বিজয় ৭১
বাংলাদেশের ময়মনসিংহ কৃষি
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য 'বিজয় ৭১'। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের
ক্যাম্পাসের প্রবেশপথেই শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনের সামনেই স্মৃতিসৌধটি
স্থাপন করা হয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়, মুক্তিকামী মানুষের অঙ্গীকার এবং দৃঢ় প্রত্যয় এই
স্মৃতিসৌধের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। এই তিনটি মূর্তি স্থাপিত হয়েছে একটি বেদীতে।
এই বেদীর দেয়াল জুড়ে আছে পোড়া মাটিতে খোদাই করা মুক্তিযুদ্ধের নানান ঘটনাবলি। বেদীর
সমানে রয়েছে অর্ধচন্দ্রাকার আঙিনা। এই আঙিনায় উঠার জন্য রয়েছে তিনধাপের সিঁড়ি।
এই ভাস্কর্যটিতে তিনটি মূর্তি বিপরীত দিকে মুখ করে ভিন্ন ভিন্ন অঙ্গভঙ্গীতে দাঁড়িয়ে
আছে। মূর্তি তিনটি হলো একজন নারী একজন কৃষক এবং একজন ছাত্র। এই তিনজনই
মুক্তিযোদ্ধা। কৃষক বাংলাদেশের আকাশের দিকে তাঁর রাইফেল তুলে ধরেছেন। এই
রাইফেলের মাথায় রয়েছে বাংলাদেশের পতাকা। এর মধ্য দিয়ে প্রকাশ পেয়েছে,
মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের বার্তা এবং স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠার কথা।
সংগ্রামী
কৃষকের ডান পাশে
আছেন শাশ্বত
বাংলার সর্বস্বত্যাগী ও সংগ্রামী নারী। যিনি দৃঢ়চিত্তে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের আহ্বান
জানাচ্ছেন। এই নারীর হাতেও রয়েছে রাইফেল। তাঁর দৃঢ়দৃপ্ত পদক্ষেপে রয়েছে
মুক্তিযুদ্ধের মাতৃশক্তির প্রকাশ।
এই নারীর পাশে রয়েছে একজন তেজোদীপ্ত চিত্তে দণ্ডায়মান যোদ্ধা ছাত্র। তার ডান হাত গ্রেনেড ছোড়ার
ভঙ্গিমায় রয়েছে, আর তার বাম হাতে রয়েছে রাইফেল।
এই ভাস্কর্যটির শিল্পী
শ্যামল চৌধুরীর। শিল্পীর তত্ত্বাবধানে ভাস্কর্যটির
নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল ১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দে।
সম্পন্ন হয়েছিল ২০০০ খ্রিষ্টাব্দের জুন মাসে শেষ হয়। ভাস্কর্যটি
নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল প্রায় ২৪
লাখ টাকা।