বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
আজি এই
গন্ধবিধুর সমীরণে
পাঠ ও পাঠভেদ:
গীতবিতান (বিশ্বভারতী, কার্তিক ১৪১২)-এর পাঠ: প্রকৃতি (উপ-বিভাগ : বসন্ত ৬৫) পর্যায়ের ২৫২ সংখ্যক গান।
আজি এই গন্ধবিধুর সমীরণে
কার সন্ধানে ফিরি বনে বনে॥
আজি ক্ষুব্ধ নীলাম্বরমাঝে একি চঞ্চল ক্রন্দন বাজে।
সুদূর দিগন্তের সকরুণ সঙ্গীত লাগে মোর চিন্তায় কাজে―
আমি খুঁজি কারে অন্তরে মনে গন্ধবিধুর সমীরণে॥
ওগো, জানি না কী নন্দনরাগে
সুখে উৎসুক যৌবন জাগে।
আজি আম্রমুকুলসৌগন্ধে, নব পল্লবমর্মরছন্দে,
চন্দ্রকিরণসুধাসিঞ্চিত অম্বরে অশ্রুসরস মহানন্দে,
আমি পুলকিত কার পরশনে গন্ধবিধুর সমীরণে॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ:
[RBVBMS 143] [নমুনা]
[RBVBMS 148] [লিখে কেটে দেওয়া হয়েছে। নমুনা]
[RBVBMS 478] [নমু্না ৫২ ]
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল
ও স্থান:
১৩১৬ বঙ্গাব্দের ১৪ মাঘ [বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারি ১৯১০ খ্রিষ্টাব্দ], রথীন্দ্রনাথ
ঠাকুরের সাথে প্রতিমা দেবীর বিবাহ হয়। ২৬ মাঘ পুত্র ও পুত্রবধূকে নিয়ে রবীন্দ্রনাথ
শান্তিনিকেতন যান। শান্তিনিকেতন থেকে ২০ ফাল্গুনে রবীন্দ্রনাথ কোলকাতা আসেন। ১ থেকে
২০ ফাল্গুনের ভিতরে রবীন্দ্রনাথ এই গানটি রচনা করেছিলেন। গানটি হলো—
[রবীন্দ্রনাথের
৪৮ বৎসর ১০ মাস বয়সে রচিত গানের তালিকা]
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
স্বরবিতান অষ্টাত্রিংশ (৩৮) খণ্ডের (বৈশাখ ১৪১৫ বঙ্গাব্দ) ১৬ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ৪৬-৪৭।
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
ভাঙা গান:
মূল গান: এরিমা স বন অমুয়া। [ শ্রবণ নমুনা: সম্পূর্ণ দেব]
দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের
গান: আজি কি
হরষ সমীর বহে [শ্রবণ
নমুনা: মানব বন্দ্যোপাধ্যায়]
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর: আজি এই গন্ধবিধূর সমীর
[তথ্য]
[শ্রবণ
নমুনা:
কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়]
রবীন্দ্রনাথের গান: ওরে ভাই ফাগুন লেগেছে বনে বনে [শ্রবণ
নমুনা: দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়]
স্বরলিপিকার : ভীমরাও শাস্ত্রী।
সুর ও তাল:
স্বরবিতান অষ্টাত্রিংশ (৩৮) খণ্ডে (বৈশাখ ১৪১৫ বঙ্গাব্দ) গৃহীত স্বরলিপিতে রাগ ও তাল হিসেবে উল্লেখ রয়েছে যথাক্রমে পরজ-বসন্ত এবং ত্রিতাল।
রাগ- পরজ-বসন্ত। তাল- ত্রিতাল।
গ্রহস্বর- দা।
লয়- মধ্য।