ভাষাংশ।
কোরানের সূরা সূচি
পবিত্র 
কোরআনুল করীম
৬০
সুরা 
আল-মুম্তাহিনা
মদীনায় অবতীর্ণ : আয়াত ১৩
পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহ্র নামে শুরু করছি।
১. 
মুমিনগণ,
তোমরা আমার ও তোমাদের শত্রুদেরকে বন্ধরূপে গ্রহণ করো না। 
তোমরা তো তাদের প্রতি বন্ধুত্বের বার্তা পাঠাও, অথচ 
তারা যে সত্য তোমাদের কাছে আগমন করেছে, তা অস্বীকার 
করছে। তারা রসূলকে ও তোমাদেরকে বহিস্কার করে এই অপরাধে যে,
তোমরা তোমাদের পালনকর্তার প্রতি বিশ্বাস রাখ। যদি তোমরা আমার 
সন্তুষ্টিলাভের জন্যে এবং আমার পথে জেহাদ করার জন্যে বের হয়ে থাক,
তবে কেন তাদের প্রতি গোপনে বন্ধুত্বের পয়গাম প্রেরণ করছ?
তোমরা যা গোপন কর এবং যা প্রকাশ কর, 
তা
আমি খুব জানি। তোমাদের মধ্যে যে এটা করে,
সে সরলপথ থেকে বিচ্যুত হয়ে যায়।   
২. 
তোমাদেরকে 
করতলগত করতে পারলে তারা তোমাদের শত্রু  হয়ে যাবে এবং মন্দ উদ্দেশ্যে তোমাদের 
প্রতি বাহু ও রসনা প্রসারিত করবে এবং চাইবে যে,
কোনরূপে তোমরাও কাফের হয়ে যাও।   
৩. 
তোমাদের 
স্বজন-পরিজন ও সন্তান-সন্ততি কিয়ামতের দিন কোন উপকারে আসবে না। তিনি তোমাদের 
মধ্যে ফয়সালা করবেন। তোমরা যা কর,
আল্লাহ্
তা দেখেন।   
৪. 
তোমাদের জন্যে ইবরাহীম 
ও তাঁর সঙ্গীগণের মধ্যে চমৎকার আদর্শ রয়েছে। তারা তাদের সম্প্রদায়কে বলেছিলঃ 
তোমাদের সাথে এবং তোমরা আল্লাহ্র 
পরিবর্তে যার এবাদত কর,
তার সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই। আমরা 
তোমাদেরকে
মানি না। তোমরা এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন না করলে তোমাদের 
মধ্যে ও আমাদের মধ্যে চিরশত্রু তা থাকবে। কিন্তু ইবরাহীমের 
উক্তি তাঁর পিতার উদ্দেশে এই আদর্শের ব্যতিক্রম। তিনি বলেছিলেনঃ আমি অবশ্যই তোমার 
জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করব। তোমার উপকারের জন্যে আল্লাহ্র 
কাছে আমার আর কিছু করার নেই। হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা তোমারই উপর ভরসা করেছি,
তোমারই দিকে মুখ করেছি এবং তোমারই নিকট 
আমাদের প্রত্যাবর্তন।   
৫. 
হে আমাদের 
পালনকর্তা! তুমি আমাদেরকে কাফেরদের জন্য পরীক্ষার পাত্র করো না। হে আমাদের 
পালনকর্তা! আমাদের ক্ষমা কর। নিশ্চয় তুমি পরাক্রমশালী,
প্রজ্ঞাময়।   
৬. 
তোমরা যারা 
আল্লাহ ও পরকাল প্রত্যাশা কর,
তোমাদের জন্য তাদের মধ্যে উত্তম আদর্শ রয়েছে। আর যে মুখ ফিরিয়ে 
নেয়, তার জানা উচিত যে, 
আল্লাহ্
বেপরওয়া,
প্রশংসার মালিক।   
৭. 
যারা 
তোমাদের শত্রু  আল্লাহ তাদের মধ্যে ও তোমাদের মধ্যে সম্ভবতঃ বন্ধুত্ব সৃষ্টি করে 
দেবেন। আল্লাহ্
সবই করতে পারেন এবং আল্লাহ্
ক্ষমাশীল,
করুণাময়।   
৮. 
ধর্মের 
ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেনি এবং তোমাদেরকে দেশ থেকে বহিস্কৃত 
করেনি,
তাদের প্রতি সদাচরণ ও ইনসাফ করতে আল্লাহ্
তোমাদেরকে নিষেধ করেন না। নিশ্চয় আল্লাহ ইনসাফকারীদেরকে 
ভালবাসেন।   
৯. 
আল্লাহ্
কেবল তাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করেন,
যারা ধর্মের ব্যাপারে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে,
তোমাদেরকে দেশ থেকে বহিস্কৃত করেছে এবং 
বহিস্কারকার্যে সহায়তা করেছে। যারা তাদের সাথে বন্ধুত্ব করে তারাই জালেম।   
১০. 
মুমিনগণ,
যখন তোমাদের কাছে ঈমানদার নারীরা হিজরত করে আগমন করে,
তখন তাদেরকে পরীক্ষা কর। আল্লাহ্
তাদের ঈমান সম্পর্কে সম্যক অবগত আছেন। যদি তোমরা জান যে,
তারা ঈমানদার, তবে আর তাদেরকে 
কাফেরদের কাছে ফেরত পাঠিও না। এরা কাফেরদের জন্যে হালাল নয় এবং কাফেররা এদের জন্যে 
হালাল নয়। কাফেররা যা ব্যয় করেছে, তা তাদের দিয়ে দাও। 
তোমরা, এই নারীদেরকে প্রাপ্য 
মোহরানা দিয়ে বিবাহ করলে তোমাদের 
কোন 
অপরাধ হবে না। তোমরা কাফের নারীদের সাথে দাম্পত্য সম্পর্ক বজায় 
রেখো না। তোমরা যা ব্যয় করেছ,
তা চেয়ে নাও এবং তারাও চেয়ে নিবে যা তারা 
ব্যয় করেছে। এটা আল্লাহ্র 
বিধান;
তিনি তোমাদের মধ্যে ফয়সালা করেন। আল্লাহ্
সর্বজ্ঞ প্রজ্ঞাময়।   
১১. 
তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে যদি কেউ হাতছাড়া হয়ে কাফেরদের কাছে থেকে 
যায়,
অতঃপর তোমরা সুযোগ পাও, তখন যাদের 
স্ত্রী হাতছাড়া হয়ে গেছে, তাদেরকে 
তাদের ব্যয়কৃত অর্থের সমপরিমাণ অর্থ প্রদান কর এবং আল্লাহ্কে 
ভয় কর,
যার প্রতি তোমরা বিশ্বাস রাখ।   
১২. 
হে নবী,
ঈমানদার নারীরা যখন আপনার কাছে এসে আনুগত্যের শপথ করে যে,
তারা আল্লাহ্র 
সাথে কাউকে শরীক করবে না,
চুরি করবে না, ব্যভিচার করবে না,
তাদের সন্তানদেরকে হত্যা করবে না, 
জারজ সন্তানকে স্বামীর ঔরস থেকে আপন গর্ভজাত সন্তান বলে মিথ্যা দাবী করবে না এবং 
ভাল কাজে আপনার অবাধ্যতা করবে না, 
তখন তাদের আনুগত্য গ্রহণ করুন এবং তাদের জন্যে আল্লাহ্র 
কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। নিশ্চয় আল্লাহ্
ক্ষমাশীল,
অত্যন্ত দয়ালু।      
১৩. 
মুমিনগণ,
আল্লাহ্
যে জাতির প্রতি রুষ্ট,
তোমরা তাদের সাথে বন্ধুত্ব করো না। 
তারা পরকাল সম্পর্কে নিরাশ হয়ে গেছে যেমন কবরস্থ কাফেররা নিরাশ হয়ে গেছে।
৬১.
সুরা 
আছ-ছফ্ 
মদীনায় অবতীর্ণ : আয়াত ১৪
পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহ্র নামে শুরু করছি।
১. 
নভোমণ্ডলে ও ভূমণ্ডলে যা কিছু আছে,
সবই আল্লাহ্র পবিত্রতা ঘোষণা করে। তিনি 
পরাক্রান্ত প্রজ্ঞাবান।   
২. মুমিনগণ! 
তোমরা যা কর না,
তা কেন বল?   
৩. তোমরা যা 
করনা,
তা বলা আল্লাহ্র কাছে খুবই 
অসন্তোষজনক।   
৪. আল্লাহ্ 
তাদেরকে ভালবাসেন,
যারা তাঁর পথে সারিবদ্ধভাবে লড়াই করে, 
যেন তারা সীসাগালানো প্রাচীর।   
৫. স্মরণ কর,
যখন মূসা (আঃ) তাঁর সম্প্রদায়কে বললঃ হে আমার সম্প্রদায়,
তোমরা কেন আমাকে কষ্ট দাও, অথচ 
তোমরা জান যে, আমি তোমাদের কাছে আল্লাহ্র রসূল। অতঃপর 
তারা যখন বক্রতা অবলম্বন করল, তখন 
আল্লাহ্ তাদের অন্তরকে বক্র করে দিলেন। আল্লাহ্ পাপাচারী সম্প্রদায়কে পথপ্রদর্শন 
করেন না।   
৬. স্মরণ কর,
যখন মরিয়ম-তনয় ঈসা (আঃ) বললঃ হে বনী ইসরাঈল! আমি তোমাদের কাছে 
আল্লাহ্র প্রেরিত রসূল, আমার পূর্ববর্তী তওরাতের আমি 
সত্যায়নকারী এবং আমি এমন একজন রসূলের সুসংবাদদাতা, যিনি 
আমার পরে আগমন করবেন। তাঁর নাম আহমদ। অতঃপর যখন সে স্পষ্ট প্রমাণাদি নিয়ে আগমন করল,
তখন তারা বললঃ এ তো এক প্রকাশ্য যাদু।  
৭. যে 
ব্যক্তি ইসলামের দিকে আহুত হয়েও আল্লাহ্ সম্পর্কে মিথ্যা বলে;
তার চাইতে অধিক যালেম আর কে? 
আল্লাহ্ যালেম সম্প্রদায়কে পথ প্রদর্শন করেন না।   
৮. তারা 
মুখের ফুঁৎকারে আল্লাহ্র আলো নিভিয়ে দিতে চায়। আল্লাহ্ তাঁর আলোকে পূর্ণরূপে 
বিকশিত করবেন যদিও কাফেররা তা অপছন্দ করে।   
৯. তিনি তাঁর 
রসূলকে পথ নির্দেশ ও সত্যধর্ম নিয়ে প্রেরণ করেছেন,
যাতে একে সবধর্মের উপর প্রবল করে দেন 
যদিও মুশরিকরা তা অপছন্দ করে।   
১০. মুমিনগণ,
আমি কি তোমাদেরকে এমন এক বানিজ্যের সন্ধান দিব,
যা তোমাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে মুক্তি দেবে?  
১১. তা এই যে,
তোমরা আল্লাহ্ ও তাঁর রসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবে এবং 
আল্লাহ্র পথে নিজেদের ধন-সম্পদ ও জীবনপণ করে জেহাদ করবে। এটাই তোমাদের জন্যে 
উত্তম; যদি তোমরা বোঝ।   
১২. তিনি 
তোমাদের পাপরাশি ক্ষমা করবেন এবং এমন জান্নাতে দাখিল করবেন,
যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত এবং বসবাসের 
জান্নাতে উত্তম বাসগৃহে। এটা মহাসাফল্য।   
১৩. এবং আরও 
একটি অনুগ্রহ দিবেন,
যা তোমরা পছন্দ কর। আল্লাহ্র পক্ষ থেকে 
সাহায্য এবং আসন্ন বিজয়। মুমিনদেরকে এর সুসংবাদ দান করুন।   
১৪. মুমিনগণ,
তোমরা আল্লাহ্র সাহায্যকারী হয়ে যাও,
যেমন ঈসা ইবনে-মরিয়ম তার শিষ্যবর্গকে বলেছিল,
আল্লাহ্র পথে কে আমার সাহায্যকারী হবে?
শিষ্যবর্গ বলেছিলঃ আমরা আল্লাহ্র পথে সাহায্যকারী। অতঃপর 
বনী-ইসরাঈলের একদল বিশ্বাস স্থাপন করল এবং একদল কাফের হয়ে গেল। যারা বিশ্বাস স্থাপন 
করেছিল, আমি তাদেরকে তাদের শত্রুদের মোকাবেলায় শক্তি 
যোগালাম, ফলে তারা বিজয়ী হল। 
৬২.
সুরা 
আয-জুমুআহ 
মদীনায় 
অবতীর্ণ : আয়াত 
১১
পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু 
আল্লাহ্র 
নামে শুরু করছি।
১. 
রাজ্যা-ধিপতি,
পবিত্র, পরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময় 
আল্লাহ্র পবিত্রতা ঘোষণা করে, 
যা কিছু আছে নভোমণ্ডলে ও যা কিছু আছে ভূমণ্ডলে।   
২. তিনিই নিরক্ষরদের মধ্য থেকে একজন রসূল প্রেরণ করেছেন,
যিনি তাদের কাছে পাঠ করেন তার আয়াতসমূহ, 
তাদেরকে পবিত্র করেন এবং শিক্ষা দেন কিতাব ও 
হিকমত। ইতিপূর্বে তারা ছিল ঘোর পথভ্রষ্টতায় লিপ্ত।   
৩. এই রসূল প্রেরিত হয়েছেন অন্য আরও লোকদের জন্যে,
যারা এখনও তাদের সাথে মিলিত হয়নি। তিনি পরাক্রমশালী,
প্রজ্ঞাময়।   
৪. এটা আল্লাহ্র কৃপা,
যাকে ইচ্ছা তিনি তা দান করেন। আল্লাহ্ 
মহাকৃপাশীল।   
৫. যাদেরকে তওরাত দেয়া হয়েছিল,
অতঃপর তারা তার অনুসরণ করেনি, তাদের 
দৃষ্টান্ত সেই গাধা, যে পুস্তক বহন করে,
যারা আল্লাহ্র আয়াতসমূহকে মিথ্যা বলে, 
তাদের দৃষ্টান্ত কত নিকৃষ্ট। আল্লাহ্ জালেম 
সম্প্রদায়কে পথ প্রদর্শন করেন না।   
৬. বলুন হে ইহুদীগণ,
যদি তোমরা দাবী কর যে, তোমরাই 
আল্লাহ্র বন্ধু-অন্য কোন মানব নয়, 
তবে তোমরা মৃত্যু কামনা কর যদি তোমরা সত্যবাদী হও।   
৭. তারা নিজেদের কৃতকর্মের কারণে কখনও মৃত্যু কামনা করবে না। 
আল্লাহ্ জালেমদের সম্পর্কে সম্যক অবগত আছেন।   
৮. বলুন,
তোমরা যে মৃত্যু থেকে পলায়নপর, সেই 
মৃত্যু অবশ্যই তোমাদের মুখামুখি হবে, অতঃপর তোমরা 
অদৃশ্য ও দৃশ্যের জ্ঞানী আল্লাহ্র কাছে উপস্থিত হবে। 
তিনি তোমাদেরকে জানিয়ে দিবেন সেসব কর্ম, 
যা তোমরা করতে।   
৯. মুমিনগণ,
জুমআর দিনে যখন নামাযের আযান দেয়া হয়, 
তখন তোমরা আল্লাহ্র স্মরণের পানে ত্বরা কর এবং 
বেচাকেনা বন্ধ কর। এটা তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা বুঝ।   
১০. অতঃপর নামায সমাপ্ত হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহ্র 
অনুগ্রহ তালাশ কর ও আল্লাহ্কে অধিক স্মরণ কর,
যাতে তোমরা সফলকাম হও।   
১১. তারা যখন কোন ব্যবসায়ের সুযোগ অথবা ক্রীড়াকৌতুক দেখে তখন 
আপনাকে দাঁড়ানো অবস্থায় রেখে তারা সেদিকে ছুটে যায়। বলুনঃ আল্লাহ্র কাছে যা আছে,
তা ক্রীড়াকৌতুক ও ব্যবসায় অপেক্ষা 
উৎকৃষ্ট। আল্লাহ্ সর্বোত্তম রিযিকদাতা।
৬৩.
সুরা 
মুনাফিকুন 
মদীনায় 
অবতীর্ণ : আয়াত 
১১
পরম করুণাময় ও 
অসীম দয়ালু 
আল্লাহ্র 
নামে শুরু করছি।
১.মুনাফিকরা 
আপনার কাছে এসে বলেঃ আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি নিশ্চয়ই আল্লাহ্র রসূল। আল্লাহ্ 
জানেন যে,
আপনি অবশ্যই আল্লাহ্র রসূল এবং আল্লাহ্ সাক্ষ দিচ্ছেন যে,
মুনাফিকরা অবশ্যই মিথ্যাবাদী।   
২. তারা তাদের শপথসমূহকে ঢালরূপে ব্যবহার করে। অতঃপর তারা আল্লাহ্র 
পথে বাধা সৃষ্টি করে। তারা যা করছে,
তা খুবই মন্দ।   
৩. এটা এজন্য যে,
তারা বিশ্বাস করার পর পুনরায় কাফের 
হয়েছে। ফলে তাদের অন্তরে মোহর মেরে দেয়া হয়েছে। অতএব তারা বুঝে না।   
৪. আপনি যখন তাদেরকে দেখেন,
তখন তাদের দেহাবয়ব আপনার কাছে প্রীতিকর মনে হয়। আর যদি তারা কথা 
বলে, তবে আপনি তাদের কথা শুনেন। তারা প্রাচীরে ঠেকানো 
কাঠসদৃশ্য। প্রত্যেক শোরগোলকে তারা নিজেদের বিরুদ্ধে মনে করে। তারাই শত্রু,
অতএব তাদের সম্পর্কে সতর্ক হোন। ধ্বংস করুন আল্লাহ্ তাদেরকে। 
তারা কোথায় বিভ্রান্ত হচ্ছে ?   
৫. যখন তাদেরকে বলা হয়ঃ তোমরা এস,
আল্লাহ্র রসূল তোমাদের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করবেন,
তখন তারা মাথা ঘুরিয়ে নেয় এবং আপনি তাদেরকে দেখেন যে,
তারা অহংকার করে মুখ ফিরিয়ে নেয়।   
৬. আপনি তাদের জন্যে ক্ষমাপ্রার্থনা করুন অথবা না করুন,
উভয়ই সমান। আল্লাহ্ কখনও তাদেরকে ক্ষমা 
করবেন না। আল্লাহ্ পাপাচারী সম্প্রদায়কে পথপ্রদর্শন করেন না।   
৭. তারাই বলেঃ আল্লাহ্র রসূলের সাহচর্যে যারা আছে তাদের জন্যে ব্যয় 
করো না। পরিণামে তারা আপনা-আপনি সরে যাবে। ভূ ও নভোমণ্ডলের ধন-ভাণ্ডার আল্লাহ্রই 
কিন্তু মুনাফিকরা তা বোঝে না।   
৮. তারাই বলেঃ আমরা যদি মদীনায় প্রত্যাবর্তন করি তবে সেখান থেকে সবল অবশ্যই 
দুর্বলকে বহিস্কৃত করবে। শক্তি তো আল্লাহ্, তাঁর রসূল ও মুমিনদেরই, কিন্তু 
মুনাফিকরা তা জানে না।   
৯. মুমিনগণ। তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি যেন তোমাদেরকে আল্লাহ্র স্মরণ 
থেকে গাফেল না করে। যারা এ কারণে গাফেল হয়,
তারাই তো ক্ষতিগ্রস্ত।   
১০. আমি তোমাদেরকে যা দিয়েছি,
তা থেকে মৃত্যু আসার আগেই ব্যয় কর। অন্যথায় সে বলবেঃ হে আমার 
পালনকর্তা, আমাকে আরও কিছুকাল অবকাশ দিলে না কেন?
তাহলে আমি সদকা করতাম এবং সৎকর্মীদের 
অন্তর্ভুক্ত হতাম।   
১১. প্রত্যেক ব্যক্তির নির্ধারিত সময় যখন উপস্থিত হবে,
তখন আল্লাহ্ কাউকে অবকাশ দেবেন না। তোমরা যা কর, 
আল্লাহ্ সে বিষয়ে খবর রাখেন।