক গান।
পৃষ্ঠা ৪২-৪৩।
স্বতন্ত্রপাঠ : রবীন্দ্ররচনাবলী একাদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী)।
গ্রন্থপরিচয় (গীতাঞ্জলি)।
পৃষ্ঠা ৪৯৫-৯৬।
-
ধর্ম্মসঙ্গীত [ইন্ডিয়ান প্রেস্ লিমিটেড, ১৩২১ বঙ্গাব্দ।
পৃষ্ঠা: ২৬]
[নমুনা]
-
গীতাঞ্জলি
[১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দ। ১৩৩৪ বঙ্গাব্দ। ভীমরাও শাস্ত্রী-কৃত
স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল]
-
স্বরবিতান অষ্টাত্রিংশ খণ্ড (৩৮) খণ্ডের ২য় গান। পৃষ্ঠা ৮-৯।
[নমুনা]
-
পত্রিকা:
-
তত্ত্ববোধিনী (ফাল্গুন ১৮৩১ শকাব্দ,
১৩১৬
বঙ্গাব্দ)।
পূরবী -একতাল।
পৃষ্ঠা ১৭৮।
-
সঙ্গীত প্রকাশিকা (মাঘ ১৩১৬ বঙ্গাব্দ)।
সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
- রেকর্ডসূত্র:
পাওয়া যায় নি।
- প্রকাশের কালানুক্রমরবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনে থাকাকালীন সময়ে (১৭ পৌষ ১৩২৬ বঙ্গাব্দ) দুটি রচনা করেন। ৬ মাঘ ১৩১৬ বুধ ১৯ জানু' ১৯১০ তারিখে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের তিরোভাবের পঞ্চম সাংবৎসরিক স্মরণসভায়, রবীন্দ্রনাথ একটি সুদীর্ঘ প্রবন্ধ পাঠ করেন। উক্ত সভায় এই গানটি পরিবেশিত হয়েছিল। গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল সঙ্গীত প্রকাশিকা পত্রিকার 'মাঘ ১৩১৬ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায়। এরপর যে সকল পত্রিকা ও গ্রন্থাদিতে গানটি স্থান পেয়েছিল, সেগুলো হলো- গীতলিপি ১ম ভাগ (মাঘ ১৩১৬ বঙ্গাব্দ), তত্ত্ববোধিনী (ফাল্গুন ১৩১৬ বঙ্গাব্দ), গীতাঞ্জলি প্রথম সংস্করণ (১৩১৭ বঙ্গাব্দ), ধর্ম্মসঙ্গীত (১৩২১ বঙ্গাব্দ), কাব্যগ্রন্থ অষ্টম খণ্ড (১৩২৩ বঙ্গাব্দ) ও সঙ্গীত-গীতাঞ্জলি (১৩৩৪ বঙ্গাব্দ)।
এ সকল গ্রন্থাদির পরে, ১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত গীতবিতান -এর প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণে ১৩১৭ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত 'গীতাঞ্জলি' থেকে গৃহীত হয়েছিল। এরপর প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে। এই সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল পূজা, পর্যায়ের সাধক উপবিভাগের প্রথম গান হিসেবে। ১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের পূজা পর্যায়ের ৩০০ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। গানটি একইভাবে অখণ্ড গীতাবিতানের তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে।
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
- স্বরলিপি:
- স্বরলিপিকার:
-
সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়।
[স্বরবিতান-৩৮,
সংগীত প্রকাশিকা,
গীতলিপি-১ম ভাগ]
-
ভীমরাও শাস্ত্রী।
সঙ্গীত গীতাঞ্জলি
- সুর ও তাল:
-
রাগ-পূরবী।
তাল-একতাল।
[স্বরবিতান-৩৮]
-
গ্রহস্বর-স।
লয়-মধ্য।
-
রাগ: পূরবী।
তাল : একতাল
[রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ।
প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬।] পৃষ্ঠা: ৬৩।
-
রাগ: পূরবী।
তাল : একতাল
[রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার
চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমী, জুলাই ২০০১।] পৃষ্ঠা: ১০৯।
বাউলাঙ্গ।