বিষয়:
নজরুল
সঙ্গীত।
গান সংখ্যা : ১৬১৬.
শিরোনাম
: বিদায়ের বেলা মোর
ঘনায়ে আসে।
পাঠ ও পাঠভেদ:
১৬১৬.
রাগঃ পূরবী, তালঃ ত্রিতাল
বিদায়ের বেলা মোর ঘনায়ে আসে।
দিনের চিতা জ্বলে অস্ত আকাশে॥
দিন শেষে শুভদিন এলো বুঝি মম
মরণের রূপে এলে মোর প্রিয়তম,
গোধূলির রঙে তাই দশ দিশি হাসে॥
দিন গুণে নিরাশার পথ-চাওয়া ফুরালো,
শ্রান্ত এ জীবনের জ্বালা আজ জুড়ালো।
ওপার হ'তে কে এলো তরী বাহি'
হেরিলাম সুন্দরে, আর ভয় নাহি,
আঁধারের 'পারে তার চাঁদ মুখ ভাসে॥
তথ্যানুসন্ধান:
ক. রচনার প্রেক্ষাপট, কাল ও স্থান:
রচনার প্রেক্ষাপট: ভারতীয় রাগ সঙ্গীতের নানা দিক নিয়ে নজরুল ইসলাম নানা রকমের গবেষণা করেছিলেন। 'যাম-যোজনায় কড়ি মধ্যম' হলো তার একটি। ভারতীয় রাগ-সঙ্গীত শাস্ত্রে রাগ-পরিবেশনায় দিনের বিভিন্ন সময় এবং ঋতু বৈচিত্র্যের প্রভাব রয়েছে। দিনের বিচারে ভারতীয় সঙ্গীতঋষিরা দিবারাত্রির বিভাজিত অংশ হিসেবে প্রহর বা যাম নামক এককটিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেন। এই গবেষণার সূত্রে তিনি রচনা করেছিলেন 'যাম-যোজনায় কড়ি মধ্যম নামক একটি গীতি আলেখ্য। এটি কলকাতা বেতারে প্রচারিত হয়েছিল ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের ২২শে জুন।
এই গীতি আলেখ্যের প্রথম
৮টি রাগাশ্রয়ী গানের পঞ্চম গানটিই ছিল
'বিদায়ের বেলা মোর
ঘনায়ে আসে।
'
। এই
গানের শুরুতে যাম যোজনায় টোড়ি রাগের রূপ বর্ণনা করা হয়েছে। নিচে নজরুলের
পাণ্ডুলিপি থেকে এই বিষয়ক পাঠ তুলে ধরা হলো।
'বিকালের মূলতানীর পর পিলু ভীমপলস্ত্রী পভৃতি রাগিণীতে আর কড়ি মা নেই। সান্ধ্য প্রহর যেই এল, অমনি কড়িমা আন্লেন 'পূরবী'কে ধ'রে। পূরবী এল কাঁদতে কাঁদতে। দুই মা'র গলা জড়িয়ে এর কান্না অতি সকরুণ।। [পাণ্ডুলিপি নমুনা]
রচনাকাল ও স্থান:
'যাম-যোজনায়
কড়ি মধ্যম' নামক গীতি-আলেখ্যটি কলকাতা বেতারে প্রচারিত হয়েছিল ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের ২২শে জুন।
ধারণা করা হয়, এই গীতি-আলেখ্য উপলক্ষেই গানটি রচিত হয়েছিল। এই
ধারণা থেকে অনুমান করা যায়, গানটি রচনার সময় নজরুল ইসলামের বয়স ছিল ৪১
বৎসর।
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
বেতার:
১. গীতিচিত্র- যাম যোজনায় কড়ি মধ্যম। তারিখ- ২২ জুন, ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দ। শিল্পী- ইলা ঘোষ। পূরবী-ত্রিতাল। সুর- নজরুল ইসলাম।
২. গীতিচিত্র- প্রহর পরিচায়িকা। তারিখ- ১১ অক্টোবর, ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দ।
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী: