বাংলাদেশ
 
সাধারণ নাম : বাংলাদেশ।
সাংবিধানিক নাম : গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ
(People's Republic of Bangladesh, Bangladesh)

রাজধানী : ঢাকা
সরকার পদ্ধতি : সংসদীয় গণতন্ত্র।
জনসংখ্যা : ১৪৪,৩১৯,৬২৮ জন (২০০৫)।
সরকারি ভাষা: বাংলা ভাষা
সর্বোচ্চ আদালত : সুপ্রিম কোর্ট
মুদ্রা : টাকা (
BDT)
দেশ সঙ্কেত: +৮৮০।
ইন্টারনেট সঙ্কেত :
.bd L আইএসও-০৫০ (ISO-050)
সাংকেতিক নাম: BD, BGD
আন্তর্জাতিক সঙ্কেত ০৫০।
বাংলাদেশের সময় : আন্তর্জাতিক সময়ের (গ্রিনউইচ সময় মানের) সাথে ৬ ঘন্টা যোগ করলে বাংলাদেশের স্থানীয় সময় মান পাওয়া যায়।
বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান:
এশিয়া মহাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের তথা দক্ষিণ এশিয়া একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। বাংলাদেশ ২০ ডিগ্রী ৩৪ মিনিট উত্তর থেকে ২৬ ডিগ্রী ৩৮ মিনিট উত্তর অক্ষাংশ পর্যন্ত এবং ৮৮ ডিগ্রী ০১ মিনিট পূর্ব দ্রাঘিমাংশ থেকে ৯২ ডিগ্রী ৪১ মিনিট পূর্ব দ্রাঘিমাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত। বাংলাদেশের মাঝামাঝি স্থান দিয়ে কর্কটক্রান্তি রেখা অতিক্রম করেছে বলে- এ দেশটি কর্কটক্রান্তীয় অঞ্চলের অন্তর্গত।

বাংলাদেশের উত্তরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, মেঘালয়আসাম; পূর্বে ভারতের আসাম, ত্রিপুরা রাজ্যমিজোরামরাজ্য; পূর্ব-দক্ষিণে মিয়ানমার(বার্মা); দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর এবং পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ

বাংলাদেশের আয়তন : বাংলা দেশের মোট আয়তন ৫৬,৯৭৭ বর্গমাইল বা ১,৪৭,৫৭০ বর্গ কিলোমিটার। এর মধ্যে নদী অঞ্চলের আয়তন প্রায় ৯,৩৮০ বর্গ কিলোমিটার, বনাঞ্চলের আয়তন ২২,৫৮৪ বর্গ কিলোমিটার। আঞ্চলিক জলসীমা ১২ নটিক্যাল মাইল এবং আন্তর্জাতিক এলাকা ২০০ নটিক্যাল মাইল। বাংলাদেশের মোট সীমারেখা ২,৯২৮ মাইল বা ৪,৭১১.১৫ কিলোমিটার। ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশের ১৩০টি ছিটমহল ভারতের মধ্যে ছিল। একইভাবে ৯৫টি ভারতীয় ছিটমহল বাংলাদেশের মধ্যে ছিল। ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ জুলাই রাত্রি ১২টার পরে আনুষ্ঠানিকভাবে উভয় দেশের ছিটমহলগুলো মূল দেশের ভৌগোলিক সীমার সাথে যুক্ত হয়।
                [বিস্তারিত দেখুন: ছিটমহল (বাংলাদেশ-ভারত)]
 
বাংলাদেশের ইতিহাস: ধারণা করা হয় প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ বৎসর আগে
প্রাইমেট বর্গের অন্তর্গত হোমিনিডি গোত্রের হোমো গণের অন্তর্গত Homo sapiens এর আবির্ভাব ঘটেছিল আফ্রিকা মহাদেশের মরক্কোর জেবেল ইর্হৌদ-তে (Jebel Irhoud) । কালক্রমে এরা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছিল। এই সূত্রে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চল আদি মানবগোষ্ঠী বসতি স্থাপন করেছিল। এই ধারার সূত্রে বাংলাদেশে মানুষের আবির্ভাব হয়েছিল এবং হাজার হাজার বছর ধরে হয়েছে বাংলাদেশের ইতিহাস। [দেখুন: বাংলাদেশের ইতিহাস]

বাংলাদেশের প্রশাসন

বাংলাদেশের ভূপ্রকৃতি: বাংলাদেশ অখণ্ড বঙ্গদেশের একটি অংশ। বাংলাদেশের মোট আয়তন ৫৬,৯৭৭ বর্গমাইল বা ১,৪৭,৫৭০ বর্গ কিলোমিটার। এই অঞ্চলের ভূ-প্রকৃতির বর্ণনায় অত্যন্ত স্বাভাবিকভভাবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, গারো পাহাড়ি অঞ্চল, সিলেট-সংলগ্ন পাহাড়ি অঞ্চল এবং ত্রিপুরার কথা চলে আসে। সর্বোপরি এই ভূখণ্ড তৈরির সাথে জড়িয়ে আছে হিমালয় পর্বতমালার উত্থান এবং নেপাল ও তিব্বত উপত্যাকা সৃষ্টির বিষয়। [বিস্তারিত: বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতি]

  • বাংলাদেশের বনাঞ্চল: সমগ্র বাংলাদেশের মোট আয়তনের ১৬ ভাগ বনভূমি। এই বনভূমিকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। [বিস্তারিত: বাংলাদেশের বনাঞ্চল]
     

  • বাংলাদেশের নদনদী: নদ-নদী বিধৌত বাংলাদেশকে বলা হয়- নদীমাতৃক দেশ। বাংলাদেশের নদীগুলোর উৎস, উত্তরে হিমালয় পর্বতশ্রেণী, নেপাল, সিকিম ও ভুটান প্রভৃতি রাজ্য। উত্তর-পূর্বে ব্রহ্মপুত্র নদ ও তার উপত্যকা, পূর্বে গারো, খাসিয়া, জয়ন্তিয়া, ত্রিপুরা ও মায়ানমারের পার্বত্যভূমি। [বিস্তারিত: বাংলাদেশের নদী]

বাংলাদেশের আবহওয়া প্রকৃতি

  • বাংলাদেশের জলবায়ু : বাংলাদেশ ক্রান্তীয় জলবায়ু অঞ্চলে অবস্থিত। কিন্তু সমুদ্রের সন্নিকটে বলে এখানকার শীত ও গরমের তীব্রতা প্রচণ্ডরূপ ধারণ করে না। বাংলাদেশের গড় তাপমাত্রা ২৪.৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াস থেকে ২৬.৭০ ডিগ্রী সেলসিয়াস। বাংলাদেশের গড় বৃষ্টিপাত প্রায় ২০.৩ সেলসিয়াস। [বিস্তারিত: বাংলাদেশের জলবায়ু]
     

  • বাংলাদেশের ঋতুচক্র: বঙ্গাব্দের শুরু হয় বৈশাখ থেকে। এই মাস থেকে দুটি করে মাস নিয়ে এক একটি ঋতুকে মান্য করা হয়। সাধারণ কথ্য ভাষায় একে কাল বলা হয়। যেমন বর্ষাকাল। এই নিয়মে ছয়টি ঋতু তৈরি হয়। [বিস্তারিত: বাংলাদেশের ঋতুচক্র]

বাংলাদেশের জীবজগৎ

  • বাংলাদেশের প্রাণী: বাংলাদেশের প্রধান পরিচয় নদী-মাতৃক হলেও, এর একটি বড় অংশ জুড়ে রয়েছে বনভূমি এবং সমতল ও পার্বত্য স্থলভূমি। এই অঞ্চল জুড়ে রয়েছে স্তন্যপায়ী, উভচর, সরীসৃপ, পক্ষী, মলাস্কা শ্রেণির নানা ধরনের প্রাণী। রয়েছে বহু রকমের কীটপতঙ্গ। [ বিস্তারিত: বাংলাদেশের প্রাণী]
     

  • বাংলাদেশের উদ্ভিদ

বাংলাদেশের যাতায়াত ব্যবস্থা: একসময় বাংলাদেশে অসংখ্য নদনদী ছিল। সে কারণে দীর্ঘ স্থলপথ ছিল না। ফলে সমগ্র বাংলাদেশেই নৌ-যানের কদর ছিল। জল হিসেবে তখন ব্যবহৃত হতো, ভেলা ও নানা ধরনের নৌকা। বর্তমানে গ্রামবাংলায় ভেলার ব্যবহার কমে এসেছে। নদনদী, খাল-বিল ভরাট হয়ে যাওয়া বা শুকিয়ে যাওয়ার কারণে নৌকার ব্যবহারও কমে এসেছে। স্বাধীনতা উত্তরকালে যন্ত্রচালিত নৌকার প্রচলন হয়েছে। [বিস্তারিত : বাংলাদেশের পরিবহন]

বাংলাদেশের খনিজ সম্পদ : বাংলাদেশ খনিজ সম্পদে যথেষ্ঠ সমৃদ্ধ নয়। যে সকল খনিজাত দ্রব্য পাওয়া যায়, সেগুলি হলো– প্রাকৃতিক গ্যাস, প্রাকৃতিক তেল, কয়লা, চুনাপাথর, শ্বেতমৃত্তিকা, কাঁচবালি ইত্যাদি।

বাংলাদেশের শিল্প-কারখানা : শিল্প-কারখানার দিক থেকে বাংলাদেশ উন্নত নয়। তারপরেও যে শিল্প-কারখানাগুলি উল্লেখযোগ্য সেগুলি হলো–  পাট, বস্ত্র, চিনি, কাগজ, সিমেন্ট, সার, জাহাজ নির্মাণ। এ ছাড়াও পৃথক পৃথক সেক্টর হিসাবে আরো সে সকল কারখানা রয়েছে, সেগুলি হলো–  ঔষধ, চিনামাটির সামগ্রী, বস্ত্র, চামড়া ইত্যাদি।