জালাল উদ্দীন খাঁ-এর
গানের সূচি
কেহই করে বেচাকেনা [তথ্য]
অনেক দিনের পাগল
আমার আমার,
কে
কয়
আমারে কেউ চিনতে
আমি বিনে কে
আসল নামটি কী
আসলে দিনের পাগল
ও মন-চিনবে
কী ছুরত বানাইলে
জীবনে কি
তোমায়
পাগল তুই
মন পাখি তুই
মনে যা চায়
সদায় তোমার
সকালে উঠিয়া
সাধান ভাজন ম
স্বভাব
সাকার
পরমতত্ত
আমায় তুমি দোষী
আমাকে আর
দোষ
ছি-ছি ছি
লাজে মরি
রূপের ঘরে ডুব
গোলক বাঁ
গোলে বাঁধা
দিনের খবর
জানে খোদা
রূপ থাকলে কি
প্রভু তুমি আছ
প্রকাশে মানব ছবি
ভালো মন্দ বুঝিসেনে
আচানক এক পাখি
বিশ্ব ব্যাপিয়া তোমার ছবি
আঁধারের মাঝে ঘুরিয়ে
আছেরে তার নামে মধু
নিগূঢ়তত্ত¡
নিকটের বন্ধু তুমি
একদিন যেন হয়গো
নিত্য নতুন ভাবে
কে তারে খুঁজিয়ে পাবে
চিনগে মানুষ ধরে
কর-পরশনে যেমন
ভাব বিনে কি
কী দিব যে তার তুলনা
কেয়াছি দলিল
করলে পরে মানুষ
গাছতলাতে কব্বর
বুঝিতে না পারি ও হে
অতৃপ্ত আশায়
ঠিকই যেন মনটা
কোন পরানে বলব
সপ্ত রাগিণী বাজে
মারিফত বিচার কর
পাপ পূণ্যের বিচারে
উল্টা কথা ভাও
আজব কথা শুনে
কার কাছে বলিব
দয়াল শুরু বিনে
দেহতত্ত¡
ও মন চিনো যেয়ে
লয়ে সৈন্যগণ
আমি ধন্য বলি তারে
গোঁসাই তোমার
মন তোমার এই
করেছে আজব কল
রাজার বাড়ি
ও মন চেতন থাকতে
(মইলাম চৌকিদারি )
নাফছে খোদা
যত দেখি বিশ্ব
কোন স্বত্বের প্রজা সতের
খোত হতে এলে
কেন হয় না তারে
মাটির দেহ খাঁটি
বাইরে আলো ঘরে আধাঁর
এই যে শুনি
ত্রিবেণির ঘাটেরে মন
মন-চাষা তোর
একটি কলসের নয়টি ছিদ্র
দেখবে যদি তোরা
সৃষ্টিতত্ত¡
প্রেমময় প্রভু তুমি
বাসনায় বিভেদ্য জীব
ভুলে পড়ে জগৎ
কাজল বরণ রূপের কন্যা
গড়িতে আদমতন
জলে বিম্ব-আকারে
এ বিশ্ব বাগানে
দেখিয়ে আদম
ছিল না আসমান জমি
সংসারতত্ত
ধর্ম কি জাত বিচারে
জাতি ধর্ম বলে
আমার আমার করে
সংসার বিদেশে
আঁধারে ঘিরিল কোথা
সাধ না মিটিল
এমন বিদেশ-বিপাকে
ঔষধে কি রোগ
(আমার) ভাঙ্গা নায়ের
মাঝি বাইও বাইও
ভব-নদীর কূলে
সেই পাড়ে তোর বসত-বাড়ি
নৌকা বাইয়া
ঘুম দিয়েছ রিপুর দেশে
লাভের আশায় করলে
ঐ যে ভিখারি
সাধান তত্ত
তোমার মনের মানুষ
প্রাণায়াম অভ্যাস কর
পাতালে এক পরশমণি
আছাড় খেয়ে মানুষ
বেশি কথা বলিস না
যাবে যদি ছুটে
স্বামী আমার লয় না প্রসাদ
শুরু তোমার আশা
তারে সহজে না মিলে-
প্রেমের মানুষ বলে
ও মন তালাশ কর
সাধন করবি যদি
চীন শহরে আপন ঘরে
দয়াল মুর্শিদের বাজারে
রোজা রাখি বারো মাসে
আমার দিন কি
গুরুতত্ত¡
মানুষ থুইয়া খোদা ভজ
মানুষ রতন কর হে
কোরান পড়
আগে চিনগে সেই মানুষ
মানুষে মানুষ আছে
আর আমায় দিও না ফাঁকি
তাওয়াজ্জ হাছিল
ভাবের তরঙ্গে
প্রেমের বাজারে
বলি ছাড়া কালী পূজা
কোনখানে সজিদা করবে
প্রেমতত্ত
প্রেম-নদীতে রসের খেলা
কাম-পাহাড়ে ধাক্কা
স্নান কর ভাই
প্রেমিকের ভঙ্গিতে যায় চেনা
আজব লীলা বিধির
যেয়ে দেখ যমুনার কূলে
জনম কেন হল
ও মন-গহিন গাঙ্গের
মাতৃতত্ত¡
মা তুমি গো মন-মোহিনী
কামিনী ফুল ফুটিয়াছে
মেয়েরূপী কাল-সাপিনী
প্রেমেতে বান্ধিয়া রাখ
মাতৃজাতির পানে
মাতৃজাতির পানে
রবে না শমনের দায়
মন তুই, পড়গে
নদী তুই কিসে হবে
বই কথা কও
জলে নিচে চাঁদ
চুলা বানাইলে কী কৌশলে
লোকতত্ত
কমলিওয়ালা হাবিবুল্লা
ইয়া হাবিবু ইয়া রছুলু
মানব-লীলা কি চমৎকার
মূলকে-হিন্দে গরিব-নেওয়াজ
কায়া ছাড়ে মরে নারে
ভাইস্তে লাহাব এই পথে
রওজা-শরীফ দেখনে আয়া
পাগলে হাট বাজারে
কইরে পামর
দেশতত্ত
অভাবের কারণে
অর্থ ছাড়া ফকিরি কই
পয়সার মত এত ভাল
কাঙ্গাল হলে আপন দেশে
টাকা কলির পরম ধর্ম
দুরন্ত ম্যালেরিয়া
অভাব আসিল
তা ঐ কইব কি
কথা বলে ঠারে-ঠুরে
জীবন আমার ধন্য
বিরহতত্ত
পিঁজর ফেলে গেল গো
মরিলে যেন পাই গো
কত আশা ছিল রে
পরের বেদন পরে
দিন গেল বিফলে
পাগল করিলের
সঙ্গে নিলেনারে
শ্যামকে ভালবাসি
কান্দাইলে কি হবেরে
ডাকলে কথা শুনবে
জীবন ভরিয়ে
সারাটা জীবনে
ভাল চাইতে মন্দ
তোর পিরিতের বিষে
কপাল-জোড়া দুঃখ
জীবনে না দেখা দিলে
প্রেম করিয়া নষ্ট
অভাগীরে ¯^প্নে যদি
ভাটিয়ালি
রূপ দেখিয়া ঝাঁপ
শ্যাম-পিরিতের বিষে
ঘরবাড়ি ছাড়িলামরে
পাশুরা না যায়রে
কী দিয়া তুষিব
আরে ও ভাটিয়াল
আমারে বানাইলে
আমায় ধর ধর গো
তোর লাগি মোর
একদিন হইবে দেখা
মনের দুঃখ কইনারে
এ-জীবনে তোমার সনে
আমার মন করে
আমি তোমার তুমি আমার
কোন সাগরের মানিক
সইলো সই
পার কর গহিন গাঙ্গের
যে অভাগী প্রেম করিল
আমার শ্যামলা-কচি
গোকুলে হইলাম
আত্মতত্ব
জনম ভরে আমার তরে
দরবেশ তুমি আল্লা খোঁজ
আমি তুমি তুমিই আমি
আমায় লইয়া মস্ত হইয়া
আপন জানিয়ে
আমার হিসাব
আমা হইতে দয়াময়
জমিদারি ছিলই বটে
মন বেহুদা খোদা বলে
আত্ম সাধন করলে না
আমি তুমি দুয়ের মাঝে
পরমতত্ত
পরিচয় আছে তোমার
তোমায় তুমি না চিনাইলে
আজ আমার কিসের আপদ
মানুষ নাহি মরে
কী খেলা খেলাও
কর্মফল ভোগের তরে
মানুষেরই সঙ্গে
জানিব কেমনে
কী খেলা খেলিছ
তুমি নিরাকার
সবাই করে একের আশা
কারণ ছেড়ে কর্ম
নিগূঢ়তত্ত
দুদিন পরে কোথায়
তুমি না জাগাইলে
প্রাণেরই কালিয়া
চাই না বুঝিতে
বিচার করলে নাইরে
পাপীর আছে তোমার কাছে
তুমি নাচো তুমি গাও
বিচারিলে পাওয়া যায়
মানুষ বাজায় কলের বাঁশি
কোন রূপে ভজিব
ভাল নয় তোর
ধরতে গেলে কই চলে
কোথায় বা সে জন
বাঙ্গাল বলে হল না
ধান্ধাবাজি কি কারসাজি
গুরু কও সত্য বাণী
তোমারই মহিমা
মন্ত্র পড়ে চাই না
মন আমার কুঁচ্চিয়া মুরগি
হাইকোর্টে এক ¯^ত্বের মামলা
দেহতত্ত
জীবন ভরিয়া
বসিয়া নিরালা ওহে
দিতে ভবে পাড়ি
সমান পবন নইলে
রূপের ঘরে দরজা খুলে
পাখি রবে না
দেহ জমি পতিত রইল
মনের মানুষ হৃদয় মাঝে
ঘাটে মাঠে চলে গাড়ি
কুসঙ্গীর সঙ্গে দ্বিদলেতে লুকাইয়া
সুখের পিঞ্জরে
কাগার বাচ্চা পালন করে
পাখি যদি আপন
এই যে আমার সাধের
পাগলা ঘোড়ার দৌড়িতেছে
অন্তরে বাজিছে বীণা
কই বাঁশি বাজাও
সময় আমার এল নিকটে
শিরে তারা ভালে শশী
সৃষ্টিতত্ত
মন তুই দেখ
মানুষ আছে সবার ঘরে
তুচ্ছ জিনিষ উচ্চ করে
জন্মমরণ বুঝতে পারে
গড়ের মাঠে বড় লাটে
মানুষ বানাইলে
সাধনতত্ত¡
স্থলেতে ভুলিয়া রইলে
লভিয়ে আত্মার বল
আল্লা নবী আলি
নাম নিলে হয় দেহ শুদ্ধ
মানুষের ভিতরে মানুষ
জ্ঞান অঙ্কুশে ভক্তি বাণে
আরশিতে যা দেখবে
মায়া নদীর অতল নীরে
মনা ভাইরে
ঐ যে আকাশে
যাবে যদি ছুটে
তারে ধরব আমি
গুরুত্বত্ত
মানুষ ছুরতে
দেখলে ছবি পাগল হবি
মানুষ হইতে কয়জন পারে
মানুষে মানুষ রইয়াছে
এপার থেকে জানতে গিয়ে
মুর্শিদ আছে
খোদাকে বিশ্বাস কর
আপন বলে দুনিয়াতে
মুকরম আবেদ
সংসারতত্ত
সংসার সঙ্গীতে
অসার সংসারে
মউত হায়াতে
এপার আমি ওপার তুমি
মিছে ভবের মায়ায়
আসিয়া সংসারে
¯^ার্থময় জগতে মানুষ
সারা জীবন ঘুরিস না
এসে ভবের বাজারে
ভরিয়াছি পাপের ভরা
সাধের তরী বোঝাই ভারি
কেন ঘুমে অচেতন
আয়রে মাঝি নে আমারে
মন তুই ধরবি যদি
সন্ধ্যা সমীরে
দিনে দিনে শক্ত করে
ফিরে যাওয়ার সময় হল
মনে লয় যা কর
ভুল করে মূল নষ্ট
রবে না কেউর দিন চিরদিন
নৌকা আমার ভাসবে
প্রেমতত্ত
প্রেমের দোলায় জন্ম
প্রেম পাথারে জীবন
প্রেম আশায় এ দুনিয়ায়
থাকতে ¶ুধা প্রেমের সুধা
প্রেম করা হবে না আর
উদাসী পরানে
সারাটি জীবন থাকিব
ঘাটে গিয়া বসে থাক
মাতৃতত্ত¡
তাপিত হৃদয়
রমণী দেখিলে
বসন্ত বাতাসে
মায়া নদীর অতল নীরে
উড়ে আয়রে অলিকুল
কোলে নেওগো মা
জিন্দা পিরের মাজার
মা আমি তোর
অভয়া জননী যাহার
মায়ের সনে পারলাম না
কামিনী কাঞ্চন সুধা
বুঝলে না মন
লোকতত্ত
আত্মায়ে রসূল
আরবে উঠিল চাঁদ
একূল সেকূল
কান নাই খোদায়
জিন ফেরেশ্তা হুর
কোরান দেইখা আল্লা চিনে
এশকেতে আউলিয়া বন্দি
দিল দরদে চাহ
দেশতত্ত
তাজ্জব হয়ে গেলাম
দীন-দরিদ্র সেজেছ
আমার মত হাড়ে শক্ত
জন্মনিরোধ না করিলে
হাতে না থাকিলে পয়সা
বাংলাদেশে এসে গেলো
কিসের ধানা পানা
গুইল মারা যায়
পিরিত করতে প্রাণে মরতে
বিরহতত্ত
খোদা তোমার নাম
হয়েছি এমন মলিন
বল গো সজনী
দুঃখী বিনে জানে না
আশা না পুরাইলে
এমন দিন কি হবে
লোকে যে না শোনে রে প্রেমের বিরহিণীরে
এই বুঝি তোর ভালবাসা
অতি সুখে আছি রে
প্রাণে আমার কত সয়
(তোমরা) ছুঁইও না
এত ভালবাসিয়া
নিরলে বসিয়া থাকি
আর কত কাল সইবো গো
বঁধু আমার প্রাণ পুতুল
যৌবন জোয়ারে
যে দেশে গিয়াজ চলে
যে জ্বালা দিয়াছ প্রাণে
কোথায় বা লুকাইয়া রইলে
ভাটিয়ালি
প্রাণে আমার চায় রে
কত রঙ্গে সাজিলা
যে দাগা দিয়াছ তুমি
কত দুঃখ দিলা
যৌবনে কী করলাম
ঘুইস্যা ঘুইস্যা প্রেমের আগুন
ভাঙ্গা পিরিত লইত না আর
কুল গেল কলঙ্ক রইল
কেন আর কর বেইমানি
বাঁকা শ্যামের বিরহে
মইলাম পিরিতের অনলে
শুইন্যা যারে-
অকূল নদীর পাড়ে
নিঠুর বন্ধের দেখা
যে অবধি মনচোরারে
প্রাণ বন্ধুয়া তোরে পাইলে
আমার কথা মনে নাইগ্যা
ওরে কোকিল ডাকছো ডালে
যৌবন জোয়ারের পানি
প্রাণ গেল রে আমার
তুমি আমার গলের মালা
চিত্ত-চোরা বন্ধু
শুকাইল কমলের কলি
সারা নিশি তোমার আশে
বলে দাও আমারে
খেলার সাথি বানাইয়া
পাগল হইয়া তো লাগি
অবলা মরিব পরানে
প্রেমের পূজায়
বন্ধুয়া বৈদেশে গেল
হারাইয়া তালাশ করি
কোন বিরহী
আমারে বানাইলা পাগলিনি
বন্ধুয়ারই দেশে
অনেক দিন হয়
সখিরে আমার দুঃখ
আমারে বানাইলা অনাথিনী
সুরমাই নদীর পারে
চেহেল মিমের কর ঠিকানা
ভুলিতে না পারিৎ
ছোট বেলার কথারে
কী দিয়া প্রাণে জুড়াব
ত্রিতাপ জ্বালায় প্রাণ
বন্ধু সয় নারে
কঠিন বন্ধুরে
বন্ধু কইনারে বেদনা
আর কত দিন রইবেরে
কানতে কানতে জনম গেল
আমার অল্প বয়সের
তোরা কে যাবি গো
টুনটুনি তুই
তোর লাগিয়া নয়ন
কূল নাই দরিয়ার
দায় ঠেকিয়া আছ
জানি না কই যাবো
বন্ধু কই রইলারে
মনের আশা মনে
আরে ও রঙ্গিলা
ও আমার দরদী
আত্মতত্ত
আমি তুমি এক হইলাম না
খাসপে জালাল
কই তুমি আছ
নূরে কামাল
তোমার পথ রুধিয়ে
আমি তুমি কে কয়
মানুষে খোদার নাম
অন্যায় পথে একদিন
তোমায় বলচি অদ্বিতীয়
পরমতত্ত
পর ব্রক্ষ পরমাত্মা
দিন দুনিয়া চায়
দেখলাম এই ভবের মাঝে
জীবন গেল অকাররেণ
ঘোর বিপাকে পড়ল
ভাবছো কি মন
মরার পেটে জনে
অমাবস্যা পূর্ণমাসী
তন্ন তন্ন করে
নাহি আছে নিরূপণ
পড়ে দেখলাম অসম্ভবে
নিগূঢ়তত্ত
ভাবলে না মন
শূন্য হতে শূন্য হয়ে
মানব না আর তোরে
আমার করে দুনিয়াই লয়ে
পঞ্চে পঞ্চ মিশে যাবে
ঘুম দিল চৈতন্য
কোনদিন কাহার
ও মন করলে না
শত জন্ম সাধন
জীবন লয়ে জন্ম
আমি কেন আইলাম
আগে জানলে কি আর
পরমাত্মা রূপে খোদা
নূতন নূতন রং
তোমায় আমি খুঁজতে এসে
মানুষ যারা ছেড়ে গেল
মন মুর্দা সব হাটে চরে
দেহতত্ত
দেহ রাজ্যে রাজা প্রজা
মন চোরা আজ
দেহে চন্দ্র সূর্য
জীবের মাথাতে রয়
আগে জানলে না তুই
কুল কুÊলিনীর
রাজ্য নষ্ট করিস না
পঞ্চ আত্মা ছয় রিপু
হৃদয় বৃন্দাবনে
সসাগরা বসুন্ধরা
দেহরাজ্য থুইয়ারে
চ¶ু কর্ণ নাসিকা
ঘরে আর বাহিরে
অন্তরে অন্তরে
সাধনতত্ত¡
শ্রদ্ধা ভক্তি অনুরাগে
নয় দরজা বন্ধ করে
সাধন করলেনারে
ও মন চেতন থাকতে
তুমি জানবে কি আর
পরম চিনে ভক্তি রাজা
মন যদি তোর
ও মন চিনলে না
হালকা-জিকির
জীবনেরই তরে
সংসারতত্ত
সংসারে আসিয়া
হিসাব করে দেখ
জগতে সবাই মরে
ভবের মজা খাইতে
গাছ রুয়াইয়াছে উল্টা কলে
কূল নাই দরিয়ার
এই দুনিয়া ধান্ধাবাজি
বাড়ি ভাঙ্গলো অসময়ে
ভাবলে না তুই
কূল না পেয়ে
রং মাখিয়া ভূত সাজিয়া
মুর্শিদি
মুর্শিদ আমার
আল্লাহু নাম
তোমায় ছাড়া বাঁচি না
নাই তুমি নাই
এসে তুমি ফয়েজ
গুরু বিনে আপন
তোমার মত দয়াল
প্রাণের বন্ধুরে
মন বিলাসী রঙ্গিন বাঁশি
হায়রে কই গেলা
মারফতি
ম্লান করতে চাও
খুঁজলে না মন
মানুষে না বুঝবে
এমন ভাঙ্গা ঘরে
পাপের ভিটায় ঘর তোলা
পাপ কারেও মাফ করে না
মুইি হতে তুই
হলুদ বরণ রূপের কন্যা
নীল দরিয়ার তুফান
খোদা তুমি আছ
পাপের তোমার দুনিয়াই
প্রেমতত্ত
প্রেমের দেশে যাইতে
প্রেমের ভাও না জেনে
নূরের তত্ত¡ আছে
চোখ থাকিতে হইলে কানা
পিরিতে জান্নাতের
আমি তুমি কোনো কালে
তুমি আমি দুয়ের মাঝে
এক ছুরতে আমি তুমি
এই ছুরত তোমারি
তোমায় তুমি ঠিক করিয়া
জাগ্রত নয় জীবন
স্বপ্নে ঘেরাও এই পৃথিবী
দেখে শুনেই বুঝে নিলে
জানি না বুঝি না কিছু
আছে কি নাই কেমনে
তুমি যে পরম সত্য
ধর্ম হতে এই জগতে
আল্লার যত ছিল
ঠিকের ঘরে হিসাব
মানুষেরই মৃত্যু আর
মিথ্যা যখন এই পৃথিবী
নাই কিছু নাই ফাঁক
দুনিয়া না ভাঙ্গবে
মানুষের বিচার করতে
আল্লা ছাড়া নাই কিছু
উপাসনা করলে তোমার
কিসেরই উপরে জীবন
ভয় পেয়ে না সমঝে চল
চির অন্ধকারে যাবে
থাকবার জায়গা নয় মায়া মোহে আটকা
খোদার তরফ হইতে
প্রেম পাথারে যে সাঁতারে
না চাহিতে না কহিতে
নাইরে খোদা মন
মনে যাই মোর ক্ষমা কর
ভয়ের কথা শুনতে
¯^র্গ যদি থাকেই তবে
সত্যই যদি দয়াল তুমি
অভিনয় মোর শেষ করিব
উপরে ¯^র্গ নিচে মর্ত্য
মন মসজিদে নামাজ পড়
পথের মাঝে সত্যই বটে
আর কিছুই ধন চাই না
ক্ষণস্থায়ী মানব জীবন
আমার এই যে অন্ধ আঁখি
বেহেশ্ত আরশের উপর
একত্রে হইয়াছে গাঁথা
কোথা হতে আসে
নির্বিকারে একা
মরণ যে দিন আসবে
চলে এস আমার সাথে
এই বিশ্ব বাগিচার কূলে
মৃতসঞ্জীবনী সুধা
রূপের পূজারী আমি
কেমন করে কোথা হতে
এই খানে ঐ তরু মূলে
সৃষ্টিতে আনন্দ ভরা
জ্যোতির্ময় এই রবি-শশী
শোনা ¯^র্গ শুনতে শোনায়
তারে ধরতে সাঁতার
আর আমি দেখলাম না
এমন দেশে চলবে না
ভয় ছাড়ায়ে নিলে
অভাব তুমি ¯^ভাব আমি
চোখ থাকিতে হইলে কানা
রাতের পাকি ডাকি ডাকি
হে মোহাম্মদ
অসময়ে ডুবল তরী
অন্ধকারের বুকের তলে
এই প্রার্থনা তোমার কাছে এই পথে আর কেউ
খেয়ালি সাগরে নৌকা
কেথায় যাব কী করিব
বদ্ধ আছি মায়ার মোহে
চিনা যায় না বাবুসাহেব
মানুষের এই চলারই
বারণ জর জন্ম দেওয়া
বাতাস তোরে খবর
আমি ভুলে যাব
মন তুই পাইলে না
মানুষ পড়ছে কী গোলমালে
জগতের ভাব দেখিয়া
দেখলে না রং তামাশা
আমি আর ডাকব না
মন তুই দেখ গিয়া
মানুষ চিনবে তুই কেমনে
কিসে গাইব গুণের গান
স্বর্গ তোমার আছেরে
বাজিকরের পাল্লায়
তুমি আমার প্রাণারাধ্য
মরলে পরে শূন্য ভরে
জগতে সবাই মরে
তুমি আমার ভাঙ্গা ঘরে
আমি কিন্তু নই সামান্য
নিত্য আমার চিন্তা
জগতে সবাই মরে
তুমি আমার ভাঙ্গা ঘরে
আমি কিন্তু নই সামান্য
নিত্য আমার চিন্তা
জগৎ ভরে কান্না
রাক্ষসিনীর দেশে
সময় আমার আসছে
মনের মানুষ পাই না
সৌন্দর্য হয় প্রেমের সিঁড়ি
এই দুনিয়ার মালিক
মানুষে না বুঝে
সাঁইয়ের করণ কারণ
চিরদিন কি থাকবে
মোল্লাজি কন কী আজি
ও রাগিণী মন মোহিনী
আমি কি ঘাসের মতই
ভুবনের ঘাটে ঘাটে
কোন সুরেতে গাইব
আমার সুরেতে গাইব
আমার আমার করে
নাই তুমি নাই
মানুষ মরে বিশ্ব ছেড়ে
কইরে আমার কাঁটার
দেহের কারায় বন্দি
ওগো স্বামীবল
স্রোতের মুখে কূল
হৃদয় আসন শূন্য
কোথা হতে এলেম
দয়াল তোমার নামটি
সময় আর এই শূন্যটারে
খোদ ভান্ডারেই খোদা
আসল নামটি কি
আমিত্বের রাজা হইয়া
সত্য রাখ দয়ায় থাক
তোমার জগৎ বীণায়
আল্লা খুবই বুড়া
এই ভবের বাজার
বাজার ভাইঙ্গা চলে গেলে
তুমি সত্য পরম
কালে শূন্যে জমেছে
মোল্লাজি, নামাজ দিয়া
তোমায় খুঁজে হতাশ
সামনে আমার অকূল
স্বভাবেতেভাবেতে ভাব ধরিয়া
মন তুই চিনবে কি
মানুষ হইতে কয় জন
নামের মধু খাইলে
আমার এই সাধে পিঞ্জর
আমি আমার ঘর বেঁধেছি
আমার কইয়া জীবন
তুমি ছাড়া ভবার্ণবে
সত্য মানুষ বলবে তারে
মন তুই ধরবি কিসে
ইনছারি জানিতে পারে
পাগলের হাট বাজারে
কলিকাতার জাদুঘরে
আমি না থাকিলে খোদা
কেমন করে বাস করিব
নামের মধু খাইলে
খাঁচার ভিতর কাকের ছানা
প্রাণের মাঝে দোল দিয়া
এই দুনিয়া মরার বাসা
মনের দড়ি ছিঁড়ে গেছে
কাল সাপিনী লাল বাঘিনী
এমন ভাঙ্গা ঘরে
জীবন থাকতে সামনে পড়ে
আজকে আমি হারিয়ে গেলাম
জীবন থাকতে কর গিয়া
যত সব অন্ধরে ভাই
সত্যের মামলা ডিসমিস
খোদা তুমি ¯^রূপ ধরে
আসল নাম তার
সত্য বিষয় উদ্ধার কর
সময় শূন্যে আল্লা
মোল্লার মুখে একি
খোদার ঘর শুধু
ন্যায়ে থাক সত্য রাখ
বিকাশধারার পথ ধরে
নিরাকারের বিকারে
কে অতিথি কাটায়
অচেনা এক পাখি
মীন ধরিবার আশে
কাম নদীতে জোয়ার এল
ঊর্ধ্বমুখী বৃক্ষ যে এক
আমার এই গান গাওয়াটা
শ্রদ্ধা নদীর বাইন্ধা রাইখ্য