বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
এবার
নীরব করে দাও হে তোমার মুখর কবিরে।
পাঠ ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান (বিশ্বভারতী, কার্তিক ১৪১২)-এর পাঠ:
পূজা
(অন্তর্মুখে-২)
পর্যায়ের ২৫৪ সংখ্যক গান।
এবার
নীরব করে দাও হে তোমার মুখর কবিরে।
তার
হৃদয়বাঁশি আপনি কেড়ে বাজাও গভীরে
॥
নিশীথরাতের
নিবিড় সুরে বাঁশিতে তান দাও হে পুরে,
যে তান দিয়ে অবাক্ কর গ্রহশশীরে॥
যা-কিছু মোর
ছড়িয়ে আছে জীবন-মরণে
গানের টানে
মিলুক এসে তোমার চরণে।
বহুদিনের
বাক্যরাশি এক নিমেষে যাবে ভাসি—
একলা বসে শুনব অকূল তিমিরে
॥
- পাণ্ডুলিপির পাঠ:
-
পাঠভেদ:
-
তথ্যানুসন্ধান:
- ক. রচনাকাল ও স্থান: RBVBMS
357 এবং
RBVBMS 478
পাণ্ডুলিপিতে গানটি রচনার তারিখ উল্লেখ
আছে '৩০শে চৈত্র/১৩১৬'।
উল্লেখ্য, ১৩১৬ বঙ্গাব্দের ২৪শে ফাল্গুন, রবীন্দ্রনাথ রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে সাথে নিয়ে শিলাইদহ যান এবং ৫ই চৈত্র
কলকাতায় ফিরে আসেন। ১১ই চৈত্র তারিখে তিনি শান্তিনিকেতনে ফিরে আসেন। এরপর
চৈত্রমাসের শেষে শান্তিনিকেতনে থাকাকালে তিনি এই গানটি-সহ মোট ৫টি গান রচনা করেন।
রবীন্দ্রনাথ
তাঁর ৪৮ অতিক্রান্ত বয়সের শেষাংশে এই গানটি রচনা করেছিলেন।
[রবীন্দ্রনাথের
৪৮ বৎসর
অতিক্রান্ত বয়সের রচিত গানের তালিকা]
-
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
- গ্রন্থ
-
গীতবিতান
-
গীতাঞ্জলি
-
প্রথম সংস্করণ
[ইন্ডিয়ান
পাবলিশিং হাউস,
২০ ভাদ্র ১৩১৭
বঙ্গাব্দ,
গান ৬০। পৃষ্ঠা ৭১।
[নমুনা]
-
রবীন্দ্ররচনাবলী একাদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী)।
৫৯ সংখ্যক গান।
পৃষ্ঠা ৪৯
-
গীতলিপি দ্বিতীয় ভাগ (৬ আষাঢ়, ১৩১৭
বঙ্গাব্দ, ২০
জুন ১৯১০
খ্রিষ্টাব্দ)।
সুরেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায়-কৃত স্বরলিপি-সহ
মুদ্রিত হয়েছিল।
-
ধর্ম্মসঙ্গীত
[ইন্ডিয়ান প্রেস্ লিমিটেড, ১৩২১
বঙ্গাব্দ। পৃষ্ঠা: ৫৬]
[নমুনা
প্রথমাংশ,
দ্বিতীয়াংশ]
-
সঙ্গীত-গীতাঞ্জলি [১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দ,
১৩৩৪ বঙ্গাব্দ)। ভীমরাও শাস্ত্রী-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
-
স্বরবিতান সপ্তত্রিংশ (৩৭) খণ্ডের ১২ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ৩৫-৩৬]
[নমুনা]
-
পত্রিকা:
-
সুপ্রভাত
(বৈশাখ ১৩১৭ বঙ্গাব্দ)। শিরোনাম-নিশীথে'। কানাড়া-কাওয়ালি। পৃষ্ঠা ৪৪২
[নমুনা]
-
রেকর্ডসূত্র:
রেকর্ডসূত্র পাওয়া যায় নি।
গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল
সুপ্রভাত'
পত্রিকার 'বৈশাখ ১৩১৭ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায়।
এরপর যে সকল গ্রন্থাদিতে অন্তর্ভুক্ত হয়ে গানটি প্রকাশিত হয়েছিল,
সেগুলো হলো-
গীতলিপি দ্বিতীয় ভাগ (আষাঢ়, ১৩১৭
বঙ্গাব্দ),
গীতাঞ্জলি
প্রথম সংস্করণ
(ভাদ্র ১৩১৭
বঙ্গাব্দ),
ধর্ম্মসঙ্গীত
(১৩২১
বঙ্গাব্দ),
কাব্যগ্রন্থ অষ্টম খণ্ড
(১৩২৩
বঙ্গাব্দ)
ও
সঙ্গীত-গীতাঞ্জলি
(১৩৩৪ বঙ্গাব্দ)।
এ সকল গ্রন্থাদির
পরে,
১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত
গীতবিতান -এর
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ
গানটি গৃহীত
হয়েছিল, গীতাঞ্জলি (১৩১৭ বঙ্গাব্দ) থেকে। এরপরর
এর
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের মাঘ
মাসে। এই সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল
পূজা,
পর্যায়ের
অন্তর্মুখ উপবিভাগের দ্বিতীয় গান হিসেবে। ১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন
মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের
পূজা
পর্যায়ের ২৫৪সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত
হয়েছিল।
গানটি
একইভাবে অখণ্ড গীতাবিতানের তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশিত
হয়েছিল পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে।
গ.
সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
- ভাঙ্গা গান:
- স্বরলিপি:
- স্বরলিপিকার:
- রাগ ও তাল:
-
রাগ- কানাড়া।
তাল-ত্রিতাল (বিলন্বিত)। [স্বরবিতান-৩৭-তে
গৃহীত স্বরলিপিটি হ্রস্ব মাত্রায় লিখিত হয়েছে।]
- রাগ: দরবারী কানাড়া। তাল: ত্রিতাল। [রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা
। সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬)। পৃষ্ঠা: ৩৮]।
- রাগ: সাহানা,
আড়ানা।
তাল: ত্রিতাল ঢিমে [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার
চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমী, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ৭০]
গ্রহস্বর-সা
।
লয় : মধ্য।