বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা :
শিরোনাম:
ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী,
একা একা করি খেলা
পাঠ ও পাঠভেদ:
ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা-
আন্মনা যেন দিক্বালিকার ভাসানো মেঘের ভেলা ॥
যেমন হেলায় অলস ছন্দে কোন্ খেয়ালির কোন্ আনন্দে
সকালে-ধরানো আমের মুকুল ঝরানো বিকালবেলা ॥
যে বাতাস নেয় ফুলের গন্ধ, ভুলে যায় দিনশেষে,
তার হাতে দিই আমার ছন্দ- কোথা যায় কে জানে সে।
লক্ষ্যবিহীন স্রোতের ধারায় জেনো জেনো মোর সকলই হারায়,
চিরদিন আমি পথের নেশায় পাথেয় করেছি হেলা॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ:
RBVBMS 287 [দিনেন্দ্রনাথ-কৃত স্বরলিপি-র পাণ্ডুলিপি'র বিভিন্ন অংশ।
রবীন্দ্রনাথের পাণ্ডুলিপি MS. NO 021: পৃষ্ঠা: ১৭ পৃষ্ঠায় এই গানটি পাওয়া যায়।[পাণ্ডুলিপি]
পাঠভেদ:
১৩৩৩ বঙ্গাব্দের
২১ ফাল্গুন এই গানটির একটি প্রাথমিক রূপ দেন।
রবীন্দ্রনাথের পাণ্ডুলিপি
MS. NO
021:-এ এই গানটির
প্রাথমিক যে রূপটি পাওয়া যায়, তা নিচে তুলে ধরা
হলো।
কাগজের তরী সাজায়ে, আমি যে
একা একা করি খেলা
তার সাথে
মেলে
দিক্-বালিকার
ভাসানো মেঘের ভেলা॥
তার
সাথে মেলে, অলস ছন্দে
কোন্ খেয়ালীর কোন্
আনন্দে
সকালে
ধরায়ে
আমের
মুকুল
ঝরানো বিকাল বেলা॥
মোর
কাছে এলে কি মনে করিয়া
এই
কাগজের পুটে
কোন সম্বল তুলে নিতে চাও
চলিতে
চলিতে ছুটে?
লক্ষ্যবিহীন স্রোতের
ধারায়
জেনো জেনো, মোর সকলি হারায়,
চিরদিন
আমি
পথের নেশায়
পাথেয় করেছি হেলা॥
পাণ্ডুলিপির
শিরোদেশে লেখা আছে, "গীতবিতান 'ছিন্নপাতার সাজাই তরণী' দ্রঃ'।
স্বরবিতান তৃতীয় (৩) খণ্ডের (মাঘ ১৪১২ বঙ্গাব্দ) -এর ১৬৬ পৃষ্ঠায় মুদ্রিত পাঠভেদ অনুসারে নিচের পাঠভেদটি দেখানো হলো।
লক্ষ্যবিহীন স্রোতের ধারায় : গীতবিতান ৩ (শ্রাবণ ১৩৩৯)
লক্ষ্যবিহীন পথের ধারায় : স্বরবিতান ৩ (বৈশাখ ১৩৪৫)
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান: রবীন্দ্রনাথের পাণ্ডুলিপি MS. NO 021:-এ এই গানটির প্রাথমিক যে রূপটি পাওয়া যায়, তার রচনাকাল '২১ ফাল্গুন ১৩৩৩'। এই রূপটি গীতবিতানে নেই, গান হিসেবে গাওয়াও হয় না। রবীন্দ্রনাথ এই আদিরূপটিকে পরিবর্তন করে, বর্তমান রূপ দিয়েছিলেন, তা জানা যায় না। গানটির আদিরূপ রচনার সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল গানটি ৬৫ বৎসর ১০ মাস। উল্লেখ্য গানটি শান্তিনিকেতনে রচিত হয়েছিল।
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী: