বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত
শিরোনাম: আমরা পথে পথে যাব সারে সারে
পাঠ ও পাঠভেদ:
-
গীতবিতান অখণ্ড (বিশ্বভারতী, কার্তিক ১৪১২ )-এর পাঠ: স্বদেশ পর্যায়ের ৩৪ সংখ্যক গান।
ওরে, তোরা নেই বা কথা বললি,
দাঁড়িয়ে হাটের মধ্যিখানে নেই জাগালি পল্লী॥
মরিস মিথ্যে ব’কে ঝ’কে দেখে কেবল হাসে লোকে,
নাহয় নিয়ে আপন মনের আগুন মনে মনেই জ্বললি॥
অন্তরে তোর আছে কী যে নেই রটালি নিজে নিজে,
নাহয় বাদ্যগুলো বন্ধ রেখে চুপেচাপেই চললি ॥
কাজ থাকে তো কর গে না কাজ, লাজ থাকে তো ঘুচা গে লাজ,
ওরে, কে যে তোরে কী বলছে নেই তাতে টললি॥
-
পাণ্ডুলিপির পাঠ:
MS.No.110 (i)
[নমুনা]
-
তথ্যানুসন্ধান
-
ক. রচনাকাল ও স্থান: ২৬ ভাদ্র, ১৩১২ বঙ্গাব্দ। গিরিড।
গানটি রবীন্দ্রনাথের ৪৪ বৎসর ৩-৪ মাস বয়সের রচনা।
উল্লেখ্য, ১৯০৫ খ্রিষ্টাব্দের ১ সেপ্টেম্বর [শুক্রবার ১৬ ভাদ্র ১৩১২ বঙ্গাব্দ] তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের শীতকালীন রাজধানী সিমলা থেকে
বঙ্গভঙ্গের নির্দেশ জারি করা হয়। এই নির্দেশ বলা হয়- ১৯০৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ই অক্টোবর (৩০ আশ্বিন ১৩১২ বঙ্গাব্দ)থেকে বঙ্গভঙ্গ কার্যকরী হবে। এই ঘোষণার
সাথে সাথে বঙ্গবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং বঙ্গভঙ্গ আইন বাতিলের জন্য প্রতিবাদে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। বিশেষ করে, তৎকালীন বঙ্গের রাজধানী
কলকাতায় বঙ্গভঙ্গ আইন বাতিলের জন্য আন্দোলন তীব্রতর হয়ে ওঠে।
২৬ ভাদ্র রবীন্দ্রনাথ গিরিডিতে ছিলেন। তিনি বঙ্গভঙ্গ আইন বাতিলের জন্য প্রতিবাদে ২৩টি স্বদেশী গান রচনা করেন।
এই গানগুলোর ভিতরে এই গানটি ছিল।
-
খ.প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
-
গ্রন্থ:
-
পত্রিকা:
- ভাণ্ডার (ভাদ্র-আশ্বিন ১৩১২)
- সঙ্গীত প্রকাশিকা (ফাল্গুন ১৩১২ বঙ্গাব্দ)। বাউলের সুর-একতালা। পৃষ্ঠা:
৬১-৬৩।
- গ.সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
-
স্বরলিপি: নমুনা [সূত্র:
স্বরবিতান ষট্চত্বারিংশ
( ৪৬) খণ্ডের (মাঘ ১৪১৫) ]
-
স্বরলিপিকার:
ইন্দিরাদেবী।
- সুর ও তাল:
-
স্বরবিতান ষট্চত্বারিংশ
(৪৬) খণ্ডের (মাঘ ১৪১৫) -এ গৃহীত গানটির স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ
নেই। উক্ত স্বরলিপিটি ৩। ৩।৩।৩ মাত্রা ছন্দে একতালে নিবদ্ধ।
-
অঙ্গ: বাউল। তাল: একতাল। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬।]। পৃষ্ঠা: ৪২
- অঙ্গ: বাউল। তাল: একতাল। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, জুলাই ২০০১], পৃষ্ঠা: ৭৭।
- বিষয়াঙ্গ: স্বদেশ
- সুরাঙ্গ: বাউলাঙ্গ।
- গ্রহস্বর: ঋ।
- লয়: দ্রুত।