বাংলাদেশের পরিবহন
একসময় বাংলাদেশে অসংখ্য নদনদী ছিল। সে কারণে দীর্ঘ স্থলপথ ব্যবস্থা গড়ে উঠেনি
বহুদিন। ফলে সমগ্র বাংলাদেশেই নৌ-যানের কদর ছিল। জলযান হিসেবে তখন ব্যবহৃত হতো,
ভেলা ও নানা ধরনের নৌকা। বর্তমানে গ্রামবাংলায় ভেলার ব্যবহার কমে এসেছে। নদনদী,
খাল-বিল ভরাট হয়ে যাওয়া বা শুকিয়ে যাওয়ার কারণে নৌকার ব্যবহারও কমে এসেছে।
স্বাধীনতা উত্তরকালে যন্ত্রচালিত নৌকার প্রচলন হয়েছে।
বাংলাদেশের স্থল যোগাযোগের বড় বাধা ছিল ছোটোবড় অসংখ্য নদী ও বিল বা হাওর। স্থলপথের
অনেক জায়গায় প্রসস্ত বা অপ্রসস্ত সেঁতু তৈরি করা হলেও বড় বড় নদী পাড়ি দেওয়ার জন্য
যন্ত্রচালিত ফেরি, স্টিমার, লঞ্চ ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
বাংলাদেশের সড়ক যোগাযোগের জন্য, রয়েছে বাস, মিনিবাস, ট্র্যাক, রিক্সা, সাইকেল
ইত্যাদি। এর পাশাপাশি রয়েছে রেলপথ। স্বল্পদূরত্বে যাওয়ার জন্য বেবি ট্যাক্সি,
টেম্পু, মিসুক, রিক্সা, গরু বা মহিষ দ্বারা বাহিত গাড়ী, ঠেলাগাড়ি ইত্যাদি ব্যবহৃত
হয়।
এছাড়া অভ্যন্তরীণ আকাশ যোগাযোগের জন্য রয়েছে বিমান ও হেলিকপ্টার।
নিচে বাংলাদেশের যানবাহনের তালিকা নিচে দেওয়া হলো।
জলযান
স্থলযানের তালিকা:
সড়ক পথ
বাস
ট্রাক
রিক্সা
পশু-বাহিত বাহন (গরুর গাড়ি, ঘোড়ার গাড়ি)
আকাশপথ
বিমান
হেলিকপ্টার
সূত্র :