বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত
শিরোনাম:
খ্যাপা তুই আছিস আপন খেয়াল ধরে।
পাঠ ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান (বিশ্বভারতী, কার্তিক ১৪১২)-এর পাঠ: স্বদেশ পর্যায়ের ৪৫ সংখ্যক গান।
খ্যাপা তুই আছিস আপন খেয়াল ধরে।
যে আসে তোরই পাশে,
সবাই হাসে দেখে তোরে॥
জগতে যে যার আছে আপন কাজে দিবানিশি।
তারা পায় না বুঝে তুই কী খুঁজে ক্ষেপে বেড়াস জনম ভ’রে॥
তোর নাই অবসর,
নাইকো দোসর ভবের মাঝে।
তোরে চিনতে যে চাই,
সময় না পাই নানান কাজে।
ওরে, তুই কী শুনাতে এত প্রাতে মরিস ডেকে?
এ
যে বিষম জ্বালা ঝালাপালা,
দিবি সবায় পাগল করে।
ওরে, তুই কী এনেছিস, কী টেনেছিস ভাবের জালে?
তার কি মূল্য আছে কারো কাছে কোনো কালে?।
আমরা লাভের কাজে হাটের মাঝে ডাকি তোরে!
তুই কি সৃষ্টিছাড়া, নাইকো সাড়া, রয়েছিস কোন্ নেশায়
ঘোরে?
এ জগৎ আপন মতে আপন পথে চলে যাবে—
বসে তুই আর-এক কোণে নিজের মনে নিজের ভাবে॥
ওরে ভাই, ভাবের সাথে ভবের মিলন হবে কবে—
মিছে তুই তারি লাগি আছিস জাগি না জানি কোন্ আশার জোরে॥
-
পাণ্ডুলিপির পাঠ: রবীন্দ্রনাথের পাণ্ডুলিপি
Ms 129-এ গানটি পাওয়া যায়। [নমুনা:
প্রথমাংশ,
দ্বিতীয়াংশ]
পাঠভেদ: নাই
তথ্যানুসন্ধান
-
ক. রচনাকাল ও স্থান: ৫০ পার্কস্ট্রীট। ২২ আশ্বিন [রবীন্দ্রনাথের
পাণ্ডুলিপি
Ms 129]
রবীন্দ্রনাথের ৩১
বয়সের রচনা।
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
- গ্রন্থ
- পত্রিকা:
-
ভারতী (৮। ১২৯৯)। সরলদেবীকৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
- স্বরলিপি:
- স্বরলিপিকার:
সরলাদেবী।
- রাগ ও তাল:
- স্বরবিতান-৪৬
এ গৃহীত গানটির স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই।
উক্ত স্বরলিপিটি ৩।৩
মাত্রা ছন্দে দাদরা তালে নিবদ্ধ।
-
অঙ্গ: বাউল। তাল : দাদরা।
[রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ।
প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬। পৃষ্ঠা: ৪৮]
- অঙ্গ: বাউল। তাল : দাদরা।
[রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ৮৭।]
-
বাউলাঙ্গ
- গ্রহস্বর-রা।
লয়-দ্রুত।