বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা :
শিরোনাম:
মহাবিশ্বে মহাকাশে মহাকাল-মাঝে
পাঠ ও পাঠভেদ:
মহারাজ, একি সাজে এলে হৃদয়পুরমাঝে !
চরণতলে কোটি শশী সূর্য মরে লাজে ॥
গর্ব সব টুটিয়া মূর্ছি পড়ে লুটিয়া,
সকল মম দেহ মন বীণাসম বাজে ॥
একি পুলকবেদনা বহিছে মধুবায়ে !
কাননে যত পুষ্প ছিল মিলিল তব পায়ে।
পলক নাহি নয়নে, হেরি না কিছু ভুবনে—
নিরখি শুধু অন্তরে সুন্দর বিরাজে ॥
তথ্যানুসন্ধান
ক.
রচনাকাল ও স্থান:
গানটির রচনাকাল
সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য পাওয়া যায় নাই। গানটি
১৩১৬ বঙ্গাব্দের ১১ মাঘ
[সোমবার, ২৪ জানুয়ারি ১৯০৩ খ্রিষ্টাব্দ],
৮০তম মাঘোৎসবের
সাংবৎসরিক মাঘোৎসব পরিবেশিত
হয়েছিল। সম্ভবত গানটি এই মাঘোৎসব উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ গানটি রচনা করেছিলেন। এই
সূত্রে
ধারণা করা যায়, গানটি রবীন্দ্রনাথের ৪৮ বৎসর ৮-৯ মাস বয়সের রচনা।
[৪৮
বৎসর
অতিক্রান্ত বয়সে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
গান (১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দ, ১৩১৬ বঙ্গাব্দ)। বহাগ-ঝাঁপতাল। পৃষ্ঠা ৪১১।
গীতবিতানের পূজা (উপ-বিভাগ : সুন্দর-৭) পর্যায়ের ৫২২ সংখ্যক গান।
গীতলিপি ১ম ভাগ (মাঘ ১৩১৬ বঙ্গাব্দ, ১৬ জানুয়ারি ১৯১০ খ্রিষ্টাব্দ)। সুরেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায়-কৃত স্বরলিপি- সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
স্বরবিতান ষট্ত্রিংশ (৩৬) খণ্ডের ৮ম গান। পৃষ্ঠা ১৯-২০।
পত্রিকা:
তত্ত্ববোধিনী (ফাল্গুন ১৮১৬ খ্রীষ্টাব্দ, ১৩১৬ বঙ্গাব্দ)। বেহাগ-ঝাঁপতাল। পৃষ্ঠা ১৭৬।
সঙ্গীত-প্রকাশিকা (ফাল্গুন ১৩১৬ বঙ্গাব্দ)। সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়-কৃত স্বরলিপি- সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
প্রকাশের কালানুক্রম: ১৩১৬ বঙ্গাব্দের মাঘোৎসবের সায়ংকালীন অধিবেশনে গানটি প্রথম গীত হয়েছিল।
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
ভাঙা গান: এটি একটি ভাঙা গান। মূলগানটি সুরত সেনের রচিত।
মূল গান : বেহাগ। ঝাঁপতাল (মধ্যগতি)।
মেরে দুন্দ দল সাজে দশরথসুত রাম,
পদম দশ কোটিত কাটি কোপ ধায়ো ॥
লগন চহুঁ ওর বিকল মন হাঁক দে
বঙ্ক গাড়ি লঙ্ককো চঢ়ি দবায়ো ॥
ঘননাদ বারণ ঔর কুম্ভকরণ
পলক সংহার কর, অবধমেঁ সীতা লায়ো।
নগরসে লোগ সব সুমন বরখাবন
নিরখত সুরতসেন নন্দ পায়ো ॥
সঙ্গীত মঞ্জরী
রবীন্দ্রসঙ্গীত-গবেষণা-গ্রন্থমালা ৩য় খণ্ড। প্রফুল্লকুমার দাস। পৃষ্ঠা ৫১-৫২।
স্বরলিপিকার: সুরেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায়। স্বরবিতান-৩৬, সঙ্গীত-প্রকাশিকা, গীতলিপি-১।
সুর ও তাল:
রাগ-বেহাগ। তাল-ঝাঁপতাল। স্বরবিতান-৩৬, গান, তত্ত্ববোধিনী
রাগ: বেহাগ। তাল: ঝাঁপতাল। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬। পৃষ্ঠা: ৭৩]
রাগ: বেহাগ। তাল: ঝাঁপতাল। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ১২৬।]
গ্রহস্বর-না। লয়-ঈষৎ দ্রুত।
ব্রহ্মসঙ্গীত। ধ্রুপদাঙ্গ