তাসের দেশ-এর পরিচিতি
রবীন্দ্রনাথের রচিত নাটক
তাসের দেশের প্রচলিত পাঠ

কাহিনী উৎস:
রবীন্দ্রনাথের 'একট আষাঢ়ে গল্প' নামক গল্প 'সাধনা' পত্রিকার 'আষাঢ় ১২৯৯' সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল। এই গল্পটিকে তিনি নাট্যরূপ দেন ১৩৪০ বঙ্গাব্দে।

সংস্করণ:
'তাসের দেশ'-এর প্রথম সংস্করণ প্রকাশিত হয় ১৩৪০ বঙ্গাব্দের ভাদ্র মাসে। ১৩৪০ বঙ্গাব্দের ভাদ্র মাসের২৭, ২৮ ও ৩০ তারিখে এই নাটকটি প্রথম মঞ্চস্থ হয় ম্যাডান থিয়েটারে।

১৩৪৫ খ্রিষ্টাব্দে তাসের দেশ-এর দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়। এই সংস্করণে ব্যাপক পরিবর্তন করা হয়। দ্বিতীয় সংস্করণ উৎসর্গ করা হয় নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুকে।

প্রথম সংস্করণের 'ভূমিকা' দ্বিতীয় সংস্করণে পরিবর্তিত হয়ে প্রথম হিসেবে সংযুক্ত হয়। পাঠান্তর ঘটে গানেও। প্রথম সংস্করণে 'তোমার মন বলে চাই চাই' গানটি দ্বিতীয় সংস্করণে হয়, 'আমার মন বলে চাই চাই গো'। দ্বিতীয় সংস্করণে তৃতীয় দৃশ্য যুক্ত হয়। এবং নতুন ৮টি গান যুক্ত করা হয়। এই গানগুলো হলো


    খরবায়ু বয় বেগে
    গোপন কথাটি রবে না গোপনে
    তোলন নামন
    বলো, সখী বলো
    অজানা সুর কে দিয়ে যায়।
    কেন নয়ন আপনি ভেসে যায়
    গগনে গগনে ধায় হাঁকি
    বাঁধ ভেঙে দাও
    যুক্ত করা হয় রাজার মুখের শাস্ত্রীয় ছড়া 'শান্ত যেই জন'

প্রথম সংস্করণে ব্যবহৃত চারটি গান বর্জিত হয়।
    হারে রে রে
    হে মাধবী দ্বিধা কেন
    হে নিরুপমা
    তুমি কোন্ পথে

প্রথম সংস্করণে রাজপুত্রের গানটির পূর্ণরূপ ছিল
    জয় জয় তাসবংশ-অবতংস।
    ক্রীড়াসরসীনীরে রাজহংস।
    তাম্রকূট-ঘন-ধূম বিলাসী,
    তন্দ্রাতীরনিবাসী—
            সব-অবকাশ-ধ্বংস
    যমরাজেরই অংশ।