বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম: আমি হেথায় থাকি শুধু গাইতে তোমার গান
পাঠ ও পাঠভেদ:
আমি হেথায় থাকি শুধু গাইতে তোমার গান,
দিয়ো তোমার জগৎ-সভায় এইটুকু মোর স্থান॥
আমি তোমার ভুবন-মাঝে লাগি নি, নাথ, কোনো কাজে—
শুধু কেবল সুরে বাজে অকাজের এই প্রাণ॥
নিশায় নীরব দেবালয়ে তোমার আরাধন,
তখন মোরে আদেশ কোরো গাইতে হে রাজন।
ভোরে যখন আকাশ জুড়ে বাজবে বীণা সোনার সুরে
আমি যেন না রই দূরে, এই দিয়ো মোর মান॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ:
RBVBMS 478।
[পাণ্ডুলিপি]
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান: পাণ্ডুলিপিতে গানটির রচনাকাল ও স্থানের উল্লেখ আছে,— '১৬ ভাদ্র।'
উল্লেখ্য, রবীন্দ্রনাথ গোরা উপন্যাস রচনা শেষ করেন ১৩১৬ বঙ্গাব্দের আষাঢ় মাসের শেষার্ধে। ৭ ভাদ্র (সোমবার ২৩ আগষ্ট) তারিখে কলকাতা থেকে শান্তিনিকেতন আসেন। অন্য কোনো নতুন রচনায় তিনি তখনও হাত দেন নি। এই সময়ে তিনি সম্পূর্ণ গান রচনা করে সময় কাটান। ১০ই ভাদ্র থেকে ১৮ই ভাদ্রের ভিতরে তিনি মোট ১৮টি গান লিখেছিলেন। এর ভিতরে ১৬ই ভাদ্র তারিখে তিনি এই গানটি-সহ মোট পাঁচটি গান রচনা করেন। এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল রবীন্দ্রনাথের ৪৮ বৎসর ৪ মাস।
[রবীন্দ্রনাথের
৪৮ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সের রচিত গানের তালিকা]
গীতলিপি দ্বিতীয় ভাগ (৬ আষাঢ়, ১৩১৭ বঙ্গাব্দ, ২০ জুন ১৯১০ খ্রিষ্টাব্দ)। সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়কৃত স্বরলিপিসহ মুদ্রিত হয়েছিল।
স্বরবিতান অষ্টাত্রিংশ
(৩৮) খণ্ডের
(বৈশাখ
১৪১৫)
২৯ সংখ্যক গান।
পৃষ্ঠা: ৮৩-৮৪।
রবীন্দ্রনাথ-কৃত অনুবাদ ইংরেজি গীতাঞ্জলির পাঠ:
I am here to sing thee songs. In this hall of thine I have a corner seat.
In thy world I have no work to do; my useless life can only break out in tunes without a purpose.
When the hour strikes for thy silent worship at the dark temple of midnight, command me, my master, to stand before thee to sing.
When in the morning air the golden harp is tuned, honour me, commanding my presence.সূত্র:
- Gitanjali, Rabindranath Tagore, Visva-Bharati and UBSPD, Thirteenth Reprint 2008, Page 30-31.
- নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত গীতাঞ্জলি −রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সম্পাদনা : আবদার রশীদ। বাংলা একাডেমী ঢাকা। (ফেব্রুয়ারি ১৯৯৩ সংস্করণ)।
প্রকাশের
কালানুক্রম:
১৩১৬ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত 'গান' নামক গ্রন্থের 'নূতন গান' অংশে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। ১৩১৭ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত গীতাঞ্জলির ৩২ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এই বছরেই সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়কৃত স্বরলিপিসহ 'গীতলেখা' গ্রন্থে গানটি স্থান পেয়েছিল।
১৩২১ বঙ্গাব্দে ইন্ডিয়ান পাবলিশিং হাউস থেকে প্রকাশিত 'ধর্ম্ম সঙ্গীত' গ্রন্থে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। ১৩২৩ বঙ্গাব্দে ইন্ডিয়ান প্রেস থেকে প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ৮ম খণ্ডে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
১৩৩৮ বঙ্গাব্দে গীতবিতানের প্রথম খণ্ডের প্রথম সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়। এরপর ১৩৪৮ বঙ্গাব্দে গানটি গীতবিতানের প্রথম খণ্ডের দ্বিতীয় সংস্করণে অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৩৮০ বঙ্গাব্দে গীতবিতানের অখণ্ড সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল।
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলি:
স্বরলিপি [স্বরলিপি]
স্বরলিপিকার:
সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের [গীতলিপি দ্বিতীয় ভাগ (৬ আষাঢ়, ১৩১৭ বঙ্গাব্দ, ২০ জুন ১৯১০ খ্রিষ্টাব্দ) থেকে স্বরবিতান অষ্টাত্রিংশ (৩৮) খণ্ডের (বৈশাখ ১৪১৫) এই স্বরলিপিটি গৃহীত হয়েছে।]
[সুরেন্দ্রনাথ
বন্দ্যোপাধ্যায়-কৃত রবীন্দ্রসঙ্গীতের স্বরলিপির তালিকা]
ভীমরাও শাস্ত্রী।
[সঙ্গীত গীতাঞ্জলি (১৯২৭
খ্রিষ্টাব্দ)]
[ভীমরাও
শাস্ত্রী-কৃত রবীন্দ্রসঙ্গীতের স্বরলিপির তালিকা]
রাগ ও তাল:
রাগ: পরজ-বসন্ত। তাল: তেওরা। স্বরবিতান অষ্টাত্রিংশ (৩৮) খণ্ড (বৈশাখ ১৪১৫)
রাগ: পরজ। তাল-তেওরা। গান (১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দ ১৩১৬ বঙ্গাব্দ)। পৃষ্ঠা: ৪০৯।
রাগ : পরজ। তাল: তেওরা [রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬)]। পৃষ্ঠা: ৩৩।
রাগ: পরজ,
বসন্ত। তাল: তেওরা।
[রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী,
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমী, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ৬৩।
[পরজ
রাগে নিবদ্ধ রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
[তেওরা
তালে নিবদ্ধ রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
পর্যায়:
ব্রহ্মসঙ্গীত
[রবীন্দ্রনাথের
রচিত ব্রহ্মসঙ্গীতের তালিকা]
গ্রহস্বর: দা।
লয়: মধ্য।