বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা :
শিরোনাম:
বার বার, সখি, বারণ করনু ন যাও মথুরাধাম।
পাঠ ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান (বিশ্বভারতী, কার্তিক
১৪১২)-এর পাঠ:
বার বার, সখি, বারণ করনু ন যাও মথুরাধাম।
বিসরি প্রেমদুখ রাজভোগ যথি
করত হমারই শ্যাম।
ধিক্ তুঁহু দাম্ভিক, ধিক্ রসনা ধিক্, লইলি কাহারই নাম?
বোল ত সজনি, মথুরা-অধিপতি সো কি হমারই শ্যাম।
ধনকো শ্যাম সো, মথুরাপুরকো, রাজ্য-মানকো হোয়।
নহ পীরিতিকো, ব্রজকামিনীকো, নিচয় কহনু ময় তোয়।
যব তুঁহু ঠারবি সো নব নরপতি
জনি রে করে অবমান—
ছিন্নকুসুমসম ঝরব ধরা-’পর,
পলকে খোয়ব প্রাণ।
বিসরল বিসরল সো সব বিসরল বৃন্দাবনসুখসঙ্গ—
নব নগরে, সখি, নবীন নাগর— উপজল নব নব রঙ্গ।
ভানু কহত— অয়ি বিরহকাতরা, মনমে বাঁধহ থেহ—
মুগুধা বালা, বুঝই বুঝলি না, হমার শ্যামক লেহ।
- পাণ্ডুলিপির
পাঠ:
রবীন্দ্রনাথের
পাণ্ডুলিপি নাই
- পাঠভেদ:
ভারতী
(বৈশাখ ১২৮৫ বঙ্গাব্দ)-এ
প্রকাশিত পাঠের সাথে গীতবিতানের পাঠে পার্থক্য আছে। নিচে
ভারতীতে প্রকাশিত পাঠটি তুলে ধরা হলো।
বার বার সখি বারণ করনু
ন আও মথুরা ধাম!
বিসরি প্রেম দুখ, রাজভোগ যথি
(১)
করত হমারই শ্যাম।
কি কহিল রসনা ? হমারই শ্যাম সো?
কি বুঝিল পাগল প্রাণ?
অবতক (২) ঘুচল ন ভাঁতি
(৩) তুয়া মন!
সো কি হমারই শ্যাম?
শত শত দেশ পদানত যিনকো (৪)
শত শত মানুখ দাস,
শত শত রাজা
রোষ-কটাখে
মনমে মানে তরাস,
দুখিনী গোপিনী, হম অবলা সখি,
সোকি হমারই শ্যাম?
বোল ত সজনি, মথুরা-অধিপতি
সোকি হমারই শ্যাম?
ধনকো শ্যাম সো, মথুরা পুরকো,
রাজ্য-মানকো হোয়,
নহ পীরিত কো, ব্রজ কামিনীকো,
নিচয় কহনু ময় তোয়।
ন যাও সজনি, মথুরা নগরে
ভেটইতে সো শ্যাম,
সমরাইও না (৫) সখি, শ্যামক মনমে
দুখিনী হমার নাম।
বাত রাখ মঝু (৬) নিতান্ত সহিলো,
মথুরা পুর জনি (৭) যাহ,
দূর সঙেতু পেখিও শ্যামক (৮)
কৈছন আছয় নাহ। (৯)
জনি সখি দেখ সো, মনকো হরখে
করত সুখে পুর-বাস,
শপতি হমার লো, তব্ সখি ন আও
মধুরা পতিকো পাশ।
জনি দেখো তুঁহুঁ সোবি সহত সখি!
দারুণ বিরহক জ্বালা
তব্ সখি সঁপিও, শ্যামক চরণে
ইহ বন-কুসুমক মালা!
কহিও, রাধা, দুখিনী রাধা—
মধুরা-অধিপতি কান!
দুখজ্বালা তব, বারইতে (১০) সব
সঁপবে দে মন প্রাণ।
উরস পাতবে, অবশ মাথ তব
রাখব তছু পরি মাধা,
তোষইতে মন সবকিছু করবে
যত কছু জানয় রাধা!
ভানু কহত—
অয়ি—
বিরহ কাতরা
মনমে বাঁধহ থেহ। (১১)
মুগুধা বালা, বুঝহ বুঝলিনা,
হমার শ্যামক লেহ। (১২)
(১) যেখানে (২) এখন পর্যন্ত (৩) ভ্রান্তি (৪) যাঁহার (৫) স্মরণ করাইও না
(৬) আমার (৭) যদি (৮) দূর হইতে তুমি শ্যামকে দেখিও (৯) নাথ কেমন আছেন। (১০)
নিবারণ করিতে (১১) স্থৈর্য্য বাঁধো (১২) ভালবাসা।
ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলীর গানগুলি
রচনার প্রেক্ষাপট এবং
গানগুলির
উচ্চারণের বিষয়ে- 'গহন
কুসুমকুঞ্জ-মাঝে'
-এর প্রাসঙ্গিক পাঠে আলোচনা করা হয়েছে।-
তথ্যানুসন্ধান
-
ক.
রচনাকাল ও স্থান:
এই গানটির রচনাকাল সম্পর্কে কিছু জানা যায় নাই। এই গানটি রচনার সঠিক তারিখ জানা যায়
না। গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল- ভারতী পত্রিকার ১২৮৫ বঙ্গাব্দের বৈশাখ
সংখ্যায়। সেই কারণে ধারণা করা যায়, গানটি ১৬ বৎসর বয়সের শেষের দিকে রচনা করেন।
রচনাবিষয়ক তথ্যাদি: গহন
কুসুমকুঞ্জ-মাঝে
[ভানুসিংহঠাকুরের
পদাবলী-৮]
[তথ্য]
-
খ.
প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
-
গ্রন্থ:
-
গীতবিতান-এর
'ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী' পর্যায়ের ১৮ সংখ্যক গান।
-
কাব্যগ্রন্থাবলী
[আদি ব্রাহ্মসমাজ প্রেস, ১৩০৩। কৈশোরক।
ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী।
শিরোনাম 'দূতীর
প্রতি'। পৃষ্ঠা: ২৬]।।
[নমুনা]
-
ভানুসিংহ
ঠাকুরের পদাবলী (আষাঢ় ১২৯১ বঙ্গাব্দ)
১৭ সংখ্যক গান।
[রবীন্দ্ররচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড।
বিশ্বভারতী (শ্রাবণ ১৩৯১)। পৃষ্ঠা ২২-২৩।]
-
পত্রিকা:
-
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
স্বরলিপি পাওয়া যায় নি।