আল-ফাতেহ মসজিদ (বাহরাইন)
আরবি : مسجد الفاتح‎
অপরাপর নাম : আল-ফাতেহ কেন্দ্র আল্‌-ফাতাহ মসজিদ, মাজিদ আল-ফাতিহ্।

বাহ্‌রাইনের রাজধানী মানামায় অবস্থিত, বাহরাইনের অন্যতম মসজিদ। ভৌগলিক অবস্থান : 26°13′08″N 50°35′53″E

১৯৮৭ খ্রিষ্টাব্দে শেখ ইসা ইবন সালমান আল খালিফা মসজিদটি তৈরি করেছিলেন। বাহরাইন বিজয়ী আহমেদ আল ফাতেহ-এর নামানুসারে এই মসজিদ-এর নামকরণ করা হয়েছে।

এটি বাহরাইনের সবচেয়ে বড় মসজিদ। এর আয়তন ৬৫০০ বর্গ মিটার এবং প্রায় ৭০০০ মুসুল্লী একসাথে নামাজ আদায় করতে পারেন। এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো গুম্বুজগুলো তৈরি করা হয়েছে ফাইবার গ্লাস দিয়ে। এই গ্লাসের ওজন ৬০,০০০ কেজি (৬০ টন)। বর্তমানে (২০১২ খ্রিষ্টাব্দ) এটাই বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফাইবার গ্লাসের গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ। এর মেঝেতে ইটালিয়ান মার্বেল ব্যবহার করা হয়েছে। ভিতরের ঝাড়বাতিগুলো অষ্ট্রিয়ার নির্মিত। এর দরজাগুলোতে ব্যবহার করা হয়েছে ভারত থেকে আমদানীকৃত মূল্যবান সেগুনকাঠ। দেওয়ালে রয়েছে প্রাচীন শৈলীর কুফিক নামক ক্যালিওগ্রাফিতে রচিত কোরান-হাদিসের বাণী।

২০০৬ খ্রিষ্টাব্দে এই মসজিদ-এর গ্রন্থাগারকে বাহরাইনের জাতীয় গ্রন্থাগারে রূপ দেওয়া হয়। এই কারণে এই মসজিদটিকে একইও সাথে আহমেদ আল-ফেতাহ ইসালমিক কেন্দ্র হিসাবেও অভিহিত করা হয়ে থাকে। এই গ্রন্থাগারে গ্রন্থের সংখ্যা প্রায় ৭০০০। এখানে প্রায় ১০০ বৎসরের পুরানো অনেক মূল্যবান বইপত্র পত্র-পত্রিকা আছে। এই সব বইয়ের ভিতরে রয়েছে আল কোরানের ঝকঝকে মুদ্রিত অনুলিপি, পুরানো হাদিস সংকলন, আরবি বিশ্বকোষ, ইসলামিক আইন সংক্রান্ত বিশ্বকোষ, ১০০ বৎসরের আগের মুদ্রিত আল আজহার নামক পত্রিকার বিভিন্ন সংখ্যা।

বর্তমানে এই মসজিদটি নামাজ আদায়ের জন্য ব্যবহৃত হলেও এবং জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র হিসাবেও বহু জ্ঞান পিপাসুরা ছুটে আসেন। এর পাশাপাশি এই মসজিদটির সৌন্দর্য উপভোগের জন্য বহু পর্যটক ভিড় করেন। এই বিচারে এই মসজিদটি এখন বাইরাইনের পর্যটন শিল্পের অন্যতম আকর্ষণীয় উপকরণ হিসাবেও বিবেচনা করা হয়। প্রতি শুক্রবার এবং জাতীয় ছুটির দিনে পর্যটকদের জন্য বন্ধ থাকে। এছাড়া অন্যান্য দিনে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত থাকে।