অক্ষাংশ
ইংরেজি:
Latitude

অক্ষের অংশ অর্থে অক্ষাংশ শব্দটি ব্যবহার করা হয়। নিরক্ষরেখা থেকে উত্তর বা দক্ষিণে অবস্থিত কোনো স্থানের কৌণিক দূরত্বকে, ওই স্থানের অক্ষাংশ বলা হয়। উল্লেখ্য, নিরক্ষরেখার সাহায্যে উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধের যে কোনো স্থানের কৌণিক দূরত্ব স্থির করা হয়।

পৃথিবীর উত্তর এবং দক্ষিণ মেরু বরাবর এমন একটি রেখা কল্পনা করেছেন, যে রেখাটি পৃথিবীর কেন্দ্রকে ভেদ করে গেছে। এই কল্পিত রেখাকে বলা হয় অক্ষরেখা বা মেরু রেখা
(axis)

এই অক্ষরেখার উত্তর-প্রান্তের বিন্দুকে উত্তর মেরু বা সুমেরু
(North Pole) এবং দক্ষিণ-প্রান্তের বিন্দুকে দক্ষিণ মেরু বা কুমেরু (South Pole) বলা হয়। দুই মেরু থেকে সমান দূরত্বে পৃথিবীকে পূর্ব-পশ্চিমে বেষ্টন করে যে রেখা কল্পনা করা হয় তাকে বলা হয় নিরক্ষরেখা বা বিষুবরেখা (Equator)। পৃথিবীর গোলীয় আকৃতির জন্য এ রেখা বৃত্তাকার, তাই এ রেখাকে নিরক্ষবৃত্তও বলা হয়। নিরক্ষরেখা পৃথিবীকে উত্তর ও দক্ষিণে সমান দুই ভাগে ভাগ করেছে। নিরক্ষরেখার উত্তর দিকের পৃথিবীর অর্ধেককে উত্তর গোলার্ধ (Northern Hemisphere) এবং দক্ষিণ দিকের পৃথিবীর অর্ধেককে দক্ষিণ গোলার্ধ (Southern Hemisphere) বলা হয়।

গণিত শাস্ত্রে পূর্ণবৃত্তের গাণিতিক মান ধরা হয় ৩৬০ ডিগ্রি। প্রতিটি মিনিট ৬০ মিনিটে বিভক্ত এবং প্রতিটি মিনিট আবার ৬০ সেকেন্ডে বিভক্ত। এই গাণিতিক নিয়মানুসারে দ্রাঘিমাংশের সূক্ষ্ম বিচার করা হয়। প্রামাণ্য দ্রাঘিমা রেখা থেকে কোনো স্থান পূর্ব বা পশ্চিমে অবস্থান করে। এই কারণে দ্রাঘিমাংশের গাণিতিক মানের সাথে পূর্ব বা পশ্চিম শব্দ যুক্ত করা হয়। অক্ষাংশের ক্ষেত্রে দিক হিসেবে বসে উত্তর বা দক্ষিণ। এই উত্তর-দক্ষিণ নির্ধারিত হয় বিষুবরেখার বিচারে। কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয় করা হয়, অক্ষাংশ এবং দ্রাঘিমাংশের মানের বিচারে। যেমন- ঢাকার
অক্ষাংশ ২৩°৪২′০″ উত্তর এবং দ্রাঘিমাংশ ৯০°২২ ৩০পূর্ব (২৩°৪২ উত্তর ৯০°২২ ৩০ পূর্ব)।

বিভিন্ন প্রয়োজনে কিছু কিছু অংক্ষাংশকে বিশেষ বিশেষ নামে চিহ্নিত করা হয়। ভূগোলশাস্ত্রে এই সকল শব্দ পারিভাষিক শব্দ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যেমন