বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত
b>শিরোনাম:
অমন আড়াল দিয়ে লুকিয়ে গেলে চলবে না
পাঠ ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান (বিশ্বভারতী, কার্তিক
১৪১২)-এর পাঠ: পূজা:
৩৬৫
অমন
আড়াল দিয়ে লুকিয়ে গেলে চলবে না
।
এবার
হৃদয়-মাঝে লুকিয়ে বোসো,
কেউ জানবে না,
কেউ বলবে না
বিশ্বে তোমার লুকোচুরি দেশে-বিদেশে কতই ঘুরি
-
এবার
বলো আমার
মনের কোণে দেবে ধরা,
ছলবে না ॥
জানি আমার কঠিন হৃদয় চরণ রাখার যোগ্য সে নয়
-
সখা,
তোমার হাওয়া লাগলে হিয়ায় তবু কি প্রাণ গলবে না
নাহয় আমার নাই সাধনা-
ঝরলে তোমার কৃপা কণা
তখন
নিমেষে কি ফুটবে না ফুল
চকিতে ফল ফলবে না
।
RBVBMS
478]
[নমুনা]
পাঠভেদ:
-
আড়াল দিয়ে লুকিয়ে গেলে
[গান
ইন্ডিয়ান
প্রেস (১৩১৬
বঙ্গাব্দ)]
-
অমন আড়াল দিয়ে লুকিয়ে গেলে চলবে না
।
[গীতবিতান (বিশ্বভারতী, ১৩৮০)]
তথ্যানুসন্ধান
- ক. রচনাকাল ও স্থান:
RBVBMS
478 পাণ্ডুলিপিতে গানটির
রচনা
তারিখ ও স্থানের উল্লেখ আছে, ১১ই/ভাদ্র /বোলপুর/
রাত্রি'।
উল্লেখ্য,
রবীন্দ্রনাথ
১৩১৬ বঙ্গাব্দের ৮ ভাদ্রে কলকাতা থেকে
শান্তিনিকেতনে আসেন এবং ১৯শে ভাদ্র পর্যন্ত এখানেই কাটান। ১১ই ভাদ্র
রাত্রিবেলায় তিনি এই গানটি রচনা করেন। এই সময় রবীন্দ্রনাথের
বয়স ছিল ৪৮ বৎসর ৪ মাস।
[রবীন্দ্রনাথের
৪৮ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
- গ্রন্থ:
-
কাব্যগ্রন্থ
-
অষ্টম খণ্ড
[ইন্ডিয়ান প্রেস ১৩২৩ বঙ্গাব্দ। গীতাঞ্জলি ১৭ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ২৯৬-২৯৭]
[নমুনা]
-
গান
-
দ্বিতীয় সংস্করণ
[ইন্ডিয়ান
প্রেস ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দ
১৩১৬
বঙ্গাব্দ ব্রহ্মসঙ্গীত। টোড়ি-ভৈরবী।
পৃষ্ঠা: ৩৯৭-৩৯৮। [নমুনা:
৩৯৭,
৩৯৮]
-
গীতবিতান
- অখণ্ড, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দ)।
পূজা
৩৬৫, উপবিভাগ:
বিশ্ব
৩২।
-
গীতলিপি
তৃতীয় ভাগ [৯ ভাদ্র
১৩১৭, ১৯১০
খ্রিষ্টাব্দ। সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়-কৃত
স্বরলিপি-সহ-মুদ্রিত হয়েছিল]
গীতাঞ্জলি
-
প্রথম সংস্করণ
[ইন্ডিয়ান পাবলিশিং হাউস, ২০ ভাদ্র ১৩১৭ বঙ্গাব্দ, ১৯১০ খ্রিষ্টাব্দ।গান ২৪,
পৃষ্ঠা ২৮।
[নমুনা]
-
রবীন্দ্ররচনাবলী
একাদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী)। ২৩ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ২১-২২।
-
ধর্ম্মসঙ্গীত
[ইন্ডিয়ান প্রেস্ লিমিটেড, ১৩২১ বঙ্গাব্দ। পৃষ্ঠা ৪২-৪৩]
[নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
-
সঙ্গীত-গীতাঞ্জলি
[১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দ, ১৩৩৪ বঙ্গাব্দ।
ভীমরাও শাস্ত্রী-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত
হয়েছিল]
-
স্বরবিতান সপ্তত্রিংশ (৩৭) খণ্ডের ১৪ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ৪১-৪৩।
[নমুনা]
পত্রিকা: নাই
রেকর্ড সূত্র: ১৯২৬ থেকে ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দের ভিতরে এইচএমভি এই গানটির একটি রেকর্ড প্রকাশ করেছিল।
শিল্পী ছিলেন বঙ্কিম চক্রবর্তী। এর রেকর্ড নম্বর
P-7874
প্রকাশের কালানুক্রম: এই গানটি যে সকল গ্রন্থাদিতে কালানুক্রমে
প্রকাশিত হয়েছিল, সেগুলো হলো-গান
দ্বিতীয় সংস্করণ
( ১৩১৬
বঙ্গাব্দ),
গীতলিপি
তৃতীয় ভাগ (১৩১৭,
গীতাঞ্জলি
প্রথম সংস্করণ
(১৩১৭ বঙ্গাব্দ,
ধর্ম্মসঙ্গীত (১৩২১ বঙ্গাব্দ),
কাব্যগ্রন্থ
অষ্টম খণ্ড
(১৩২৩ বঙ্গাব্দ) ও
সঙ্গীত-গীতাঞ্জলি(১৩৩৪ বঙ্গাব্দ),
এরপর গানটি ১৩৩৮ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত
গীতবিতানের
দ্বিতীয় খণ্ড প্রথম সংস্করণে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এরপর ১৩৪৮ বঙ্গাব্দে
প্রকাশিত
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণে
পূজা
পর্যায়ের
বিশ্ব
উপবিভাগের ৩২
সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এরপর ১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে
প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের
পূজা
পর্যায়ের ৩৬৫
সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
-
স্বরলিপিকার:
-
সুরেন্দ্রনাথ ঠাকুর। [গীতলিপি- ৩য় ভাগ থেকে স্বরবিতান ৩৭ খণ্ডে গৃহীত
হয়েছে]
-
ভীমরাও
শাস্ত্রী। [সঙ্গীত-গীতাঞ্জলি]
-
সুর ও তাল:
-
রাগ-মিশ্র টোড়ী।
তাল-দাদরা। [স্বরবিতান-৩৭]
- রাগ:
আশাবরী-ভৈরবী। তাল: দাদরা।
[রবীন্দ্রসংগীত:
রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৩। পৃষ্ঠা: ২৩]
-
রাগ: ভৈরবী, তোড়ী। তাল:
দাদরা । [রাগরাগিণীর এলাকায়
রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি,
জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ৪৭।
-
বিষয়াঙ্গ: ব্রহ্মসঙ্গীত
-
সুরাঙ্গ: স্বকীয় বৈশিষ্ট্য
-
গ্রহস্বর: মা।
-
লয়: মধ্য।