বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
তুমি এবার
আমায় লহো হে নাথ,
লহো।
পাঠ
ও পাঠভেদ:
তুমি এবার আমায় লহো হে নাথ, লহো।
এবার তুমি ফিরো না হে—
হৃদয় কেড়ে নিয়ে রহো ॥
যে দিন গেছে তোমা বিনা তারে আর ফিরে চাহি না,
যাক সে ধুলাতে।
এখন তোমার আলোয় জীবন মেলে যেন জাগি অহরহ ॥
কী আবেশে কিসের কথায় ফিরেছি হে যথায় তথায়
পথে প্রান্তরে,
এবার বুকের কাছে ও মুখ রেখে তোমার আপন বাণী কহো ॥
কত কলুষ কত ফাঁকি এখনো যে আছে বাকি
মনের গোপনে,
আমায় তার লাগি আর ফিরায়ো না—
তারে আগুন দিয়ে দহো ॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: [RBVBMS 478] [নমুনা]
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান: RBVBMS 478 পাণ্ডুলিপিতে লিখিত গানটির নিচে তারিখ উল্লেখ আছে-
'২৮ চৈত্র'।
গীতাঞ্জলি
'র প্রথম সংস্করণ (১৩১৭ বঙ্গাব্দ) গানটির তারিখ উল্লেখ আছে- ২৮ চৈত্র,
১৩১৬।
উল্লেখ্য,
১৩১৬ বঙ্গাব্দের ২৪ ফাল্গুন, রবীন্দ্রনাথ রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে সাথে নিয়ে
শিলাইদহ যান এবং ৫ চৈত্রে কোলকাতায় ফিরে আসেন। এরপর ১১ই চৈত্র তারিখে তিনি
শান্তিনিকেতনে ফিরে আসেন। চৈত্রমাসের শেষের দিকে তিনি এই গানটি-সহ মোট ৫টি গান
রচনা করেন।
রবীন্দ্রনাথ তাঁর ৪৮ অতিক্রান্ত বয়সের শেষাংশে এই গানটি
রচনা করেছিলেন।
[রবীন্দ্রনাথের
৪৮ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ (বিশ্বভারতী, আশ্বিন ১৩৩৮), পৃষ্ঠা: ৩৪৫। [নমুনা]
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, মাঘ ১৩৪৮), পর্যায়: পূজা, উপবিভাগ: প্রার্থনা ২৯, পৃষ্ঠা: ৫১। [নমুনা]
অখণ্ড, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, পৌষ ১৩৮০), পূজা ১২০, উপ-বিভাগ : প্রার্থনা ২৯, পৃষ্ঠা: ৫৫।
গীতলিপি তৃতীয় ভাগ (১৯১০ খ্রিষ্টাব্দ, ১৩১৭ বঙ্গাব্দ)। সুরেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায়-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।১
গীতি-চর্চ্চা (বিশ্বভারতী, পৌষ ১৩৩২), গান সংখ্যা ৫৪, পৃষ্ঠা: ৩৯-৪০। [নমুনা: প্রথমাংশ, শেষাংশ]
প্রথম সংস্করণ (ইন্ডিয়ান পাবলিশিং হাউস ১৩১৭), ৫৮ সংখ্যক গান, পৃষ্ঠা ৬৯। [নমুনা]
রবীন্দ্ররচনাবলী একাদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী, আষাঢ় ১৩৪৯), পৃষ্ঠা ৪৭-৪৮।
ধর্ম্মসঙ্গীত (ইন্ডিয়ান প্রেস্ লিমিটেড, ১৩২১ বঙ্গাব্দ), গান, পৃষ্ঠা: ২৩। [নমুনা]
স্বরবিতান অষ্টাত্রিংশ (৩৮) (বিশ্বভারতী, বৈশাখ ১৪১৫) খণ্ড, ১১ সংখ্যক গান, বাউলের সুর-দাদরা, পৃষ্ঠা ৩৩-৩৫।
সঙ্গীত গীতাঞ্জলি (১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দ)। ভীমরাও শাস্ত্রী-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।১
পত্রিকা:
সঙ্গীত প্রকাশিকা [শ্রাবণ ১৩১৭ বঙ্গাব্দ। সুরেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায়-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।১
রেকর্ডসূত্র: রেকর্ডসূত্র পাওয়া যায় নি।
প্রকাশের
কালানুক্রম:
গীতবিতানের গানটি গৃহীত হওয়ার আগে যে সকল গ্রন্থে স্থান পেয়েছিল, সেগুলো
হলো-
সঙ্গীত প্রকাশিকা
(১৩১৭),
গীতাঞ্জলি
প্রথম সংস্করণ
(১৩১৭),
গীতলিপি
তৃতীয় ভাগ (১৩১৭),
ধর্ম্মসঙ্গীত (১৩২১),
কাব্যগ্রন্থ অষ্টম খণ্ড (১৩২৩)
ও
গীতি-চর্চ্চা
(১৩৩২)।
এ সকল গ্রন্থাদির পরে,
১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত
গীতবিতান -এর
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ
- গানটি প্রথম অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
এর
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে।
এই সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল
পূজা,
পর্যায়ের উপবিভাগ: প্রার্থনা হিসেবে।
১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন
মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের ১২০ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
অখণ্ড গীতাবিতানের তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দের পৌষ
মাসে।
স্বরলিপি: [নমুনা]
স্বরলিপিকার:
সুরেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায়। [গীতলিপি তৃতীয় ভাগ (১৯১০ খ্রিষ্টাব্দ, ১৩১৭ বঙ্গাব্দ) থেকে স্বরবিতান-৩৮’এ গৃহীত হয়েছে।]
ভীমরাও শাস্ত্রী।
[সঙ্গীত
গীতাঞ্জলি (১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দ)]
[সুরেন্দ্রনাথ
বন্দোপাধ্যায়-কৃত স্বরলিপির তালিকা]
[ভীমরাও
শাস্ত্রী-কৃত স্বরলিপির তালিকা]
সুর ও তাল:
RBVBMS 478-পাণ্ডুলিপিতে
লিখিত এই গানের
উপরে লেখা আছে-
'বাউল'। পান্ডুলিপির বাম কোণায় লেখা আছে- 'আমি একবারোনা'। এই অংশটুকু-
লালনের সাঁইয়ের- 'বাড়ির কাছে আরশি নগর' গানের 'আমি একবার না দেখিলাম না
তারে' গানের কথা মনে করিয়ে দেয়।
১৩১৬ বঙ্গাব্দের ফাল্গুন মাসে রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতন যান এবং সেখান
থেকে ৫
চৈত্রে কোলকাতায় ফিরে আসেন এবং ১১ই চৈত্র তারিখে শান্তিনকেতন আসেন। এরপর
২৮শে চৈত্র এই গানটি রচনা করেন।
বাউলের সুর। তাল: দাদরা। [স্বরবিতান অষ্টাত্রিংশ (৩৮) (বিশ্বভারতী, বৈশাখ ১৪১৫)]
অঙ্গ: বাউল। তাল: দাদরা। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬। পৃষ্ঠা: ৫৪]।
অঙ্গ:
বাউল।
তাল:
দাদরা।
[রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, জুলাই ২০০১],
পৃষ্ঠা: ৯৬।
[দাদরা
তালে নিবদ্ধ রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
[বাউল
সুরে নিবদ্ধ রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
বিষয়াঙ্গ:
সুরাঙ্গ: বাউলাঙ্গ
গ্রহস্বর: গা।
লয়: দ্রুত।
সূত্র :
স্বরবিতান অষ্টাত্রিংশ
(৩৮) (বিশ্বভারতী,
বৈশাখ ১৪১৫) খণ্ড, পৃষ্ঠা ৯৭।