মসজিদ
আরবি
مسجد
মসজিদ।
ইংরেজি : mosque।
ইতালি : moschea,
moscheta
ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের জন্য নির্দিষ্ট নামাজ ও ধর্মালোচনার স্থান। আরবি
'মসজিদ' শব্দটির আভিধানিক অর্থ শ্রদ্ধাভরে মাথা অবনত করা অর্থৎ সিজদাহ করা। আল্লাহর
প্রতি সিজদা-যুক্ত প্রার্থনা তথা নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার জন্য ব্যবহৃত যে
গৃহ, এই অর্থে মসজিদকে বিবেচনা করা হয়। মসজিদ মূলত ব্যবহৃত হয় দলবদ্ধভাবে নামাজ
পড়ার জন্য। কিন্তু মসজিদে এককভাবে ফরজ নফল সকল ধরনের নামাজই পড়া যায়। এছাড়া
মুসলমানরা নামাজের সময় ছাড়া অন্যা সময়, ধর্মীয় সামাজিক সমস্যাদির সিদ্ধান্ত নেওয়ার
জন্য মসজিদে জমায়েত হয়।
সাধারণভাবে সকল মসজিদেই দলগত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। তবে কোনো কোনো মসজিদে নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ছাড়াও শুক্রবার দুপুরে বিশেষভাবে বড় ধরনের জন সমাবেশে নামাজ পড়ার আয়োজন হয়। এই নামাজকে বলা হয় জুম্মার নামাজ। যে সকল মসজিদে জুম্মার নামাজের আয়োজন নিয়মিতভাবে হয়ে থাকে, তাকে জামে মসজিদ বলা হয়। আর নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে আবেষ্টনযুক্ত যে কোন নামাজ পড়ার উপযোগী স্থানকে বলা হয় পাঞ্জেগানা মসজিদ। এছাড়া কোনো কোনো মসজিদের ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
সাধারণভাবে মসজিদের নামাজ দিক হিসাবে কাবাশরিফকে নির্ধারণ করা হয়। এই কারণে মসজিদের কাবার দিক বরাবর অংশের একটি বর্ধিত অংশে নামাজ পরিচালনার জন্য একটি বিশেষ স্থান নির্ধারিত থাকে। এই বিশেষ স্থানকে বলা হয় মেহরাব বা মিহরাব। এই স্থান থেকে যিনি নামাজকে পরিচালিত করেন, তিনি ইমাম নামে পরিচিত হন।
ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা মনে করেন, পৃথিবীর মানুষের প্রার্থনার জন্য প্রথম কাবাগৃহ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু ৬২২ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত মুসলমানরা নামাজ পড়তো জেরুজালেমের আল-আক্কাস মসজিদের দিকে মুখ করে। ৬২৩ খ্রিষ্টাব্দে 'মসজিদুল হারাম' তথা কাবার দিকে মুখ করে নামাজ পড়ার নির্দেশ আসে আল্লার পক্ষ থেকে। সূরা আল-বাক্বারাহ-র ১৪৪ আয়াতে এই নির্দেশ পাওয়া যায়। 'নিশ্চয়ই আমি আপনাকে বার বার আকাশের দিকে তাকাতে দেখি। অতএব, অবশ্যই আমি আপনাকে সে কেবলার দিকেই ঘুরিয়ে দেব যাকে আপনি পছন্দ করেন। এখন আপনি মসজিদুল-হারামের দিকে মুখ করুন এবং তোমরা যেখানেই থাক, সেদিকে মুখ কর। যারা আহ্লে-কিতাব, তারা অবশ্যই জানে যে, এটাই ঠিক পালনকর্তার পক্ষ থেকে। আল্লাহ্ বেখবর নন, সে সমস্ত কর্ম সম্পর্কে যা তারা করে।' [সূরা আল-বাক্বারাহ-র ১৪৪]
নিচে
উল্লেখযোগ্য মসজিদের তালিকা দেওয়া হলো