বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা :
শিরোনাম:
যদি তোমার দেখা না পাই,
প্রভু,
এবার এ জীবনে
পাঠ ও পাঠভেদ:
যদি তোমার দেখা না পাই, প্রভু, এবার এ জীবনে
তবে তোমায় আমি পাই নি যেন সে কথা রয় মনে।
যেন ভুলে না যাই, বেদনা পাই শয়নে স্বপনে ॥
এ সংসারের হাটে
আমার যতই দিবস কাটে,
আমার যতই দু হাত ভরে উঠে ধনে
তবু কিছুই আমি পাই নি যেন সে কথা রয় মনে।
যেন ভুলে না যাই, বেদনা পাই শয়নে স্বপনে ॥
যদি আলসভরে
আমি বসি পথের ’পরে,
যদি ধুলায় শয়ন পাতি সযতনে,
যেন সকল পথই বাকি আছে সে কথা রয় মনে।
যেন ভুলে না যাই, বেদনা পাই শয়নে স্বপনে॥
যতই উঠে হাসি,
ঘরে যতই বাজে বাঁশি,
ওগো যতই গৃহ সাজাই আয়োজনে,
যেন তোমায় ঘরে হয় নি আনা সে কথা রয় মনে।
যেন
ভুলে না যাই,
বেদনা পাই শয়নে স্বপনে
॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: [RBVBMS 478] [নমুনা]
পাঠভেদ:
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান:
RBVBMS
478
পাণ্ডুলিপিতে গানটির রচনা
তারিখ
উল্লেখ আছে
'১২ই ভাদ্র।
রবীন্দ্রনাথের
৪৮ বৎসর ৪মাস বয়সের রচনা।
উল্লেখ্য,
রবীন্দ্রনাথ
১৩১৬ বঙ্গাব্দের
৮ ভাদ্রে কলকাতা থেকে
শান্তিনিকেতনে আসেন এবং ১৯শে ভাদ্র পর্যন্ত এখানেই কাটান। ১০ই ভাদ্রে তিনি দুটি
গান রচনা করেন। উল্লেখ্য, অপর গানটি ছিল-
হেরি অহরহ তোমারি বিরহ ভুবনে [পূজা-১৪০]
[তথ্য]
এই সময়
রবীন্দ্রনাথের
বয়স ছিল ৪৮ বৎসর ৪ মাস।
[রবীন্দ্রনাথের
৪৮ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
কাব্যগ্রন্থ অষ্টম খণ্ড (ইন্ডিয়ান প্রেস ১৩২৩ বঙ্গাব্দ), গীতাঞ্জলি, গান সংখ্যা ১৮, পৃষ্ঠা ২৯৮-২৯৯। [নমুনা]
দ্বিতীয় সংস্করণ [ইন্ডিয়ান প্রেস (১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দ, ১৩১৬ বঙ্গাব্দ)। কাফি। পৃষ্ঠা: ৩৯৮-৩৯৯। [নমুনা: প্রথমাংশ, শেষাংশ]
গীতবিতান
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ
প্রথম খণ্ড (বিশ্বভারতী ১৩৩৮)।
পৃষ্ঠা: ৩১৩।
[নমুনা]
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, মাঘ ১৩৪৮
বঙ্গাব্দ)। পর্যায়
পূজা,
উপবিভাগ: বিরহ-১২।
পৃষ্ঠা: ৬০-৬১।
[নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
অখণ্ড সংস্করণ, তৃতীয় সংস্করণ
(বিশ্বভারতী ১৩৮০)।
পূজা
১৩৯। উপবিভাগ: বিরহ
১২।
গীতলিপি ১ম ভাগ (মাঘ ১৩১৬ বঙ্গাব্দ, ১৬ জানুয়ারি ১৯১০ খ্রিষ্টাব্দ)।
ধর্ম্মসঙ্গীত [ইন্ডিয়ান পাবলিশিং হাউস। ১৩২১ বঙ্গাব্দ। পৃষ্ঠা ৪১-৪২] [নমুনা: প্রথমাংশ, শেষাংশ]
পত্রিকা:
বঙ্গদর্শন (পৌষ ১৩১৬ বঙ্গাব্দ)। শিরোনাম-প্রার্থনা। পৃষ্ঠা ৪৩১-৩২। [নমুনা পওয়া যায় নি]
সঙ্গীত প্রকাশিকা (চৈত্র ১৩১৬ বঙ্গাব্দ)। সুরেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায়-কৃত স্বরলিপ-সহ মুদ্রিত হয়েছিল। [নমুনা পওয়া যায় নি]
রেকর্ডসূত্র: নাই।
পরিবেশনা:
গানটি
প্রথম 'গান' নামক গ্রন্থের
দ্বিতীয় সংস্করণে
(১৩১৬) প্রথম
প্রকাশিত হয়েছিল।
এরপর যে সকল গ্রন্থে গানটি স্থান পেয়েছিল, সেগুলো হলো-
বঙ্গদর্শন (পৌষ ১৩১৬),
গীতলিপি
১ম ভাগ (মাঘ ১৩১৬),
তত্ত্ববোধিনী
(ফাল্গুন
১৩১৬।
উল্লেখ্য,
১৩১৬ বঙ্গাব্দের
মাঘোৎসবের সায়ংকালীন অধিবেশনে গানটি গীত হয়েছিল।
এই উৎসবে গীত গানের সাথের
তত্ত্ববোধিনীতে
এই গানটি প্রকাশিত হয়েছিল),
সঙ্গীত প্রকাশিকা (১৩১৬),
গীতাঞ্জলি,
প্রথম সংস্করণ
(১৩১৭),
ধর্ম্মসঙ্গীত (১৩২১), কাব্যগ্রন্থ অষ্টম খণ্ড
(১৩২৩)
ও
সঙ্গীত-গীতাঞ্জলি (১৩৩৪)।
এ সকল গ্রন্থাদির পরে,
১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত
গীতবিতান -এর
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ
- গানটি প্রথম অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
এর
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে।
এই সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল
পূজা,
পর্যায়ের বিরহ উপবিভাগের
১২ সংখ্যক গান হিসেবে।
১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন
মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের ১৩৯ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
অখণ্ড গীতাবিতানের তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দের পৌষ
মাসে। এই সংস্করণে
পূজা,
পর্যায়ের বিরহ উপবিভাগের
১২ সংখ্যক গান হিসেবে।
গ. সঙ্গীতবিষয়ক তথ্যাবলী:
স্বরলিপি: [নমুনা]
স্বরলিপিকার:
সুরেন্দ্রনাথ
বন্দোপাধ্যায় [গীতলিপি-২য় ভাগ থেকেস্বরবিতান অষ্টাত্রিংশ
৩৮
খণ্ডে
গৃহীত হয়েছে ]
[সুরেন্দ্রনাথ
বন্দ্যোপাধ্যায়
-কৃত স্বরলিপির তালিকা]
ভীমরাও শাস্ত্রী
[সঙ্গীত-গীতাঞ্জলি]
[ভীমরাও
শাস্ত্রী
-কৃত স্বরলিপির তালিকা]
সুর ও তাল
বিষয়াঙ্গ: ব্রহ্মসঙ্গীত।
সুরাঙ্গ: খেয়ালাঙ্গ
গ্রহস্বর: সা।
লয়: মধ্য।