বাংলাদেশের বনাঞ্চল
বাংলাদেশের বনজ সম্পদ :
সমগ্র বাংলাদেশের মোট আয়তনের ১৬ ভাগ বনভূমি। এই বনভূমিকে তিনটি ভাগে ভাগ করা
হয়েছে। এই ভাগগুলি হলো-
১. ক্রান্তীয় চিরহরিৎ ও পত্রপতনশীল পত্রভুক্ত বনভূমি : প্রায় সমগ্র পার্বত্য
চট্টগ্রাম অঞ্চল ও সিলেট জেলার কিয়দংশ জুড়ে এই বনভূমি বিস্তৃত। অতিবৃষ্টির কারণে এই
অঞ্চলে চিরহরিৎ অরণ্যের সৃষ্টি হয়েছে। এই বনভূমিতে সেগুন, গর্জন, জারুল, গামারী,
চাপালিশ, তেলসুর, কড়ই প্রভৃতি জন্মে। এ ছাড়া বেত ও বাঁশ জন্মে।
২. শালবন : বরফযুগে গঠিত প্লায়স্টোসিন চত্বরসমূহে শালবন দেখতে পাওয়া যায়।
ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল ও ঢাকা অঞ্চলের প্রায় ১১৬৪ বর্গ কিলোমিটার এবং দিনাজপুর ও
রংপুরের ৩৯ বর্গ কিলোমিটার শালবন বিস্তৃত। এই সকল বনের শতকরা ৯৫ ভাগ গাছই শাল। এই
কারণে এই বনগুলি শালবন নামে পরিচিত। এছাড়া এই বনভূমিতে কড়ই, বহেরা ইত্যাদি গাছ দেখা
যায়।
৩. সুন্দরবন : সুন্দরবনের আয়তন প্রায় ৫,৭০৪ বর্গ কিলোমিটার। পটুয়াখালী জেলার
দক্ষিণ-পশ্চিমাংশ, খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলার দক্ষিণাংশ জুড়ে এই বনভূমি বিস্তৃত। এই বনের প্রধান
গাছ সুন্দরী। এই গাছের নামানুসারে এই বনের নাম হয়েছে সুন্দরবন। সুন্দরী ছাড়া এই
বনের অপরাপর গাছগুলি হলো- গেওয়া, পশর, ধুন্দল, কেওড়া, গরান, বায়েন, গোলপাতা
ইত্যাদি।
দেখুন : সুন্দরবন