হেরি অহরহ তোমারি বিরহ ভুবনে ভুবনে রাজে হে,
কত রূপ ধরে কাননে ভূধরে আকাশে সাগরে সাজে হে ॥
সারা নিশি ধরি তারায় তারায় অনিমেষ চোখে নীরবে দাঁড়ায়,
পল্লবদলে শ্রাবণধারায় তোমারি বিরহ বাজে হে ॥
ঘরে ঘরে আজি কত বেদনায় তোমারি গভীর বিরহ ঘনায়
কত প্রেমে হায়, কত বাসনায়, কত সুখে দুখে কাজে হে।
সকল জীবন উদাস করিয়া কত গানে সুরে গলিয়া ঝরিয়া
তোমার বিরহ উঠিছে ভরিয়া আমার হিয়ার মাঝে হে ॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: [RBVBMS 478] [নমুনা]
পাঠভেদ: গানটির পাঠভেদ আছে।
স্বরবিতান-৩৭ খণ্ডে মুদ্রিত পাঠভেদ অনুসারে
নিচের
পাঠভেদ
দেখানো হলো।
পল্লবদলে শ্রাবণধারায় তোমারি
বিরহ : গীতলিপি ২,
গীতবিতান (আশ্বিন
১৩৩৮)
পল্লবদলে শ্রাবণধারায়
তোমার বিরহ : গান (১৯০৯),
গীতলেখা ২
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান:
RBVBMS
478
পাণ্ডুলিপিতে গানটির রচনা
তারিখ
উল্লেখ আছে
'১২ই ভাদ্র/রাত্রি'।
রবীন্দ্রনাথের
৪৮ বৎসর ৪মাস বয়সের রচনা।
উল্লেখ্য,
রবীন্দ্রনাথ
১৩১৬ বঙ্গাব্দের
৮ ভাদ্রে কলকাতা থেকে
শান্তিনিকেতনে আসেন এবং ১৯শে ভাদ্র পর্যন্ত এখানেই কাটান। ১২ই ভাদ্র রাত্রে তিনি
দুটি গান রচনা করেন। উল্লেখ্য, অপর গানটি ছিল- এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৪৮ বৎসর ৪ মাস।
যদি
তোমার দেখা না পাই প্রভু [পূজা-১৩৯] [তথ্য]
[রবীন্দ্রনাথের
৪৮ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, মাঘ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ)। পর্যায় পূজা, উপবিভাগ: বিরহ-১৩। পৃষ্ঠা: ৬১] [নমুনা]
অখণ্ড সংস্করণ, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৮০)। পূজা ১৪১। উপবিভাগ: বিরহ ১৩।
গীতলিপি দ্বিতীয় ভাগ (৬ আষাঢ়, ১৩১৭ বঙ্গাব্দ, ২০ জুন ১৯১০ খ্রিষ্টাব্দ)। সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
রবীন্দ্রচনাবলী একাদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী)। পৃষ্ঠা ২৩।
ধর্ম্মসঙ্গীত (ইন্ডিয়ান পাবলিশিং হাউস ১৩২১)। পৃষ্ঠা: ৩৬। [নমুনা: প্রথমাংশ, শেষাংশ]
সঙ্গীত-গীতাঞ্জলি (১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দ, ১৩৩৪ বঙ্গাব্দ)। ভীমরাও শাস্ত্রী-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
স্বরবিতান সপ্তত্রিংশ (৩৭) খণ্ডের ২৮ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ৮৩-৮৪। সুরান্তর ও ভিন্নছন্দ। পৃষ্ঠা ৮৫-৮৬।[নমুনা]
পত্রিকা:
রেকর্ডসূত্র: রেকর্ডসূত্র পাওয়া যায় নি।
প্রকাশের
কালানুক্রম: বঙ্গদর্শন
পত্রিকার
ভাদ্র,
১৩১৬ সংখ্যায় উল্লিখিত
গানটি প্রকাশিত হয়।
কিন্তু পত্রিকার এই সংখ্যা বিলম্বে
অর্থাৎ
২২ সেপ্টেম্বর,
(৬
আশ্বিন)
তারিখে প্রকাশিত হয়। সে কারণে এর প্রকাশকাল
আশ্বিন
হয়ে থাকলে গানটির প্রকাশকাল রবীন্দ্রনাথের
২৪ বৎসর ৫ মাস বয়সে ধরা যেতে পারে। এরপরে যে সকল গ্রন্থে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল,
সেগুলো হলো-
গান
দ্বিতীয় সংস্করণ
(১৩১৬),
গীতাঞ্জলি
প্রথম সংস্করণ
(১৩১৭),
গীতলিপি দ্বিতীয় ভাগ (১৩১৭),
ধর্ম্মসঙ্গীত (১৩২১),
কাব্যগ্রন্থ অষ্টম খণ্ড (১৩২৩),
গীতলেখা দ্বিতীয়
ভাগ (১৩২৫) ও
সঙ্গীত-গীতাঞ্জলি (১৩৩৪)।
এ সকল গ্রন্থাদির পরে, ১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত
গীতবিতান -এর
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ
- গানটি প্রথম অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
এর
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে।
এই সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল
পূজা,
পর্যায়ের বিরহ উপবিভাগের
১৩ সংখ্যক গান হিসেবে। ১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন
মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের ১৪০ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
অখণ্ড গীতাবিতানের তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দের পৌষ
মাসে। এই সংস্করণে
পূজা,
পর্যায়ের বিরহ উপবিভাগের
১৪০ সংখ্যক গান হিসেবে।
গ. সঙ্গীতবিষয়ক তথ্যাবলি:
স্বরলিপি: [নমুনা]
স্বরলিপিকার:
সুরেন্দ্রনাথ
বন্দ্যোপাধ্যায়-কৃত
স্বরলিপিটি গীতলিপির-২য় ভাগ
থেকে স্বরবিতান-৩৭-এ
গৃহীত হয়েছে। এর ৮৫-৮৬ পৃষ্ঠায় সুরভেদটি গীতলেখা দ্বিতীয় ভাগ থেকে
দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর -কৃত স্বরলিপিটি
গৃহীত হয়েছে।
[সুরেন্দ্রনাথ
বন্দ্যোপাধ্যায়
-কৃত স্বরলিপির তালিকা]
[দিনেন্দ্রনাথ
ঠাকুর-কৃত রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
সুর ও তাল:
স্বরবিতান সপ্তত্রিংশ (৩৭)
রাগ: সাহানা। তাল: একতাল/চৌতাল। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা, সুধীর চন্দ, প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬], পৃষ্ঠা: ৮৫।
রাগ: সাহানা, আড়ানা। তাল: একতাল, চৌতাল। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১], পৃষ্ঠা: ১৪৮।
বিষয়াঙ্গ: ব্রহ্মসঙ্গীত।
সুরাঙ্গ: ধ্রুপদাঙ্গ।
গ্রহস্বর: রা।
লয়: মধ্য।