বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা :
শিরোনাম:
দাঁড়াও,
মন,
অনন্ত ব্রহ্মাণ্ড-মাঝে
আনন্দসভাভবনে আজ
পাঠ ও পাঠভেদ:
দাঁড়াও, মন, অনন্ত ব্রহ্মাণ্ড-মাঝে আনন্দসভাভবনে আজ ॥
বিপুলমহিমাময়, গগনে মহাসনে বিরাজ করে বিশ্বরাজ ॥
সিন্ধু শৈল তটিনী মহারণ্যে জলধরমালা
তপন চন্দ্র তারা গভীর মর্মে গাহিছে শুন গান।
এই বিশ্বমহোৎসব দেখি মগন হল সুখে কবিচিত্ত,
ভুলি গেল সব কাজ ॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: RBVBMS 478 [নমুনা]
পাঠভেদ: স্বরবিতান-৩৬'এর ৮১ পৃষ্ঠায় পাঠভেদটি নিচে তুলে ধরা হলো।
বিপুল মহিমাময়, গগনে মহাসনে : গীতলিপি ১
বিপুল মহিমায়, গগনে মহাসনে : গীতবিতান (আশ্বিন ১৩৩৮)
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান:
গানটির রচনাকাল
সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য পাওয়া যায় নাই। গানটি
১৩১৬ বঙ্গাব্দের ১১ মাঘ
[সোমবার, ২৪ জানুয়ারি ১৯০৩ খ্রিষ্টাব্দ],
৮০তম মাঘোৎসবের
সাংবৎসরিক মাঘোৎসব পরিবেশিত
হয়েছিল। সম্ভবত গানটি এই মাঘোৎসব উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ গানটি রচনা করেছিলেন। এই
সূত্রে
ধারণা করা যায়, গানটি রবীন্দ্রনাথের ৪৮ বৎসর ৮-৯ মাস বয়সের রচনা।
[৪৮
বৎসর
অতিক্রান্ত বয়সে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
গীতবিতান অখণ্ড। পূজা ২৬১। উপবিভাগ আত্মবোধন-৩। পর্যায়ের ২৬১ সংখ্যক গান।
পত্রিকা:
তত্ত্ববোধিনী (ফাল্গুন ১৮৩১ শকাব্দ, ১৩১৮ বঙ্গাব্দ)। ভীমপলশ্রী-সুরফাঁক্তা। পৃষ্ঠা ১৭৪-১৭৫। [নমুনা]
সঙ্গীত প্রকাশিকা (ফাল্গুন ১৩১৬ বঙ্গাব্দ)। সুরেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায়-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
প্রকাশের কালানুক্রম: ১৩১৬ বঙ্গাব্দের ১১ই মাঘ মাঘোৎসবের (৮০)সায়ংকালীন অধিবেশনে গানটি প্রথম পরিবেশিত। এরপর গানটি সুরেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায়-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল- সঙ্গীত প্রকাশিকা পত্রিকার 'ফাল্গুন ১৩১৬ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায়। এরপর যে সকল পত্রিকা এবং গ্রন্থাদিতে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল, সেগুলো হলো- গান দ্বিতীয় সংস্করণ (১৩১৬ বঙ্গাব্দ), গীতলিপি ১ম ভাগ (১৩১৬ বঙ্গাব্দ), ধর্ম্মসঙ্গীত (১৩২১ বঙ্গাব্দ) ও কাব্যগ্রন্থ দশম খণ্ড (১৩২৩ বঙ্গাব্দ)।
এ সকল গ্রন্থাদির
পরে,
১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত
গীতবিতান
-এর
দ্বিতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণ-এ
ধর্ম্মসঙ্গীত
(১৩২১ বঙ্গাব্দ)
থেকে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
১৩৪৮ বঙ্গাব্দের মাঘ
মাসে প্রকাশিত হয়েছিল গীতবিতানের
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ। এই সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল
পূজা,
পর্যায়ের
আত্মবোধন
উপবিভাগের তৃতীয় গান হিসেবে।
১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন
মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের
পূজা
পর্যায়ের ২৬১ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
গানটি
একইভাবে অখণ্ড গীতাবিতানের তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশিত
হয়েছিল পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে।